|
|
|
|
রায়গঞ্জ পুরভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট চায় তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা ²রায়গঞ্জ |
আসন্ন রায়গঞ্জ পুর নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ে লড়তে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার দুপুরে রায়গঞ্জের দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানান তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি অসীম ঘোষ। আগামী জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহে পুর নির্বাচন হওয়ার কথা। কংগ্রেস নেতৃত্ব অবশ্য জানিয়েছেন তাঁরাও জোটের পক্ষে। অসীমবাবু বলেন, “বিধানসভা নির্বাচনে জোট গড়ে কংগ্রেস এবং তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতা দখল করেছে। আমরা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ে রায়গঞ্জ পুর নির্বাচনে লড়তে চাই। এই বিষয়ে বৈঠকে বসার জন্য দলের তরফে জেলা কংগ্রেস নেতৃত্বের কাছে চিঠি পাঠানো হচ্ছে।” রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, “আমরা বরাবরই জোটের পক্ষে রয়েছি।”
তৃণমূল জেলা সভাপতি এদিন অভিযোগ করেন, বিধানসভা নির্বাচনের সময় জোটের বিরোধিতা করে নির্দল প্রার্থীর হয়ে প্রচার চালিয়েছিলেন রায়গঞ্জের কংগ্রেস সাংসদ দীপা দাশমুন্সি। তাই এ বার পুর নির্বাচনে দীপা দেবী যাতে জোটের পক্ষে কাজ করেন কংগ্রেসের কাছে সেই আর্জিও তাঁরা জানাবেন। এ দিন রায়গঞ্জ পুরসভার প্রাক্তন কংগ্রেস চেয়ারম্যান দীনদয়াল কল্যাণী এবং তাঁর স্ত্রী তথা ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দিল কাউন্সিলর উর্মিলা দেবী প্রায় ৫০০ অনুগামী নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন। তৃণমূলের উত্তরবঙ্গ কোর কমিটির সদস্য তিলক চৌধুরী বলেন, “কংগ্রেস পরিচালিত রায়গঞ্জ পুরসভা পানীয় জল, বিদ্যুৎ এবং রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, ইন্দিরা আবাস যোজনা এবং নিকাশি নালার সামগ্রিক উন্নয়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে আমরা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ে পুরসভা দখল করে সমস্যাগুলির সমাধান করতে চাই।” কোন কারণে জোট না হলে তৃণমূল পুরসভার ২৫টি ওয়ার্ডেই প্রার্থী দিতে প্রস্তুত বলে সাফ জানিয়েছেন তিলকবাবু।
জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দ বলেন, “কংগ্রেস পরিচালিত রায়গঞ্জ পুরসভার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক স্বার্থে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। উন্নয়নের নিরিখে রায়গঞ্জ পুরসভা রাজ্যের অনেক পুরসভার থেকে এগিয়ে। বিধানসভা নির্বাচনে মোহিতবাবুকে জিতিয়ে বাসিন্দারা তা প্রমাণ করেছেন।” প্রতিমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়ে এ দিন কালিয়াগঞ্জে ফেরেন কংগ্রেসের বিধায়ক প্রমথনাথ রায়। তাঁকে নিয়ে অনুগামীরা র্যালি করেন। তবে র্যালিতে পুলিশের পাইলট কার থাকা নিয়ে তৃণমূল কটাক্ষ করেছে। অসীমবাবুর মতে, প্রমথনাথবাবু র্যালিতে পাইলট কার না নিলেই তিনি ভাল করতেন। সাধারণ মানুষ বিষয়টি মেনে নিচ্ছেন না। জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অবশ্য জানান, এক জন মন্ত্রী হিসাবে প্রমথবাবু পাইলট কার ব্যবহার করে কোনও অন্যায় করেননি। কেননা, তাঁর নিরাপত্তা পুলিশকেই দেখতে হবে।
অন্য দিকে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ হাসপাতালের বেহাল পরিস্থিতির কথা দলের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়ে তাঁর হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে। তাদের অভিযোগ, হাসপাতালের আইসিইউ, বার্ন ইউনিট, মানসিক ওয়ার্ড বন্ধ রয়েছে। চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, যন্ত্রপাতি, ওষুধ, অক্সিজেনের অভাব রয়েছে। রোগীরা পরিষেবা পাচ্ছেন না। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো কর্মসংস্কৃতি ফেরাতে দলের তরফে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে তাঁরা কথা বলবেন। জেলাশাসক সুনীল দণ্ডপাট বলেন, “কাজে অনিয়ম নিয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|