রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠল বালুরঘাট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। শহরের বেলতলা পার্ক এলাকার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক দিলীপ দেব দীর্ঘদিন ধরে দুরারোগ্য রোগে ভুগছিলেন। এদিন সকালে তাঁকে বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ভর্তির পরে ওই ব্যক্তিকে ঠিকমতো অক্সিজেন না দেওয়ায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই ব্যক্তির পরিবারের লোকেরা নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরুদ্ধে দুব্যর্বহারের অভিযোগ তুলে হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান। পরে হাসপাতালের সুপারের সঙ্গে দেখা করে ঘটনার তদন্তের দাবি জানান। মৃতের ভাই অমলেন্দুবাবুর অভিযোগ, “অক্সিজেন কাজ করছে না দেখে আমার স্ত্রী নার্স এবং কর্মীদের বিকল্প ব্যবস্থা করতে বলেন। কোনও কাজ হয়নি। স্যালাইন শরীরে ঠিকমতো ঢোকানো হয়নি। হাত বেয়ে রক্ত পড়ছিল। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকও বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি। বরং বাড়ির লোকেদের স্বাস্থ্যকর্মীরা ধাক্কা দিয়ে বার করে দেন।” হাসপাতালের সুপার শক্তিভূষণ কুণ্ডু অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। |
স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি হাসপাতাল চত্বরেই মদ-গাঁজা বিক্রি করছেন। ওই কর্মীর বদলির দাবিতে শনিবার বনগাঁর সুন্দরপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। কিছু দিন আগে বিষয়টি নিয়ে বিএমওএইচ বিবেক রায়ের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি কোনও ব্যবস্থা নেননি বলেও অভিযোগ উঠেছে। বিএমওএইচের ‘ব্যবহার’ নিয়েও অসন্তোষ আছে গ্রামবাসীদের। শনিবার দুপুর ১২টা থেকে ঘণ্টা দু’য়েক বিক্ষোভের জেরে বিএমওএইচ, চিকিৎসক এবং অন্য সরকারি কর্মীরা ঘরে আটকা পড়েন। পরে বনগাঁর এসডিপিও বিমলকান্তি বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনেন। বিবেকবাবু জানান, ওই কর্মীর বদলির দাবিপত্রটি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে পাঠানো হয়েছে। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে প্রয়োজন মতো ওষুধ পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ। এ ব্যাপারে বিবেকবাবুর বক্তব্য, ওষুধ যে রকম থাকে, সে রকমই দেওয়া হয়। সকলের সঙ্গে ‘সৌজন্যমূলক’ ব্যবহার করা হয় বলেও তাঁর দাবি। |
ডায়েরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে মানবাজার থানার কেশরগড়িয়া গ্রামে। প্রায় ৬০ জন বাসিন্দা আক্রান্ত হয়েছেন। ২২ জনের চিকিৎসা চলছে মানবাজার গ্রামীণ হাসপাতালে। বাকিদের বাড়িতেই চিকিৎসা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে ডায়েরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি থাকা ভদ্রনারায়ণ মাহাতোর কাকিমা পুটিবালা মাহাতো বলেন, “গ্রামের কুয়োয় জল নেই। নলকূপ থাকলেও তাতে জল ওঠে বললেই চলে। কাছে খাল আছে। কিন্তু গ্রীষ্ম শুকিয়ে যায়। খালের বালি খুঁড়ে আমরা জল খাই।” ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সুরজিৎ সিংহ হাঁসদা বলেন, “ওই গ্রামে ওষুধ-সহ স্বাস্থ্য কর্মীরা নিয়মিত যাচ্ছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।” |