|
|
|
|
তৃণমূলের মিছিলে ‘হামলা’, গ্রেফতার সিপিএমের ৮ জন |
নিজস্ব সংবাদদাতা ²বলরামপুর |
তৃণমূলের বিজয় মিছিলে হামলা চালানোর অভিযোগে সিপিএমের এক পঞ্চায়েত সদস্য-সহ মোট ৮ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। শনিবার দুপুরে বলরামপুরের রাপকাটা তৃণমূলের বিজয় মিছিলে তির নিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে সিপিএমের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় তৃণমূলের পাঁচ কর্মী-সমর্থক জখম হন। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত পঞ্চায়েত সদস্যের নাম জিতেন্দ্রনাথ সিং। তিনি বলরামপুরের দঁড়দা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। মিছিলে তির ছোড়ার ঘটনায় সিপিএমের ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বাকি তিন জনের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
এ দিকে, তিরবিদ্ধ যে পাঁচ তৃণমূল কর্মী-সমর্থক পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে অরুণ গঁরাই নামে এক জনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে শনিবার রাতেই বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তাঁর গলায় তির বিঁধেছিল। হামলার ঘটনায় ধৃত ৮ জনের বিরুদ্ধেই হত্যার চেষ্টার অভিযোগ এনেছে পুলিশ। রাপকাটা গ্রামে পুলিশ পিকেট রয়েছে। গ্রামের নমোপাড়ায় যে বাড়িটি থেকে তির ছুটে এসেছিল বলে তৃণমূলের অভিযোগ, রবিবার সেই বাড়িতে কোনও পুরুষের দেখা পাওয়া যায়নি। উর্মিলা সিংহ নামে এক মহিলা বলেন, “বাড়িতে কেউ নেই। সবাইকে পুলিশ নিয়ে গিয়েছে।”
ঘাটবেড়া-কেরোয়া অঞ্চলের তৃণমূল নেতা অঘোর হেমব্রমের অভিযোগ, “আসলে সিপিএম কর্মী-সমর্থকেরা আমাদের দলের ব্লক বা জেলার শীর্ষ নেতৃত্বকে আক্রমণের ছক কষেছিল। আমারও ওই মিছিলে থাকার কথা ছিল। অন্যত্র আটকে যাওয়ায় যেতে পারিনি। আর সিপিএমের লোকেরা মিছিলের সামনে দিকেই তির ছুড়েছিল। কারণ, ওরা জানত সামনের দিকেই আমাদের নেতারা থাকবেন।” দলীয় সদস্যের ধরা পড়া প্রসঙ্গে সিপিএমের বলরামপুর জোনাল কমিটির সম্পাদক গোবর্ধন মাঝি বলেন, “বিজয় মিছিলের নামে তৃণমূলের লোকজনই প্রথমে আমাদের কর্মী-সমর্থকদের ঘরে পাথর ছুড়েছিল। উস্কানিমূলক কথাবার্তাও বলা হয় মিছিল থেকে। তাতেই ঘটনা ঘটে গিয়েছে। আমাদের কর্মীদের নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যাপারে আমরা পুলিশের কাছে দাবি করেছি।”
বলরামপুরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মণীন্দ্র গোপ বলেন, “কত দিন ধরে এ ভাবে কত জায়গায় বিজয় মিছিল হবে?” ব্লক তৃণমূল সভাপতি সৃষ্টিধর মাহাতোর পাল্টা কটাক্ষ, “আমরা দলীয় কর্মীদের সিপিএমের পাতা ফাঁদে পা দিতে নিষেধ করেছি। কারণ ওরা এ বার এ-সবই করতে চাইবে। তবে প্ররোচনা কে কোথায় দিচ্ছেন, তা তো সকলেই দেখতে পাচ্ছেন। আমাদের নিরস্ত্র কর্মীরা আবির নিয়ে মিছিল করছিলেন। সেটাতেও সিপিএমের দাত্রদাহ! আসলে পরাজয়ের ব্যাপারটাই সিপিএম নেতারা মানতে চাইছেন না।” |
|
|
|
|
|