করিমপুরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে খুন ও ডাকাতির ঘটনায় শনিবার তেহট্ট ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক সোমনাখ মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে সাক্ষ্য দিতে উঠেছিলেন মুরুটিয়া থানার এএসআই শিবশঙ্কর বসু। সরকার পক্ষের আইনজীবী অনিকেত জোয়ারদারের প্রশ্নের উত্তরে শিবশঙ্করবাবু বলেন, “সিরাজের বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধারের পরে করিমপুর ব্যাঙ্ক কাণ্ডের অন্য অভিযুক্ত স্মরজিৎ সরকারের বাড়িতে যাই বড়বাবুর সঙ্গে। সেখানে স্মরজিতের খাটের তলা থেকে একটি সুটকেস উদ্ধার করা হয়। সেই সুটকেসে ব্যাঙ্কের সিল করা ৭০ হাজার টাকা পাওয়া যায়। এরপরে ২৫ নভেম্বর ২০০৯ সালে সিআইডি’র সাব ইন্সপেক্টর মহম্মদ জামালউদ্দিন ও সিআইডি’র বেশ কিছু অফিসার করিমপুর থানায় আসেন। পুলিশের হেফাজতে থাকা করিমপুর ব্যাঙ্ক কাণ্ডের তিন অভিযুক্তকেও তাঁরা সঙ্গে করে নিয়ে আসেন। তাঁদের সঙ্গে করে একটি গ্রামের আমবাগানে যাওয়া হয়। সেখানেই ঝোপের মধ্যে থেকে একটি করে চপার বার করা হয়। মাটি খুঁড়ে একটি প্লাস্টিকের ব্যাগও উদ্ধার করা হয়েছে। সেই ব্যাগে ব্যাঙ্কের সিল করা ২০ হাজার টাকা পাওয়া যায়।” এই দিনের মতো সাক্ষ্যগ্রহণ সেখানেই শেষ হয়। |
মায়ের পাশ থেকে উধাও হয়ে গেল মাস তিনেকের এক শিশুকন্যা। শনিবার গভীর রাতে এমনই ঘটনা ঘটেছে শান্তিপুর পুরসভার মালঞ্চ এলাকায়। বিষয়টি শান্তিপুর থানার পুলিশকে জানানো হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শান্তিপুর পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের মালঞ্চ এলাকায় সরিফা বিবির বাপের বাড়ি। দিনকয়েক আগে তিনি সেখানে এসেছেন। ওই রাতে শিশুটি সরিফা বিবি এবং তাঁর দিদিমা বেসরা বেওয়ার মাঝে ঘুমোচ্ছিল। গভীর রাতে সরিফা বিবি হঠাৎ দেখেন শিশুটি বিছানায় নেই। ঘরের দরজা খোলা। সরিফা বিবির চিৎকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। স্থানীয় কাউন্সিলর কংগ্রেসের শাজাহান শেখ বলেন, “এ ধরনের ঘটনার কথা আগে কখনও শুনিনি। কী করে, কেন এমনটা হল বুঝতে পারছি না।” |
রাস্তার মধ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীকে কোপ মারার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি দিল উত্তেজিত জনতা। রবিবার সকালে কৃষ্ণগঞ্জের খালবোয়ালিয়া মোড়ে বেলা দশটা নাগাদ এলাকার বহু লোকের উপস্থিতিতেই বিপ্লব বিশ্বাস নামে ওই ব্যক্তি রামদা দিয়ে তাঁর স্ত্রী সুমিতা বিশ্বাসকে কোপাতে শুরু করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই দম্পতি পৃথক থাকেন। পারিবারিক অশান্তির জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশের অনুমান। সুমিতাদেবীকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পুলিশ গিয়ে বিপ্লববাবুকে উদ্ধার করে। পরে তাঁকেও হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। |
রাজ্যে পূর্ত দফতরের বকেয়া ঋণের পরিমাণ ৩৯২ কোটি টাকা বলে জানালেন পূর্ত প্রতিমন্ত্রী সুব্রত সাহা। শনিবার সাগরদিঘিতে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “অর্থের সংস্থান না করেই বামফ্রন্ট সরকার বেহিসেবি খরচ করেছে। তাই এই দেনা হয়েছে। ঠিকাদারেরা এই টাকা পাবেন।” তিনি জানান, সাগরদিঘিতে চারটি রাস্তা তৈরি করা হবে বর্ষার পরেই। |
পুত্রবধূকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগে শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার গভীর রাতে রঘুনাথগঞ্জের কৃষ্ণশাইল গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতের নাম ববি বিবি (২০)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ববির বাড়ি পাশের গ্রাম কুলগাছি বটতলায়। বছর দুয়েক আগে কৃষ্ণশাইলের অলোকেশ শেখের সঙ্গে বিয়ে হয়। তাঁদের দশ মাসের একটি ছেলেও আছে। প্রায়ই তাঁদের মধ্যে বচসা হয়। তার জেরে কয়েকবার বাপের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন ববি। গত দু’দিনে শাশুড়ি মরিয়ম বিবির সঙ্গে তাঁর অশান্তি চরমে ওঠে। স্বামী-শ্বশুর সেই সময়ে অন্য জেলায় কাজে গিয়েছিলেন। শনিবার ভোর রাতে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। এরপরেই খবর যায় পুলিশ এবং ববির বাপের বাড়িতে। ববির দিদিমা গোলেনুর বেওয়া বলেন, “নাতনির শাশুড়ি ও ননদকে চেপে ধরতেই নাতনিকে খুনের কথা ওরা কবুল করেন। ববির ননদ বলেছে মরিয়ম নাতনির গলায় কাপড় জড়িয়ে ওকে খুন করেছে। পরে মৃতদেহ গঙ্গায় ফলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। ননদ ও দেওরেরা তাতে রাজি হয়নি।” এরপরেই পুলিশ মরিয়মকে গ্রেফতার করে। ননদ এবং দেওররা পলাতক। তাঁদের বিরুদ্ধেও খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে। |
কান্দির গোকর্ণে খুব দরিদ্র পরিবারের এক তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে। মহিলার নাম সান্ত্বনা কোনাই (২৮)। |