|
|
|
|
পানীয় জলের সঙ্কট তীব্র সাগরদিঘিতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা ² সাগরদিঘি |
প্রচণ্ড গরমে পানীয় জলের সঙ্কট তীব্র আকার নিয়েছে সাগরদিঘিতে। ১১টি গ্রামের প্রায় ৫৩৮টি নলকূপ দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে থাকায় এই বিপত্তি। গোটা এলাকার পরিস্থিতির কথা জানিয়ে শনিবার প্রতিমন্ত্রী সুব্রত সাহার কাছে একটি রিপোর্ট পাঠিয়েছেন বিডিও সিদ্ধার্থ গুঁই। এ দিন বিষয়টি নিয়ে বিডিও-র সঙ্গে আলোচনাও করেন সুব্রতবাবু। তিনি বলেন, “ব্লকের প্রায় ২২০টি গ্রামে ৫৩৮টি নলকূপ খারাপ বলে বিডিও রিপোর্ট দিয়েছেন। এগুলি সারাতে যে পরিমান অর্থ লাগবে বিভিন্ন সরকারি সংস্থার নানা প্রকল্পের মাধ্যমে তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বিডিওকে এ ব্যাপারে একটি পরিকল্পনা তৈরি করে রাখতে হবে যাতে দ্রুত সেগুলো সংস্কার করা যায়। শোচনীয় অবস্থা আদিবাসী গ্রামগুলির।”
প্রবল গরমে সাগরদিঘিতে এই জলকষ্ট প্রসঙ্গে সিদ্ধার্থবাবু বলেন, “সামগ্রিক ভাবে জলস্তর নেমে যাওয়ায় এই বিপত্তি। মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিল থেকে ৩০ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। তা দিয়েই কিছু নলকূপ সারানো হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে যে সব নলকূপ অকেজো তার বেশিরভাগেরই ‘রিসিংকিং’ করা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে প্রতিটি নলকূপের জন্য ৩০-৩৫ হাজার টাকা দরকার। সব মিলিয়ে প্রায় এক কোটির বেশি অর্থের প্রয়োজন। মন্ত্রীমশায় বিষয়টি জানতে চেয়েছিলেন। তাঁকে এ ব্যাপারে রিপোর্ট পাঠিয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ হলেই কাজ শুরু হবে।” সাগরদিঘি পঞ্চায়েত সমিতিটি সিপিএমের নিয়ন্ত্রণে। সমিতির সভাপতি আব্দুল হাদি বলেন, “এ সময় সাগরদিঘিতে প্রতিবারই জলসঙ্কট বৃদ্ধি পায়। এখানে নলকূপ বসানো ও সংস্কার দু’খাতেই খরচ অনেক। পঞ্চায়েতগুলির পক্ষে তার দায়িত্ব নেওয়া সম্ভব নয়। প্রয়োজন বাড়তি অর্থের। নির্বাচনের জন্যও অনেক পঞ্চায়েতে কাজ করা যায়নি।”
বন্যেশ্বর পঞ্চায়েতটিও সিপিএমের দখলে। প্রধান বাঁকু মণ্ডল বলেন, “পঞ্চায়েতে আপাতত ৮ লক্ষ টাকা পড়ে আছে। এ নিয়ে ৩২টি নলকূপ রিসিংকিং করার দরপত্র ডাকা হয়েছে। কিন্তু এর বাইরেও ৩৩টি অকেজো নলকূপ সারানোর জন্য বিডিওকে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। এ দিকে, প্রায়ই গ্রাম থেকে নলকূপ খারাপের অভিযোগ আসছে।” একই অবস্থা কংগ্রেস নিয়ন্ত্রিত বালিয়া পঞ্চায়েতের। প্রধান পিটার হাঁসদা বলেন, “২২টি গ্রামে ২৮৪টি নলকূপ রয়েছে। এর মধ্যে ৫৭টি দীর্ঘদিন ধরে খারাপ হয়ে আছে। তা ছাড়া বহু গ্রামে এখনও পর্যাপ্ত সংখ্যায় নলকূপই বসানো হয়নি। তাই ৫৮টি নতুন নলকূপ বসানোর সুপারিশ করা হয়েছে। বাকি নলকূপগুলিতেও জল উঠছে না। ফলে ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন বাসিন্দারা। বহু গ্রামে পুকুরের জল ব্যবহার করা হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|