টেকনিক্যাল ডিরেক্টর সুব্রত ভট্টাচার্যের কাছ থেকে ফুটবলারদের তালিকা নিয়ে দীপক মণ্ডল, সুরকুমার, বেলো রাজাক, ড্যানিয়েল, মঞ্জুদের নেওয়ার চেষ্টা শুরু করল চিরাগ ইউনাইটেড ক্লাবের স্পনসররা। তবে এই মূহূর্তে ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে স্পনসরদের ঝামেলা তুঙ্গে।
চিরাগ কর্তা কৌস্তুভ রায় নিজে সুব্রতর বাড়ি থেকে তালিকা নিয়ে এলেও ক্লাব কর্তারা এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। তাঁরা সুব্রতকে কোচই চান না। সুব্রতর তালিকা তাঁরা চাননি। কৌস্তুভ আজ সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন ডেকেছেন, গত চার বছর কী ভাবে তিনি ক্লাব চালিয়েছেন জানাতে। এ দিন তিনি বললেন, “আমি চাইছি কোচ যে হবে, সে-ই টিমের তালিকা দিক। সুব্রতর থেকে সেই তালিকা নিয়ে কাজ শুরু করেছি। যদি ওরা সঙ্গে আসে ভাল, না হলে আমিই দল চালাব।” ইউনাইটেড সচিব আলোকেশ কুণ্ডু পাল্টা বললেন, “স্পনসররা সব ক্লাবেই পরামর্শ দেয়। টিম করেন ক্লাব কর্তারা। কোনও স্পনসর যদি টিম করে, তা হলে অন্য কোনও দেশে হয়তো খেলবেন বলে করছেন।” এ এফ সি, এ আই এফ এফ এবং আই এফ এ-তে এই ক্লাবের নথিভুক্তি এখন ইউনাইটেড স্পোর্টস ক্লাব নামে। সেখানে চিরাগ শুধু রয়েছে টাইটেল স্পনসর হিসাবে। এ দিকে স্পনসর কর্তাদের কাছে দেওয়া সুব্রতর তালিকায় সুনীল ছেত্রী, অর্ণব, ডেনসন, লালকমল, শুভাশিস, অভিজিৎদের মতো পুরনো দলের মোট ১৬ জনের নাম রয়েছে। বিদেশিদের মধ্যে কোরিয়ান চোই ও দু’বছরের জন্য জোসিমারকে রেখে দেওয়ার কথা বলেছেন সুব্রত। জুনিয়র, চিকা ওয়ালিকে বাদ দিয়ে বেলো রাজাক এবং ড্যানিয়েলকে দলে নিতে আগ্রহী তিনি। সুব্রত বলেন, “আমার কাছে যারা তালিকা চেয়েছে, তাদের দিয়েছি। ক্লাব কর্তাদের দিতে গেছিলাম। ওরা নেয়নি। বলেছে পরে নেবে।”
|
ট্রেভর জেমস মর্গ্যানের সহকারী হতে চলেছেন ময়দানের পরিচিত কোচ রঞ্জন চৌধুরী। অস্ট্রেলিয়া থেকে ছুটি কাটিয়ে লাল-হলুদের ব্রিটিশ কোচ শহরে ফিরলেই সরকারি ভাবে রঞ্জনের নাম ঘোষণা করা হবে। ফুটবল সচিব সন্তোষ ভট্টাচার্য বললেন, “মর্গ্যান দেশে যাওয়ার আগে রঞ্জনের ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন। কোচ আমাদের জানিয়েছেন রঞ্জনকে সহকারী হিসাবে তাঁর পছন্দ হয়েছে। সে জন্যই ওঁকে নিচ্ছি আমরা।” টালিগঞ্জ অগ্রগামীর বর্তমান কোচ রঞ্জনকে বেছে নেওয়ার মূলত তিনটি কারণ দেখাচ্ছেন লাল-হলুদ কর্তারা
এক) ছোট দলে কাজ করে সাফল্য পেয়েছেন। সাদার্ন সমিতিকে প্রিমিয়ারে তুলেছেন।
দুই) ময়দানে বা যুবভারতীতে যে ম্যাচই হোক খেলা দেখতে আসেন।
তিন) বেশ কয়েক জন প্রতিশ্রুতিমান ফুটবলার তুলে এনেছেন এবং দশ বছর ময়দানে খেলার অভিজ্ঞতা। ইস্টবেঙ্গল কর্তারা অবশ্য শুধু সহকারী কোচ হিসাবেই দেখতে চাইছেন না রঞ্জনকে। তাঁকে দেওয়া হচ্ছে পুরো ফুটবল টিমের ভাল-মন্দ দেখার দায়িত্ব। ইস্টবেঙ্গল ফুটবল সচিব বললেন, “রঞ্জনের কাজটা পুরো সময়ের। অনুশীলনের পরই তার কাজ শেষ হয়ে যাবে না।” আসলে ইস্টবেঙ্গল কর্তারা এ বার চাইছেন, মর্গ্যানের সঙ্গে পুরো একটা ‘সহকারী টিম’ তৈরি করে দিতে। সে জন্য রঞ্জন-অতনুর পাশাপাশি অ্যালভিটো ডি’কুনহাকেও ফুটবলার কাম সহকারী কোচ হিসাবে রাখতে চাইছেন তাঁরা। মর্গ্যান তাতে সবুজ সঙ্কেতও দিয়েছেন।
|
বাংলা থেকে কেন কোচ বেরোচ্ছে না বলে যখন হাহাকার চলছে, সব খেলায় বিদেশি কোচের দাপট, তখন আমেরিকানদের প্রশিক্ষণ দিতে সস্ত্রীক চললেন এক বাঙালি টেবল টেনিস কোচ জয়ন্ত পুশিলাল। তাঁর সঙ্গে কোচিং দেবেন দুই প্রাক্তন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন গাউজুং, বেনস্টন ও ভারতের প্রাক্তন জাতীয় কোচ কনস্ট্যানিও। ১০ জুন তিন মাসের জন্য ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রশিক্ষণ দিতে যাচ্ছেন জয়ন্ত। সঙ্গে থাকবেন তাঁর স্ত্রী সুপ্রিয়া। থাকছেন রণবীর দাস, শৌভিক রায়, দীপঙ্কর অধিকারীর মতো পরিচিত তারকারা। তাঁরা ট্রেনিং পার্টনারের কাজ করবেন।
নারকেলডাঙা সাধারণ সমিতিতে ট্রেনিং করিয়ে বিভিন্ন বিভাগে ১৪ জন জাতীয় চ্যাম্পিয়ন করেছেন জয়ন্ত। তাঁর ২৫ জন ছাত্র জাতীয় দলে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। প্রশিক্ষণে সাহায্য করেন সুপ্রিয়া। আমেরিকার মিলপিটাসে প্রবাসী ভারতীয় রাজুল শেখ টিটি ক্যাম্প চালান আমেরিকানদের নিয়ে। সেখানেই ডাকা হয়েছে এই টিটি দম্পতিকে। এই বিরল কৃতিত্বের জন্য ৯ তারিখ নারকেলডাঙায় তাঁদের সংবর্ধনা।
|
শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যান হিসেবে লর্ডসে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করার সুযোগ হাতছাড়া করলেন তিলকরত্নে দিলশান। মাত্র সাত রানের জন্য। দিলশানের ডাবল সেঞ্চুরি (১৯৩) না হলেও তৃতীয় দিনের শেষে ভাল জায়গায় শ্রীলঙ্কা। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের ৪৮৬ রানের জবাবে সঙ্গকারারা ৩৭২-৩। জয়বর্ধনে ৪০ এবং সমরাবীরা ১ রানে ব্যাট করছেন। বৃষ্টির জন্য অবশ্য সময়ের আগেই খেলা বন্ধ হয়ে যায়। ইংল্যান্ডের হয়ে দু’উইকেট নেন ফিন। মহমেডানে ওডাফে, বাবাতুণ্ডে: আগামী মরসুমের জন্য চার বিদেশি ফুটবলার প্রায় নিশ্চিত করে ফেলল মহমেডান। মোহনবাগানের প্রাক্তন স্টপার পিটার ওডাফে, ওএনজিসি-র বাবাতুণ্ডে, টেকনো এরিয়ানের স্ট্যানলি এবং হ্যান উক। কোরিয়ান মিডফিল্ডার হ্যান উক গত বছর থেকেই মহমেডানে। তাঁর সঙ্গে আরও এক বছরের চুক্তি আছে মহমেডানের। কোচ অলোক মুখোপাধ্যায় বললেন, “যাদের টার্গেট করেছি, সবাইকে পেলে নতুন মহমেডানকে দেখা যাবে।” জয়ন্ত সেন, ব্র্যাঙ্কো, অনুপম সরকার এবং সফর সর্দারকেও খেলার জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন কর্তারা।
|
এএনঘোষ ট্রফি জেতার পর স্থানীয় লিগের কোয়ার্টার ফাইনালেও ভাল জায়গায় মোহনবাগান। পেসার সামি আমেদের দাপটে। বৃষ্টি-বিঘ্নিত ম্যাচে এ দিন খেলা হয়েছে ৪৭ ওভার। কিন্তু তার মধ্যেই ৬ উইকেট চলে গিয়েছে শ্যামবাজারের। রান উঠেছে মাত্র ১২৯। সামি এএনঘোষ ফাইনালের মতো এ দিনও সফল। একাই তোলেন চার উইকেট। এ দিকে, নক আউট সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গল বনাম বিএনআর ম্যাচ বৃষ্টির কারণে এ দিন ভেস্তে গেল।
|
মোহনবাগানের জুনিয়র দলের চার জন বায়ার্ন মিউনিখের জুনিয়র দলে এক মাসের ট্রেনিং নিতে যাচ্ছেন। |