|
|
|
|
সম্পাদক সমীপেষু... |
গণতন্ত্র কিন্তু মতান্তরকেও মান্য করে |
মৃণাল সেনের ‘আমি কার্ড হোল্ডার নই, ওর...’ (১৪-৫) রচনাটি পড়ে লিখছি। আমরা অনেকেই প্রায় পঁয়ত্রিশ বছর ধরে এই সরকারের কথা ও কাজকে নিজেদের অভিজ্ঞতার পরিসরে দেখছি এবং বিচার করছি। কিন্তু সেই কাজটি করতে গিয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনা থেকে চোখ ফিরিয়ে নেওয়াটা সঙ্গত নয়। তিনি লিখেছেন, ‘‘শিল্পী-সাহিত্যিকরা সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা পেয়েছেন এই বামফ্রন্ট আমলেই। সিনেমার কর্মী হিসাবে আমি নন্দনের কথা উল্লেখ না-করে পারছি না।” জানতে ইচ্ছা করে বামফ্রন্টের নীতির সমালোচনা করেছেন, এমন একজনও কি সহযোগিতা পেয়েছেন? উল্টে নানা ভাবে এই সব শিল্পী-সাহিত্যিকের আত্মপ্রকাশের পক্ষে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। অজস্র উদাহরণ দিতে পারি।
আর নন্দন? এই ‘আন্তর্জাতিক মানের সিনেমা কমপ্লেক্স’টি ঠিক কী ভাবে চলে সেটা কি শ্রীসেনের বিদেশি বন্ধুরা জানেন? ‘হারবার্ট’ প্রদর্শনের আগে টালবাহানা, সাম্প্রতিক ‘স্থানীয় সংবাদ’ প্রদর্শন নিয়ে কোর্ট পর্যন্ত ছুটে যাওয়ার কাহিনি কি তাঁদের জানা আছে? নন্দনের প্রাক্তন অধিকর্তা টিভি চ্যানেলে বলেছেন যে, তিনিই একা ঠিক করেন কোন ছবি প্রদর্শিত হবে। কী তার মাপকাঠি? বলতে পারেননি। আমার মতো বহু মানুষ, যাঁরা এলিটিজম-এর ধার ধারেন না তাঁদের কাছে নন্দন ও তার ওই চত্বর সাংস্কৃতিক সন্ত্রাসের সদর দফতর। যেখানে এমনকী লিটল ম্যাগাজিনের গণতান্ত্রিক পরিসরকেও রাষ্ট্র খেয়ে ফেলতে পারে। এলিটিজিমের বাইরে যে বিপুল সাধারণ মানুষ, যাঁদের করের টাকায় নন্দনের রমরমা, তাঁদের বিনোদনের মূল উৎস টালিগঞ্জের জন্য বামফ্রন্ট কী কী কাজ করেছে জানতে পারলে ভাল লাগত। এবং প্রতি বার ভোটের আগে তাদের কী কী প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, সেটাও জানা জরুরি। এ সব আমাদের মতো সাধারণের অভিজ্ঞতা। অবশ্যই শ্রীসেনের অভিজ্ঞতা অন্য রকম। কারণ, তাঁর কোনও দিন মনান্তর হয়নি। গণতন্ত্রে কিন্তু মনান্তর হলেও প্রাপ্য সুযোগ সুবিধা ও সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত করার অধিকার থাকে না।
বোলান গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতা-৩
|
সেতু নির্মাণ
|
দীর্ঘ ৩৪ বছরের বাম শাসনে বাঁকুড়া জেলা অবহেলিতই থেকে গেল। এই জেলার তেমন কোনও উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হল না। এই জেলাটার উন্নয়নকল্পে দামোদর নদের উপর পানাগড়ের দিকে সিলামপুরের ঘাট থেকে ও-পারের রাঙামাটি ঘাট অবধি কপাট বাঁধ-সহ সেতু সংযোগ চাই। নানা কারণে এটি জরুরি। মুখ্য হেতুটি হল, এতে বিশ্ব হেরিটেজ মর্যাদার মুখ্য দাবিদার শান্তিনিকেতন ও বিষ্ণুপুরের মধ্যে সড়ক যোগাযোগের দূরত্ব প্রায় ৩০-৪০ কিমি কমে যাবে। রুটটা হবে শান্তিনিকেতন-ইলামবাজার-পানাগড়-রাঙামাটি-সোনামুখী-বিষ্ণুপুর। উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের যোগ সুদূরপ্রসারী হবে। সংলগ্ন এলাকায় নতুন জলাধার নির্মাণের মাধ্যমে যেমন ইকো ট্যুরিজম গড়ে উঠবে, পর্যটনশিল্প অর্থনীতিকে উন্নত করবে, তেমনই ক্রমবর্ধমান দুর্গাপুর-পানাগড় শিল্পাঞ্চলের জলের চাহিদাও মিটবে।
শক্তিপদ রক্ষিত। শিক্ষক, দেশবন্ধু বিদ্যালয় (বালিকা), বাংলা মাধ্যম, চিত্তরঞ্জন
|
হাওড়া স্টেশন চত্বরে হাট-বাজার বন্ধ হোক |
|
হাওড়া স্টেশনের সাব-ওয়ে থেকে শুরু করে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত প্রতিটি ফুটপাথ ও যাত্রী চলাচলের রাস্তায় শুধু হকার আর হকার। অত্যন্ত অপরিচ্ছন্ন এবং নরকদশা। বাইরে থেকে যে কোনও মানুষ হাওড়া স্টেশন থেকে বের হলেই বুঝে নেবেন আমাদের রুচিবোধ কত নীচে। এ-নিয়ে অনেক লেখালেখি হলেও কেউ মাথা ঘামায়নি। আশা ছিল, মমতাদেবী এ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভাববেন। কিন্তু পরিস্থিতির তেমন কোনও উন্নতি হয়নি। অবিলম্বে হাওড়া সাব-ওয়ে এবং সামনের চত্বরের হাট-বাজার সরিয়ে যাত্রীদের প্রাপ্য অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হোক। ব্যবস্থা হোক হাওড়া স্টেশন-চত্বরের সৌন্দর্যায়নেরও।
সুদর্শন নন্দী। রাঙামাটি, মেদিনীপুর |
|
|
|
|
|