আলোচনাপন্থী আলফা গোষ্ঠীর দিকে এ বার হত্যার অভিযোগ এনে আঙুল তুললেন পরেশ অনুগত আলফা নেতারা। গত মাসের ৩ তারিখে বাক্সা জেলার থালকুচিতে পুলিশ ও ডোগরা রেজিমেন্টের যৌথ বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন পরেশপন্থী লেফটেন্যান্ট কর্পোরাল গণ শরণিয়া। পুলিশ দাবি করেছিল, দু’ তরফে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু ঘটে ওই জঙ্গির। সংঘর্ষস্থল থেকে একটি এ কে ৪৭ রাইফেল, একটি ৯ মিলিমিটার পিস্তল ও ৩০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে বলেও জানিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু এক ই-মেল বার্তায় পরেশ গোষ্ঠীর লেফটেন্যান্ট অরুণোদয় দহোটিয়া দাবি করেছেন, আলোচনাপন্থী নেতারাই পরেশপন্থী গণ শরণিয়াকে খুন করেছেন। পরেশ গোষ্ঠীর তরফে অরুণোদয় দহোটিয়া বলেছেন, “সেনা বা পুলিশ নয়, আলফার ৭০৯ ব্যাটেলিয়নের কম্যান্ডার হীরা শরণিয়ার নেতৃত্বে গণ শরণিয়াকে বাড়ি থেকে টেনে এনে হত্যা করা হয়েছে। গণ নিরস্ত্র অবস্থায় ছিলেন। তাঁর কাছ থেকে অস্ত্র পাওয়ার গল্পও একেবারেই সাজানো।” আলফাকে বিভাজিত করে ভ্রাতৃঘাতী সংগ্রামের পথে পরিচালিত করার জন্য আলোচনাপন্থীদের দায়ী করেন অরুণোদয়। ‘পথভ্রষ্ট’ নেতাদের হুমকি দিয়ে পরেশের বকলমে দহোটিয়া জানান, আলফা সংযম দেখিয়ে আসছে, তার মানে এই নয় যে সব কিছু মেনে নেওয়া হবে। অসমের স্বাধীনতা সংগ্রাম যে কোনও পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর পরেশ বরুয়া। হীরা শরণিয়া-সহ বাকি সশস্ত্র সদস্যকে, ভারতের প্রলোভনে না ভুলে সংগ্রামের পথে ফিরে আসার আহ্বানও জানন অরুণোদয়।
|
গোপালগঞ্জে জেলের মধ্যেই কয়েদিদের হাতে চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। মুখ্যমন্ত্রী সচিবালয় সূত্রে খবর, চিকিৎসকের পরিবারের তরফে এবং চিকিৎসক সংগঠনের তরফে বারবার সিবিআই তদন্তের দাবি জানানো হয়েছিল। সে কথা মাথায় রেখেই এ ঘটনার ব্যাপারে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, গোপালগঞ্জ জেলে অপহরণের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী রঞ্জন যাদবের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে গিয়েছিলেন বর্ষীয়ান চিকিৎসক বুদ্ধদেব সিংহ। রঞ্জনরা তাঁকে চাপ দেয়, মিথ্যা সার্টিফিকেট দিয়ে জেল থেকে তাদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে।
|
মাকে বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যু হল ১৫ বছরের এক কিশোরের। ঘটনাটি ঘটেছে গত কাল রাতে শক্তিনগরে। নিহত কিশোরের নাম বিশাল রাই। পুলিশ জানিয়েছে, কাল রাতে বিশালের মা এক দর্জির দোকান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। তখনই হঠাৎ মোটর সাইকেলে চেপে দু’জন দুষ্কৃতী তাঁর গলার সোনার হার ছিনিয়ে নিয়ে পালাতে যায়। সঙ্গে সঙ্গে বিশাল তার মাকে বাঁচাতে ছুটে যায়। তখনই দুষ্কৃতীরা তার দিকে তিন রাউন্ড গুলি চালায়। তার পর দ্রুত বেগে পালিয়ে যায় তারা। গুরুতর জখম বিশালকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও এখনও কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। এর আগে কাল দুপুরেও একই রকম ঘটনা ঘটেছে এই এলাকায়। সে ক্ষেত্রে মোটর সাইকেলে চেপে দুই দুষ্ক্ৃতী অনুরাধা পাণ্ডে নামের ৫৫ বছরের এক মহিলাকে গুলি করে খুন করে পালায়। সেখানেও ওই মহিলার হার ছিনতাই করা উদ্দেশ্য ছিল তাদের।
|
সন্দেহভাজন আট জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ। ওই জঙ্গিরা ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন ও সিমির সদস্য বলে অভিযোগ। জব্বলপুর ও ভোপাল থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান রাজ্য পুলিশের ডিজি। তারা গুজরাত ও মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা। খবরটি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের জানানো হয়েছে।
|
গুয়াহাটির বিবেকানন্দ সেন্টারে বিস্মৃতপ্রায় বাঙালি সুরকার জিতেন দেবকে রম্য একটি অনুষ্ঠানে স্মরণ করা হল। অনুষ্ঠানে সমবেত হয়েছিলেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল রঞ্জিত শেখর মুশাহারি, অসমের শিল্প-বাণিজ্যমন্ত্রী প্রদ্যোৎ বরদলৈ, অসম প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি ভুবনেশ্বর কলিতা ছাড়াও খগেন মহন্ত, অর্চনা মহন্ত, হোমেন বরগোহাঁই, পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়, অণিমা বরঠাকুর প্রমুখ বিশিষ্ট জনেরা। একটি স্মারকগ্রন্থ ছাড়াও জিতেন দেবের জীবন ও কাজ নিয়ে একটি ওয়েবসাইটেরও সূচনা হল এই দিন। প্রকাশিত হল হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ নির্মলকান্তি ভট্টাচার্যের ‘হোপ ফর হার্ট কেয়ার’। |