ঠাকুরপুকুর, নাদিয়াল, মেটিয়াবুরুজ, রিজেন্ট পার্ক, তিলজলা, কসবা, পূর্ব যাদবপুর হয়ে তা শেষ হয় যাদবপুর থানায়। প্রতিটি থানায় কলকাতা পুলিশের প্রতিনিধিরা বিভিন্ন বিষয়ে (থানার এলাকা, কর্মী-সংখ্যা, অপরাধের হার ও ধরন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা) সংশ্লিষ্ট থানার আইসিদের সঙ্গে কথা বলেন। থানার এলাকা কত বড়, সে ব্যাপারে ম্যাপ নিয়ে কথা হয়। থানাগুলির পরিকাঠামোগত সমস্যা নিয়েও কথা হয়। বিশেষ জোর দেওয়া হয় ট্রাফিক ব্যবস্থায়। প্রতিটি থানায় প্রায় আধ ঘণ্টা ছিল পরিদর্শক দল। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল) মুরলী ধর বলেন, “কলকাতা পুলিশের কর্তারা থানার পরিস্থিতি দেখেছেন। তাঁদের বিভিন্ন তথ্য দেওয়া হয়েছে।” জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, প্রায় সবক’টি থানাতেই গাড়ির সমস্যা আছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ৯টি থানা কলকাতা পুলিশের আওতাভুক্ত করতে পুলিশকর্তারা বেশ কিছু পরিকল্পনা নিয়েছেন। ৯টি থানা ভেঙে আরও কয়েকটি থানা করা হবে। ওই থানাগুলির মোট এলাকা ৮০ বর্গকিমি। কলকাতা পুলিশের ৪৮টি থানার এলাকা ১১০ কিলোমিটার। এত বড় এলাকায় নজরদারি চালাতে ৯টি থানা যথেষ্ট নয় বলেই কলকাতা পুলিশের কর্তারা মনে করছেন। রাজ্য পুলিশের থানাগুলিকে একইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ দমন করতে হয়। কিন্তু অপরাধ দমনের জন্য কলকাতা পুলিশের পৃথক গোয়েন্দা বিভাগ আছে। এ ছাড়াও, ওই ৯টি থানার কর্মীদের কলকাতা পুলিশে ডেপুটেশনে আনা হতে পারে বলেও জানা গিয়েছে।
সল্টলেক-সহ দুই ২৪ পরগনার শহরতলির যানশাসনের দায়িত্ব কলকাতা পুলিশকে দেওয়ার প্রস্তাব বহু আগের। প্রথম পর্যায়ে সল্টলেক, দ্বিতীয় পর্যায়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, শেষ পর্যায়ে উত্তর ২৪ পরগনার কলকাতা লাগোয়া শহরাঞ্চলকে লালবাজারের আওতায় আনার কথা হয়। বাইপাস, বিমানবন্দর, ভিআইপি রোড, নবদিগন্ত ও রাজারহাটের মেজর আর্টারিয়াল রোড কলকাতা পুলিশকে দেওয়ারও প্রস্তাব হয়। বাইপাস ছাড়া কোথাও তা কার্যকর হয়নি। রাজারহাটের রাস্তার দায়িত্ব কলকাতা পুলিশকে দিতে ফাইলে সই করেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। শিলান্যাসও হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা কলকাতা পুলিশের আওতায় আসেনি। |