কিছু এলাকা জল পাচ্ছে। কিছু এলাকার জুটছে নোনা ও হলুদ জল। একই ওয়ার্ডের এই দুই ভিন্ন ছবি হাওড়া পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের। গরম পড়তেই এখানে শুরু হয়েছে জলের জন্য হাহাকার। জলের দাবিতে বাসিন্দারা পথ অবরোধও করেছিলেন।
সংযোজিত এলাকা না হলেও এই ওয়ার্ডের বিপ্লবী অনাদি দাশ সরণি, হাওড়া আমতা রোড, দাশনগর সদুয়াপাড়া, বেহারাপাড়া প্রভৃতি এলাকায় পদ্মপুকুর জলপ্রকল্পের লাইন ঢোকেনি। কলকাতা মেট্রোপলিটান ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটেশন অথরিটি (কেএমডব্লিউএসএ) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু এলাকায় পানীয় জল সরবরাহ করে। |
বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেই জলের মান অত্যন্ত খারাপ। তা ছাড়া নিয়মিত পর্যাপ্ত জলও পাওয়া যায় না। স্থানীয় বাসিন্দা উমা কুণ্ডু বলেন, “সারা বছরই জল-কষ্ট চলে। জল খুব হলুদ এবং নোনা। সরু সুতোর মতো জল আসত। ভোর চারটে থেকে লাইন দিতে হয়। গ্রীষ্মে একেবারে জল আসছে না। এলাকায় নলকূপ নেই। পুরসভার জলের গাড়িও আসে না।”
স্থানীয় বাসিন্দা শুভাশিস ধাড়া বলেন, “ধাড়াপাড়ায় একটিই কল আছে। তাতেও জল পড়ে না। পাম্প খারাপ হয়ে গিয়েছে। এখন একেবারেই জল আসছে না। বাসিন্দারা পাঁচ লিটারের জারিকেন ৫ টাকা দিয়ে কিনছেন। যাদের সামর্থ্য নেই তাঁরা চ্যাটার্জিপাড়া থেকে পানীয় জল বয়ে আনেন।” বাসিন্দাদের অভিযোগ, লাইনগুলি পরিষ্কার করা হয় না। পাম্পগুলিও নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় না। ফলে মাঝেমধ্যেই বিকল হয়ে যায়। |
সঙ্কট কাটাতে ২৭ মে দাশনগর তদন্ত কেন্দ্রে স্থানীয় কাউন্সিলর, কেএমডব্লিউএসএ এবং বাসিন্দাদের মধ্যে একটি বৈঠক হয়। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মালবিকা সাহা বলেন, “প্রতি বছরই গ্রীষ্মে জলের সঙ্কট হয়। বর্ষার পরে ঠিক হয়ে যায়। ওখানে লাইনে সমস্যা আছে। লাইন বহু পুরোনো। জলের চাপও কম। সমস্যার সমাধানে কেএমডব্লিউএসএ-র সঙ্গে মিটিং করেছি। |
আপাতত বাড়িতে জল দিয়ে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করছি।” কেএমডব্লিউএসএ-র চিফ ইঞ্জিনিয়ার রত্নেশ্বর মজুমদার বলেন, “অনেক জায়গাতেই আমাদের লাইন এবং পাম্পের সমস্যা আছে। তা ছাড়া আমাদের পদ্মপুকুরের লাইনেও মাঝেমধ্যে জল দিতে হয়। ফলে সব জায়গায় ঠিকমতো জল যায় না। দ্রুত এই সমস্যা মিটবে না।”
মেয়র মমতা জয়সোয়াল বলেন, “৯ নম্বর ওয়ার্ডে জলের সঙ্কট আছে। মেয়র পারিষদকে বলেছি এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে। তা ছাড়াও সমস্যা সমাধানের জন্য আমি সকলকে বৈঠকে ডেকেছি।” |