উশু কুংফু চিনের একটি মার্শাল আর্ট। অলিম্পিকে আছে। যদিও সে ভাবে জনপ্রিয় নয়। সম্প্রতি লিলুয়ার অল বেঙ্গল উশু কুংফু অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে এই খেলার প্রশিক্ষণ শিবির হয়ে গেল।
লিলুয়ায় রেলওয়ে হাসপাতালের কাছে শিশু উদ্যানের মাঠে পাঁচ দিন সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত চলে প্রশিক্ষণ। হাওড়া, কলকাতা, হুগলির বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায় ৪০ জন শিক্ষার্থী এসেছিলেন। প্রশিক্ষক ছিলেন প্রদীপকুমার শর্মা, সোমনাথ ভট্টাচার্য, অনিল প্রসাদ, সুনীল সিংহ, প্রদীপকুমার ও মনোজ সোনকার। |
সম্প্রতি গুজরাতের আমদাবাদে জাতীয় উশু কুংফু প্রতিয়োগিতায় বাংলা থেকে ১৩ জন প্রতিযোগী অংশ নেন। ছ’জন ছিলেন হাওড়ার প্রতিযোগী। ছ’জনই সোনা জেতেন। সোনা জয়ী রেনু রাওয়াত, মুকেশ শর্মা, গোবিন্দ রায়, রাজেশ শর্মা, অভিজিৎ দাস এবং শ্বেতা গুপ্তরাও এই শিবিরে অংশ নিলেন। রেনু রাওয়াতের কথায়: “এই ক্যাম্পে এসে নিজের অনেক দোষত্রুটি শুধরে নিতে পারলাম।”
“আমাদের এখানে খেলাটি জনপ্রিয় নয়। শিবির শুরুর আগে তাই প্রচারপত্র বিলি করেছিলাম। আমরা চাই আরও বেশি করে ছেলেমেয়ে খেলাটা শিখুক। খেলাটায় আত্মবিশ্বাস বাড়ে। শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে সুস্থ থাকা যায়। চাকরিরও সুবিধে আছে।”, বলছিলেন অল বেঙ্গল উশু কুংফু অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং হাওড়া ডিস্ট্রিক্ট উশু কুংফু অ্যাসোসিয়েশনের সচিব প্রদীপকুমার শর্মা। |
উশু কুংফুতে হাত এবং পা দু’টিরই ব্যবহার হয়। সিনিয়র খেলোয়াড় ও কোচ সোমনাথ ভট্টাচার্য বললেন, “খেলাটা বডি কন্টাক্ট গেম। এই খেলায় স্ট্রেন্থ এবং স্ট্যামিনা দু’টিই লাগে। পাঞ্চ-কিকের আঘাত থেকে রক্ষা পেতে হেড গার্ড, চেস্ট গার্ড ও সিন গার্ড ব্যবহার করতে হয়।” প্রদীপবাবুর আক্ষেপ, “অর্থের অভাব রয়েছে। কয়েক জন সিনিয়র খেলোয়াড় হংকংয়ের একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ডাক পেয়েও শুধু অর্থের জন্য
যেতে পারেননি। |
হাওড়া স্পোর্টিং ক্লাব ক্রিকেট কোচিং সেন্টার ও সাঁতরাগাছি স্বামী বিবেকানন্দ স্পোর্টিং ক্লাবের আয়োজিত সারা বাংলা টি-টোয়েন্টি নক আউট ক্রিকেট প্রতিযোগিতার এ বার তৃতীয় বছর। এ বার কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান ও মেদিনীপুর মিলিয়ে মোট ১৬টি দল অংশ নিচ্ছে। |