টুকরো খবর

স্বাস্থ্যকেন্দ্র শীর্ণ, চিঠি মুখ্যমন্ত্রীকে
ডুয়ার্সের আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের তুরতুরি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ফের ২৪ ঘণ্টা স্বাস্থ্য পরিষেবা চালুর দাবিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হচ্ছে তৃণমূল। এই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে লিখিত আর্জি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। রাজ্যে স্বাস্থ্যের হাল ফেরাতে মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে একের পর এক ব্যবস্থা নিচ্ছেন তাতে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির হালও ফিরবে বলে আশাবাদী বাসিন্দারা। এক সময়ে তুরতুরি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সমস্ত রকম পরিষেবা মিলত। ২৪ ঘণ্টা পরিষেবা পেতেন এলাকার বাসিন্দারা। স্থায়ী চিকিৎসক, ফার্মাসিস্ট এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীও ছিল। ছিল অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবাও। এখন সকাল ১০টায় একজন চিকিৎসক আসেন। ৩-৪ ঘণ্টা থেকেই চলে যান তিনি। সন্ধ্যার পরে বাসিন্দাদের বিপাকে পড়তে হয়। তুরতুরির অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি জগদীশ দাসের অভিযোগ, “বামফ্রন্ট রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পরে ধীরে ধীরে তুরতুরি স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে সমস্ত পরিষেবা তুলে নেয়। এখন দিনের মধ্যে ৩-৪ ঘণ্টা পরিষেবা মেলে। আমরা চাই, ফের ২৪ ঘণ্টার পরিষেবা চালু হোক। স্থায়ী চিকিৎসক ও ফার্মাসিস্ট নিয়োগ করা হোক। চালু করা হোক অন্তর্বিভাগ।” এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অনিতা বিশ্বাসেরও বক্তব্য, “এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপরে এলাকার ৫০ হাজার মানুষ নির্ভরশীল। তার মধ্যে ৮০ শতাংশ আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত। এলাকার নূরপুর, ধামসিবাদ, ধওলাবস্তি, লোয়ারডাঙি, রামপুর বস্তির মতো দুর্গম এলাকায় ম্যালেরিয়া লেগেই থাকে। ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসা পরিষেবার দাবিতে জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে বহু বার জানানো হলেও কিছুই হয়নি।” জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রাধারমণ বণিক বলেন, “প্রত্যন্ত এলাকার হাসপাতালগুলিতে স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নয়নে বিশেষ পরিকল্পনা হচ্ছে। তুরতুরি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিকাঠামোজনিত সমস্যা দূর করে ২৪ ঘণ্টা পরিষেবা চালু করা হবে।”


রোগিণীকে রক্তদান হাসপাতাল সুপারের
এক রোগিণীর অস্ত্রোপচার আটকে ছিল রক্তের অভাবে। সে কথা শুনে তাঁর জন্য রক্ত দিয়েছিলেন শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালের সুপার জয়ন্ত সান্যাল। মঙ্গলবার ওই রোগিনীর সফল অস্ত্রোপচার হয়। সুপারের এই মানবিকতা দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ সকলে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, মানু সর্দার নামে ওই রোগিনীর বাড়ি বৈঁচির হালদারদিঘি এলাকায়। মানুদেবী এবং তাঁর স্বামী গোপাল সর্দার দু’জনেই খেতমজুরি করে সংসার চালান। দু’টি সন্তানও রয়েছে তাঁদের। গত ২৫ মে জরায়ুর টিউমার অস্ত্রোপচারের জন্য মানুদেবীকে ওয়ালশ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু ভোটের সময় থেকে ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের আকাল চলছে। পরিস্থিতি এমনই যে রোগীর বাড়ির লোকজন রক্তদাতা জোগাড় করে আনতে পারলে তবেই রক্ত মিলছে। মানুদেবীর বাড়ির লোকজন রক্তদাতা জোগাড় করে আনতে পারেননি। সেই কারণে তাঁর অস্ত্রোপচারও আটকে ছিল। রবিবার সকালে সমস্যার কথা জানতে পারেন জয়ন্তবাবু। তৎক্ষণাৎ তিনি হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে গিয়ে রক্ত দিয়ে আসেন। পরে আরও এক জনের রক্ত পাওয়া যায়। সোমবার মানুদেবী বলেছিলেন, “অত বড় এক জন ডাক্তারবাবু আমার জন্য রক্ত দিয়েছেন জেনে খুব ভাল লাগছে। এখন ভালয় ভালয় অপারেশনটা হয়ে গেলে খুব ভাল হয়।” মঙ্গলবার মানুদেবীর অস্ত্রোপচার হয়। সন্ধ্যায় হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁকে দু’বোতল রক্ত দিতে হয়েছে। তিনি সুস্থই আছেন। জয়ন্তবাবু অবশ্য কৃতিত্ব নিতে নারাজ। তিনি বলেন, “আমি মহান কোনও কাজ করিনি। ওই রোগিনীর প্রয়োজনের কথা জেনে রক্ত দিয়েছি মাত্র। আমার রক্ত কারও প্রয়োজনে লাগলে ভাল তো লাগবেই।”


গাফিলতিতে মৃত্যু রোগীর, হাতাহাতি
মারমুখী পুলিশের সামনে রোগীর আত্মীয়েরা। নিজস্ব চিত্র।
চিকিৎসায় গাফিলতিতে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে বহরমপুর হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন মৃতের পরিবারের লোকজন। পুলিশ গিয়ে বুধবারের সকালের ওই ঘটনা সামাল দেয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ৩ জনকে আটক করেছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের বালিরঘাট এলাকার চপলা নাবিক (৬২) নামে এক বৃদ্ধাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বুধবার সকাল ৮টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতের মেয়ে চন্দনা মাঝি বলেন, “ভর্তির পর হাসপাতালে মায়ের চিকিৎসা হয়নি। তার ফলেই মা মারা গিয়েছেন।” মুর্শিদাবাদ জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক সৈয়দ সাজাহান সিরাজ বলেন, “লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে ওই ঘটনার তদন্ত করা হবে।”


হাসপাতাল পরিদর্শনে মহকুমাশাসক
মহকুমাশাসক দেবীপ্রসাদ করণম মঙ্গলবার বিকেলে আচমকা কাটোয়া মহকুমা পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন, হাসপাতালের এক্স-রে বিভাগ বন্ধ রয়েছে। মহকুমাশাসকের দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রোগী কল্যাণ সমিতিতে এক্স-রে ও প্যাথলজি বিভাগ বিকেল ৪টে পর্যন্ত খুলে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই সূত্র ধরে বুধবার মহকুমাশাসক হাসপাতাল সুপারের কাছে চিঠি দিয়ে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে তিনটের সময়ে এক্স-রে বিভাগটি বন্ধ থাকার কারণ জানতে চেয়েছেন। হাসপাতাল সুপার সোমনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, ২০০২ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন স্বাস্থ্য সচিব অসীম বর্মনের নির্দেশ দেন এক্স-রে বিভাগ সকাল ৯টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এখানে সেই নিয়মই মানা হয়েছে। বর্ধমানের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তন্ময় মুখোপাধ্যায় জানান, এক্স-রে বিভাগ বেলা দেড়টা পর্যন্তই খোলা রাখার কথা।


কালনা হাসপাতালে বিক্ষোভ তৃণমূলের
চিকিৎসকদের নিয়ম মেনে ডিউটি, বিনা কারণে রোগীদের স্থানান্তর, ডিউটি চলাকালীন চিকিৎসকদের নাসিংহোমে না যাওয়া, দালালদের হাসপাতাল থেকে বিতাড়িত করা-সহ ১১ দফা দাবিতে বুধবার কালনা মহকুমা হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখাল কালনা শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল। বিক্ষোভ চলাকালীন তৃণমূল নেতা অঞ্জন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দালাল চক্র-সহ নানা বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সতর্ক হতে আবেদন জানানো হয়েছে।” এ দিন তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল হাসপাতালের সুপার অভিরূপ মণ্ডলের হাতে একটি স্মারকলিপি তুলে দেন। অভিরূপবাবুর আশ্বাস, “তৃণমূলের অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখা হবে।” এ দিনের সভায় হাজির ছিলেন ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি মন্টু মজুমদার, সম্পাদক সৌমেন শর্মাসরকার, বাঘনাপাড়া অঞ্চল তৃণমূলের যুব সভাপতি আলি মোল্লা-সহ দলের বেশ কিছু নেতা-কর্মী।


ওষুধের দোকানে ধর্মঘট
ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের একটি নির্দেশিকার প্রতিবাদে ধর্মঘট করল হলদিয়া টাউনশিপের ১১টি ওষুধ দোকান। প্রতিবাদ জানাতে বুধবার দুপুরে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মাখনবাবুর বাজারে ধর্নাতেও বসেন ওই দোকান মালিকরা। গত ২৬ মে আইওসি (হলদিয়া)-র মুখ্য মানবসম্পদ আধিকারিক সুব্রত কুমার গগৈ এক নির্দেশিকায় বলেন, “কোনও আইওসি কর্মী হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষের কো-অপারেটিভের দোকান ছাড়া অন্যত্র ওষুধ কিনলে সেই ব্যয়ভার কর্তৃপক্ষ বহন করবেন না। আইওসি’র হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। এর প্রতিবাদেই ধর্মঘট-ধর্না বলে জানান ওষুধ ব্যবসায়ী মানিক সরকার, সহদেব প্রধানরা। তাঁদের বক্তব্য, “এতে ব্যবসা মার খাবে। ওষুধ কিনতে দূরে যেতে হবে।’’ আইওসি কর্তৃপক্ষের দাবি, স্বচ্ছতা রাখতেই এই সিদ্ধান্ত। হলদিয়ার মহকুমাশাসক অসিতা মিশ্র বলেন, “টাউনশিপ এলাকায় সব ওষুধের দোকান বন্ধ হওয়ায় যাতে পরিষেবার বিঘ্ন না ঘটে সে জন্য দু’পক্ষকেই আলোচনায় বসতে নির্দেশ দিয়েছি।”


খাবার পাননি রোগীরা, বিক্ষোভ
আচমকাই রোগীদের খাবার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বুধবার পানিপারুল প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখালেন রোগীর আত্মীয় ও স্থানীয় বাসিন্দারা। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসক দেবব্রত করণ জানান, যে সংস্থা খাবার সরবরাহ করে কয়েক মাস আগেই তাদের মেয়াদ ফুরিয়েছে। টাকা পায়নি বলে তারা অভিযোগও করছিল। তা সত্ত্বেও তারাই অন্য এক জনের মাধ্যমে খাবার দেওয়ার বন্দোবস্ত করেছিল। কিন্তু সেই লোকটি কাউকে কিছু না জানিয়ে অন্যত্র চলে যাওয়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে ৩০ শয্যা বিশিষ্ট করার কাজ চলছে। আপাতত ১০টি শয্যা রয়েছে। তবে দিনে গড়ে ১৫-২০ জন রোগী ভর্তি থাকেন। অভিযোগ, এ দিন সকালে ও দুপুরে হাসপাতেল কোনও রোগী খাবার পাননি। তৃণমূলের পানিপারুল অঞ্চল সভাপতি দীনেশচন্দ্র প্রধানের কথায়, “কর্তৃপক্ষ খাবারের কোনও ব্যবস্থাও করেননি।” এগরা ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রকাশ রায়চৌধুরী বলেন, “রোগীকল্যাণ সমিতিকে জানানো হয়েছে। তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।”


তামাক প্রতিরোধে আলোচনাসভা
‘তামাক বিরোধী দিবস’ উপলক্ষে মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ার পি জি উচ্চ বিদ্যালয়ে এক আলোচনাসভায় আয়োজন করে স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার শতাধিক তরুণ-তরুণী সভায় যোগ দিয়েছিলেন। ধূমপান নিয়ে সর্তকতা মূলক সাইনবোর্ড দেগঙ্গা, হাড়োয়া এবং মিনাখাঁর বিভিন্ন জায়গায় লাগানোর কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
Previous Story Swasth First Page



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.