আনন্দবাজার পত্রিকা

করন্দার গণহত্যার ‘বিচার’ চেয়ে ফের সরব লিবারেশন

নিজস্ব সংবাদদাতা ²মেমারি

১৮ বছর আগের করন্দা গণহত্যার বিচার চেয়ে মঙ্গলবার পথে নামল সিপিআইএমএল (লিবারেশন)।
১৯৯৩ সালের ৩১ মে মেমারি থানার করন্দায় পঞ্চায়েত ভোটের পরে ৬ জন খেতমজুরকে হত্যা করা হয়। বহু মানুষ ওই আক্রমণে আহত হন। প্রায় ৩৪টি ঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। অভিযোগের তির সিপিএমের স্থানীয় এক নেতা-সহ ৮৩ জনের বিরুদ্ধে। ওই ৮৩ জনের মধ্যে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ দিন মামলা চলার পরে জেলা জজ আদালত এই ঘটনায় অভিযুক্তদের প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস করে দেন। হাইকোর্টেও অভিযুক্তেরা বেকসুর বলে ঘোষিত হন। কিন্তু হাল না ছেড়ে লিবারেশনের নেতারা ২০০৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। দলের নেতা কার্তিক পাল বলেন, “বামফ্রন্ট সরকারের বাধায় এই মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে এখনও শুরু করা যায়নি। তবে রাজ্যে সরকার বদলের পরে আমরা আশাবাদী যে ওই গণহত্যায় জড়িতদের বিচার হবে।”

ছবি: উদিত সিংহ।

প্রতি বছর ৩১মে দিনটিকে শহিদ দিবস হিসেবে পালন করে সিপিএইএমএল (লিবারেশন)। করন্দা গ্রামে এ দিন বিশাল মিছিল গ্রাম পরিক্রমা করে। শহিদবেদিতে মাল্যদানের পরে সভা হয়। বক্তৃতা করেন দলের জেলা কমিটির সম্পাদক শ্রীকান্ত রানা-সহ মৃতদের আত্মীয়েরা। শ্রীকান্তবাবু বলেন, “দোষীদের আইনি পদ্ধতিতে সাজার দাবিতে আমরা দীর্ঘ দিন ধরেই আন্দোলনে নেমেছি। বাম সরকারের বাধায় ওই মামলার নতুন করে শুনানি শুরু করা সম্ভব যায়নি।” এ দিন বর্ধমানের বিজয়তোরণ চত্বরেও একটি সভা করে একই দাবি জানানো হয়।
সিপিএমের বর্ধমান জেলা কমিটির সদস্য কমল গায়েন বলেন, “গোটা রাজ্য জুড়ে অনেক এই ধরনের হত্যা বা গণহত্যার মামলা নতুন করে শুরুর চেষ্টা হচ্ছে। করন্দার গণহত্যার মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন। তাই এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করা সম্ভব নয়।”

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.