৫ পৌষ ১৪১৮ বুধবার ২১ ডিসেম্বর ২০১১





ফুটবলে পশ্চিম বাঙ্গলা স্কুলের পরাজয়,
মধ্য-প্রদেশ ও পাঞ্জাব সেমিফাইনালে উন্নীত




প্তম বার্ষিক জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার শরৎকালীন অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে কর্মব্যস্ত কার্যসূচী সোমবার স্টেডিয়াম মাঠ এবং ইহার সংলগ্ন দুইটি মাঠ, আলীপুর আর্মড পুলিশ মাঠ এবং চৌড়ঙ্গী ওয়াই এম সি এ হলে অনুষ্ঠিত হয়। এইদিনের কর্মসূচী অনুযায়ী সকালে ও বিকালে চারটি করিয়া ফুটবল খেলা এবং দুইটি কপাটী খেলা এই মাঠগুলিতে অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা হয়। টেবিল টেনিস খেলাগুলি হয় চৌরঙ্গী ওয়াই এম সি এ হলে। ফুটবল খেলায় পশ্চিম বাঙ্গলা স্কুলের পরাজয় উল্লেখযোগ্য ঘটনা।

মহীশূর দল কলিকাতায় উপস্থিত না হওয়ায় কোকো প্রতিযোগিতার খেলাগুলি স্থগিত রাখিতে হয়। বর্তমানে যোগদানকারী অবশিষ্ট তিনটি দল থাকায় উহা লীগ প্রথায় খেলা হইবে বলিয়া স্থির হয়।
ফুটবল লীগ প্রিযোগিতার ১নং পুলে গত বৎসরের বিজয়ী মধ্যপ্রদেশ দল সকালে এবং বিকালে একটি করিয়া খেলায় জয়ী হওয়ার মূল প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে উন্নীত হয়েছে। পাঞ্জাব দলও ২নং পুলের দুইটি খেলায় সকালে ও বিকালে বিজয়ী হওয়ার মূল প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে উন্নীত হইয়াছে।

গত বৎসর রানার্স আপ উত্তরপ্রদেশ দল এবং পশ্চিম বাংলা দল একটি করিয়ে পয়েন্ট লাভ করায় ফুটবল প্রতিযোগিতা হইতে বিদায় গ্রহণ করিয়াছে।

মধ্যপ্রদেশ দল প্রথম খেলাটিতে জম্মু ও কাশ্মীর দলকে ৫-১ গোলে পরাজিত করে। বিজয়ী দলের গোল করেন এন কন্টার, চৈতরাম ও রাজেন্দ্র একটি করিয়া ও অমৃতলাল দুইটি। জম্মু ও কাশ্মীর দলের ইউসুফ একটি গোল পরিশোধ করেন ৫-১। তাহারা বিকালের খেলাটিতে কেরালা দলকে ২-০ গোলে পরাজিত করে।

পাঞ্জাব দল সকালের খেলাটিতে উড়িষ্যা দলকে ৩-১ গোলে পরাজিত করে। বিজয়ী দল ইন্দোর সিং একাই তিনটি গোল করিয়া হ্যাটট্রিক করিবার গৌরব অর্জন করেন। এস আলি গোলটি পরিশোধ করেন। পাঞ্জাব দলের দ্বিতীয় খেলাটি বিকালে অনুষ্ঠিত হয়। এই খেলাটিতে তাহারা ত্রিপুরা দলটিকে ৬-০ গোলে পরাজিত করে। ইন্দোর সিং তিনটি এবং রঘুবীর লছমন দাস এবং দর্শন সিং একটি করিয়া গোল করেন।
পশ্চিম বাংলা দল ৩নং পুলের দুইটি খেলার একটিতে বিহার দলের সহিত অমীমাংসিতভাবে খেলা শেষ করে। কোন দলই গোল করিতে পারে না। অন্ধ্র ও পশ্চিম বাংলা দল বিকালের খেলাটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। এই খেলাটিতে অন্ধ্র দল ২-১ গোলে জয়লাভ করে। বিজিত দলের বি রায় একটি গোল করায় তাহারা প্রথম অগ্রগামী হয়। তাহার পর পরমেশ্বর এবং আব্দুল সাকুর বিজয়ী দলের দুইটি গোল করেন।
আর একটি পুলের খেলায় উত্তরপ্রদেশ ও মাদ্রাজ দল মিলিত হয়। কোন দলই গোল করিতে না পারায় ইহা অমীমাংসিতভাবে শেষ হয়। উভয় দলই একটি করিয়া পয়েন্ট লাভ করে। বিকালের খেলাটিতে মণিপুর দল ৪-১ গোলে উত্তরপ্রদেশ দলকে পরাজিত করে। বিজয়ী দলের কে এইচ এস শরণ সিং একাই তিনটি গোল করিয়া হ্যাটট্রিক করিবার গৌরব অর্জন করেন। বিজয়ী দলের আর একটি গোল করেন চোবে। উত্তরপ্রদেশ দলের প্রেমলাল একটি গোল পরিশোধ করেন।


কবাডী প্রতিযোগিতা
এইদিনে কবাডী প্রতিযোগিতার একটি প্রথম রাউন্ডের খেলা মণিপুর ও অন্ধ্র দল অমীমাংসিতভাবে শেষ করে। তাহারা ১৯ পয়েন্ট করিয়া লাভ করে। মঙ্গলবার সকালে পুনরায় খেলাটি অনুষ্ঠিত হইবে। আর একটি খেলায় উত্তরপ্রদেশ দল ৫০-২৯ পয়েন্টে জম্মু ও কাশ্মীর দলকে পরাজিত করিয়া সেমিফাইনালে উন্নীত হয়।

টেবল টেনিস প্রতিযোগিতা
এইদিনে বালক ও বালিকা উভয় বিভাগেরই টেবল টেনিস প্রতিযোগিতার কয়েকটি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। বালক বিভাগের প্রথম রাউন্ডের খেলায় মধ্যপ্রদেশ দলকে ৩-১ খেলায় এবং সেমিফাইনাল খেলাটিতে মণিপুর দলকে ৩-০ খেলায় পরাজিত করিয়া অন্ধ্র দল ফাইনালে উন্নীত হইয়াছে। পশ্চিম বাংলা দল আজও ৩-০ খেলায় পাঞ্জাব দলকে পরাজিত করিয়া ফাইনালে উন্নীত হইয়াছে।

বালিকা বিভাগের একটি সেমিফাইনাল খেলায় মধ্যপ্রদেশ দল ৩-০ খেলায় মণিপুর দলকে পরাজিত করিয়া ফাইনালে উন্নীত হয়। পাঞ্জাব দল না খেলিয়াই ফাইনালে খেলিবার অধিকার লাভ করে। মঙ্গলবার সকাল ৯টার সময় চৌরঙ্গী ওয়াই এম সি এ হলে ফাইনাল খেলাটি অনুষ্ঠিত হইবে।


মঙ্গলবারের কার্যসূচী
সকালে স্টেডিয়াম মাঠে কবাডী ও কোকো খেলা। সকাল ৯টায় টেবল টেনিস ফাইনাল (এয়াই এম সি এ, চৌরঙ্গী) বেলা ২টাফুটবল খেলা। (স্টেডিয়াম মাঠ ও আর্ম পুলিশ মাঠ)। সন্ধ্যা ৬টাসন্তরণ প্রতিযোগিতা। (এন এস সি সীমানা-আজাদহিন্দবাগ)।



Content on this page requires a newer version of Adobe Flash Player.

Get Adobe Flash player



অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.