|
|
শ্রীশ্রীমায়ের শুভ তিথি পূজা |
|
|
|
শ্রীশ্রীসারদেশ্বরী মাতার শুভ আবির্ভাব তিথিকৃত্য ১০ই ডিসেম্বর হইতে দিবসত্রয় ২৬, মহারাণী হেমন্তকুমারী স্ট্রীটস্থ শ্রীশ্রীসারদেশ্বরী আশ্রম ভবনে উদযাপিত হয়। মঙ্গলারতি, স্তব-বন্দনা ও ঊষাকীর্তন সহ মাতৃপূজার উদ্বোধন হয় এবং বিভিন্ন দিবসে হোম-ভোগ-পাঠ, পুণ্যচরিত প্রসঙ্গ ও ভজন কীর্তনাদি বিবিধ অনুষ্ঠানে উৎসবের পরিসমাপ্তি হয়। |
|
|
সভা মন্ডপে শ্রীশ্রীচণ্ডী পাঠ করেন পন্ডিত শ্রীভোলানাথ ভট্টাচার্য এবং ভগবতের কথা বলেন শ্রীদ্বিজপদ গোস্বামী। শ্রীশ্রীমায়ের পূত-চরিতকথা প্রসঙ্গে অধ্যাপক শ্রীবিনয়কুমার সেনগুপ্ত বলেন, মা সারদা মানবী নন। বিশ্বের মা এসেছিলেন মাটির মা হয়ে জগতের কল্যাণে। তিনি ত্যাগ, বৈরাগ্য, তিতিক্ষা ও পবিত্রতার প্রতিচ্ছবি, নারীত্বের ভাব-প্রতিমা। মা যে আদর্শ রেখে গেছেন তাকে জীবনে ফুটিয়ে তোলাতেই নারীত্বের সার্থকতা। শ্রীঅচিন্তকুমার সেনগুপ্ত পরম-পুরুষ শ্রীরামকৃষ্ণের দিব্য জীবনের আদর্শ ও শিক্ষার প্রসঙ্গে বলেন, শ্রীরামকৃষ্ণ ভগবানকে মাতৃরূপে উপাসনা করেছেন। মা সন্তানের মুখে মা-ডাক শুনতে ভালবাসেন। মায়ের ওপর সন্তানেরও দাবি আছে। সন্তানের ক্রন্দনে মায়েরা অত্যন্ত চঞ্চল হয়ে ওঠে, ছেলের ডাকে মাকে সাড়া দিতে হয়। তবে সেজন্য চাই ছেলের ছেলের আন্তরিকতা, মায়ের জন্য ব্যাকুল ক্রন্দন। বিবেকানন্দের মাভৈঃ মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়ে নবভারত কি-ভাবে ভাবী বিপ্লবের ভূমি রচনা করেছিলেন, অতীতের সে গৌরবের কথা আলোচনা করেন অধ্যাপক শ্রীহরিপদ ভারতী।
কীর্তন ও সঙ্গীতে অংশ গ্রহন করেন শ্রীশ্রীরাধারমণ কীর্তন সমাজ, বারাণসী কালীকীর্তন সঙ্ঘ ও স্বামী চিন্ময়ানন্দ, সর্বশ্রী পঙ্কজকুমার মল্লিক, রামকুমার চট্টোপাধ্যায়, মণীন্দ্র দাস, অমর পাল, শুভেন্দু বিশ্বাস ও পরিমল ভট্টাচার্য।
মন্ডপে শ্রীশ্রীমা, শ্রীশ্রীঠাকুর ও গৌরীমাতার বৃহৎ প্রতিকৃতি পুষ্পপত্র ও বস্ত্রাদিতে মনোজ্ঞভাবে সজ্জিত করা হয়।
|
ফিরে দেখা... |
|