|
|
কলিকাতায় ময়দা সংকট, বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষণ নাই
(স্টাফ রিপোর্টার) |
|
|
|
ময়দাকল মালিক ও শ্রমিকদের বিরোধ এখনও নিষ্পত্তি না হইবার ধকল একমাত্র জনসাধারণকেই সহ্য করিতে হইতেছে। কলিকাতার বাজারে এখন মাথা খুঁড়িলেও এক ছটাক ময়দাও পাওয়া যায় না। এই অভিজ্ঞতা নাগরিক মাত্রেই লাভ করিতেছেন। পশ্চিমবঙ্গের শ্রম দপ্তরও তাঁহাদের প্রভাব প্রয়োগ করিয়া আজ পর্যন্ত এই বিরোধের ফয়সালা করিতে পারেন নাই। ভুক্তভোগী নাগরিকমাত্রেই প্রশ্ন করিতেছেন, ‘আমরা কি দোষ করিলাম?’
সোমবার কলিকাতা ময়দাকল এসোসিয়েশনের পক্ষ হইতে প্রচারিত এক বিবৃতিতে কলিকাতার ময়দা সঙ্কটের জন্য শ্রমিকদিগকেই দায়ী করা হয়। উহাতে বলা হয়, বোনাসের পরিমাণ লইয়া ময়দাকল মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের মধ্যে বর্তমান বিরোধের সৃষ্টি হয়, কিন্তু এই সম্পর্কে আলোচনার প্রত্যেকটি স্তরে ইউনিয়নগুলির পক্ষ হইতে দাবি সনন্দ সংশোধন করা হয় এবং আলোচনার মধ্যে দাবিবহির্ভূত বহু প্রসঙ্গের অবতারণা করা হয়।
ঐ বিবৃতিতে বলা হয়, বোনাসের পরিমাণ ধার্যের বিষয়টি চতুর্থ শ্রম ট্রাইবুনালদের বিবেচনাধীন আছে। অন্তবর্তিকালের জন্য ৫টি মিল পূজার সময় বোনাস বা আগাম দিতে রাজী হইয়াছিলেন। তাহা লইতে শ্রমিকেরা সম্মত হয় নাই। পূজার অব্যবহিত পরে ডেপুটি লেবার কমিশনার একটা মিটমাটের চেষ্টা করেন, কিন্তু কোন মীমাংসায় পৌঁছান যায় নাই। এ বিষয়ে ডঃ রায়ও হস্তক্ষেপ করিয়াছিলেন। ডঃ রায় প্রস্তাব করিয়াছিলেন যে, প্রত্যেকটি মিল শ্রমিকদিগকে যেন ট্রাইব্যুনালের রায় সাপেক্ষে গত বৎসরের বোনাসের সমপরিমান টাকা দেয়। কর্তৃপক্ষ এই প্রস্তাব মানিয়া লইলেও ইউনিয়নের তরফ হইতে ইহা অস্বীকার করা হয়, শুধু তাই নহে, তাহাদের পক্ষ হইতে ধর্মঘটকালীন সময়ের বেতনও দাবি করা হইয়াছে।
|
|
ফিরে দেখা... |
|