১৯৫১ সালে এভারেস্ট অঞ্চলে অরুণ উপত্যকায় প্রথম ইয়েতির ছবি তোলেন এরিক শিপটন। তাহার পর হইতে এই রহস্যময় ইয়েতির সন্ধানে অনেকেই এভারেস্টের বিভিন্ন এলাকা চষিয়া ফেলিয়াছেন। স্যার এডমণ্ড হিলারিও সম্প্রতি ইয়েতির সন্ধানে বাহির হইয়াছিলেন। ইয়েতির মাথার চামড়া তিনি সংগ্রহ করিতে সক্ষম হইয়াছেন। উহা পরীক্ষা করিয়া দেখিবার জন্য তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনে যাইতেছেন। এই পরীক্ষার ফলেই সম্ভবত ইয়েতিকে ঘিরিয়া এতদিন ধরিয়া যে রহস্যের জন্ম হইয়াছে, তাহার কিনারা মিলিবে।
দমদম বিমানবাটিতে
স্যার এডমণ্ড হিলারী
স্যার এডমণ্ড খুমজুং গ্রাম হইতে ইহা সংগ্রহ করিয়াছিলেন। চুক্তি হইয়াছেইহা লইবার অর্থাৎ ২৫শে নভেম্বর হইতে ৬ সপ্তাহের মধ্যে উহা ফেরত দিতে হইবে। এই অল্প সময়ের পূর্ণ সদ্বব্যবহার করিয়া ইয়েতি রহস্যের উত্তর পাইবার জন্য তিনি যথেষ্ট উদ্বিগ্ন।
ইয়েতির মাথার চামড়াটি প্রথমে চিকাগোর ন্যাচারাল হিস্ট্রির যাদুঘরে লইয়া যাওয়া হইবে। পরে উহা লন্ডনের জুলজিক্যাল কাউন্সিলে লইয়া যাওয়া হইবে। বিশেষজ্ঞদের রায়ে ইয়েতির অস্তিত্ব একেবারে স্বীকৃত অথবা অস্বীভূত হইয়া যাইতে পারে।
খুমজুং গ্রামের অধিবাসীদেরও স্যার এডমণ্ড হিলারির মধ্যে অনুষ্ঠিত চুক্তির বলে ইহা প্রথম খুমজুং গ্রামের বাহিরে লইয়া যাওয়া হইতেছে।
মাকালু শৃঙ্গে স্যার এডমণ্ডের বৈজ্ঞানিক ও গবেষণামূলক অভিযানের সঙ্গী তিনজন শেরপা খুমজুংয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ইয়েতির মাথার চামড়া ফিরাইয়া দিবার জামিন হইয়াছে বলিয়া জানা গিয়াছে।
শুক্রবার স্যার এডমণ্ড কলিকাতায় আসিয়া পৌঁছান। ইয়েতির মাথার চামড়া সম্পর্কে তিনি কোনোপ্রকার মতামত প্রকাশে অক্ষমতা জ্ঞাপন করেন এবং বলেন যে, তিনি বিশেষজ্ঞদের নিকট ঐ দ্রব্যটি প্রদান করিবেন। তিনি বলেন, তিনি ইয়েতির গমনাগমনের পথ দেখিয়াছেন তবে অন্য প্রাণীর গমনাগমনের ফলেও ঐ পথ তৈরী হইতে পারে।
বর্তমান কর্মসূচী অনুযায়ী শনিবার তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যাত্রা করিবেন। খুমজুং গ্রামের মোড়ল খুম্বচুম্বি এবং প্রাণীতত্ত্ববিদ্ শ্রীমার্লিন পার্কিন্স তাঁহার সহিত যাইতেছেন।
নন্দাঘুন্টি বিজয়ী দলকে অভিনন্দন
স্যার এডমণ্ড হিলারি শুক্রবার কলিকাতা বিমান বন্দরে নন্দাঘুন্টি বিজয়ী দলের নেতা শ্রীসুকুমার রায়ের সহিত করমর্দন করেন এবং নন্দাঘুন্টি বিজয়ের জন্য তাঁহাকে ও দলের অন্যান্য সদস্যকে অভিনন্দন জানান। তিনি শ্রী রায়ের নিকট হইতে অভিযানের যাত্রাপথ ও তাঁহাদের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে খোঁজখবর লন এবং আনন্দবাজার পত্রিকা ও হিন্দুস্থান স্ট্যান্ডার্ডে এই সম্পর্কে প্রকাশিত ছবিগুলি দেখেন।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website
may be copied or reproduced without permission.