|
তিনজন যুবক “পৃথিবীর একটু অংশ দেখিতে” এক ইঞ্জিনযুক্ত সেসনা বিমানে ১৪ হাজার মাইল আকাশপথ পরিক্রমায় বাহির হইয়াছেন। তাঁহারা লন্ড হইতে লঙ্কেস্টন (অস্ট্রেলিয়া) গমনের পথে রবিবার সকালে কলিকাতা বিমান বন্দরে পৌঁছান।
এই বিমানের কম্যান্ডার শ্রীগেভিস ইরুল বলেন যে, ভারতে পরিস্কার আবহাওয়া দেখিয়া তিনি খুব আনন্দিত হইয়াছেন। ইহাই বিমান চালনার পক্ষে আদর্শ আবহাওয়া।
শ্রীইরুল ও তাঁহার সঙ্গীদ্বয়শ্রীবোজার ট্রেগাকিস (২৪) ও শ্রীইরোটন ইয়ং (২২) বলেন যে, তাঁহাদের বিশ্বের একটু অংশ দেখিবার ইচ্ছা অনেকখানি পূর্ণ হইয়াছে। “নানা দেশ দেখা ও সেইসব দেশের লোকের সঙ্গে আলাপ-পরিচয় করিয়া অদ্ভূত আনন্দ পাওয়া যায়। এদেশের লোক চমৎকার। আমেদাবাদে ও নাগপুরে আমাদের অল্প সময়ের যাত্রা বিরতির মধ্যেই আমরা যে সাদর আতিথ্য লাভ করিয়াছি তাহাতে অভিভূত হইয়াছি।” উক্ত বিমানের পাইলট বলেন: “নাগপুরের প্লাইং ক্লাব যথেষ্ট সাহায্য করিয়াছে। আমাদের একটি টায়ার বদলাইবার দরকার হইয়াছিল। তাঁহারা আমাদের একটি নূতন টায়ার দিয়াছেন। ইহা খুবই প্রশংসনীয়।
এই তিনজন যুবক গত ১৯শে নভেম্বর লন্ডনের প্রায় ৩৫ মাইল দূরবর্তী ল্যান্টন বিমানবন্দর হইতে যাত্রারম্ভ করেন। প্রায় সাড়ে চার ঘন্টা কাল বিমান চালনার পর বেতারযন্ত্র ও কম্পাসের গোলযোগ ঘটায় তাঁহারা ফিরিয়া যান, পাইলট বলেন: “অবশ্য আমরা ২২শে নভেম্বর পুনরায় যাত্রারম্ভ করি এবং প্রতি ঘন্টায় দেড়শত মাইল গতিতে বিমানচালনা করিয়া ৪০ ঘন্টা ব্যাপী আকাশভ্রমণের পর এখানে পৌঁছি। তাঁহার মতে লন্ডন হইতে তাঁহাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছিতে প্রায় একশত ঘন্টাব্যাপী বিমান চালনার প্রয়োজন হইবে।
এক ইঞ্জিনযুক্ত বিমানে এত দূরপথ ভ্রমণ নিরাপদ কিনা প্রশ্ন করা হইলে ২৫ বৎসর বয়স্ক পাইলট বলেন: “যান্ত্রিক গোলযোগের যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকিলেও এক ইঞ্জিনযুক্ত বিমানে দূর পথ ভ্রমণ করা অপেক্ষাকৃত নিরাপদ। তবে এই বিমানের যন্ত্রপাতি খুবই নির্ভরযোগ্য।” তিনি বলেন, অবশ্য বিপদের ঝুঁকি সবসময়েই আছে। এমন কি, যদি বাসে ভ্রমণ করেন, তাহা হইলেও। তবে তিনি হাসিয়া স্বীকার করেন যে, বাসে ভ্রমণ অপেক্ষা বিমানে ভ্রমণের ঝুঁকি কিছুটা বেশী।
এই যুবক তিনজন কলিকাতার বিমান বন্দরে ১২৭ মিনিটব্যাপী যাত্রা বিরতির পর রেঙ্গুন অভিমুখে রওনা হইয়া যান।
|
|