|
কলিকাতা শহরের দুইটি বেসরকারী বাসরুট৩-এ এবং ৩-বি রাষ্ট্রীকরণের পথে নানারকম অন্তরায় রাষ্ট্রীয় পরিবহন কর্পোরেশনের প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা মাসের পর মাস আটক রাখিয়া দিয়াছে। এই অভিযোগে প্রকাশ, এই অন্তরায় সৃষ্টিতে কিছু প্রভাবশালী লোকের হাত আছে।
গত আগস্ট মাসের মাঝামাঝি কর্পোরেশন পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ঐ দুই রুট নিজেদের পরিচালনায় আনার সিদ্ধান্ত জানান। সেইভাবে সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে সরকারী বিজ্ঞপ্তিও বাহির হয় এবং আপত্তি জ্ঞাপনের জন্য সময় দেওয়া থাকে এক মাস।
এই মেয়াদ কবে শেষ হইয়া গিয়াছে এবং ইহার পরেও বেশ কিছুদিন কাটিয়াছে। কিন্তু প্রাপ্ত আপত্তি সম্পর্কে এখনও নাকি কোন ফয়সালা করা হয় নাই। কবে হইবে, তাহাও অনিশ্চিত। তবে শোনা যাইতেছে, ডিসেম্বরের গোড়ার দিকে আপত্তি সম্পর্কে উভয় পক্ষের শুনানী শুরু হওয়ার কথা।
এদিকে রাষ্ট্রীয় পরিবহন কর্পোরেশন ঐ দুই রুটের জন্য ৫০ খানি বাস ও ড্রাইভার, কন্ডাক্টার ইত্যাদি মিলাইয়া শতাধিক লোক মজুত রাখিয়াছেন। তাঁহারা আশা করিয়াছিলেন, নিয়মমাফিক ঠিক সময়ে সকল কাজকর্ম সারা হইলে ডিসেম্বর হইতে বাস চালাইতে পারিবেন। কিন্তু আপাতত তাহা আর হইতেছে না।
কর্পোরেশনের জনৈর মুখপাত্র এই প্রসঙ্গে বলেন, আইনকানুনের নূতন নূতন ব্যাখ্যা ও নানারকম বাধাবিপত্তির ফাঁদে পড়িয়া রুট দুইটি রাষ্ট্রীয়করণ করিতে আরও মাস ছয় লাগিয়া যাইতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ঐ রুট দুইটির জন্য ৫০ খানা বাস আলাদা করিয়া রাখায় কর্পোরেশনের প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা আটক পড়িয়া আছে। এক একখানি বাসের দাম ৬০।৬৫ হাজার টাকা।
বর্তমানে ৩-এ এবং ৩-বি রুটে প্রায় ৫৫ খানি বাস চলে।
প্রকাশ কর্পোরেশনের ৫০ খানা বাস চলিলে বর্তমান অপেক্ষা আরও ৪০০ আসন বেশী হইত। বেসরকারী বাসে আসন সংখ্যা কম।
এক অভিযোগে জানা যায়, এই রাষ্ট্রীয়করণ পিছাইয়া দেওয়ার জন্য স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কিছু লোকতার মধ্যে সরকারী মহলে প্রভাবশালী কয়েকজনও আছেননানা রকম ফন্দি-ফিকির বাহির করিতেছেন।
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যাইতে পারে যে, গত ১৯৪৮ সন হইতে ধাপে ধাপে শহরের বিভিন্ন রুট বেসরকারী পরিচালনা হইতে সরিয়া আসিতেছে। ৩-এ এবং ৩-বি ছাড়া ১২ নম্বরের (১২-সি ছাড়া) কয়েকটি রুট এখনও বেসরকারী পরিচালনায় কলিকাতার রাজপথে চলিতেছে। কোন বেসরকারী রুটের পরিচালনাভার গ্রহণ করিলে অন্যত্র বিকল্প রুট বা যতদিন লাইসেন্স থাকে মাসিক ২০০ টাকা করিয়া দেওয়ার চুক্তি থাকে।
|
|