|
|
সরকারী শিল্প দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজন
(স্টাফ রিপোর্টার) |
|
|
|
নিখিল ভারত হস্তশিল্প সপ্তাহ উপলক্ষে ৪৭নং গণেশচন্দ্র এভিন্যুতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিল্পদপ্তর হস্তশিল্পের একটি প্রদর্শণীর আয়োজন করিয়াছেন।
সোমবার রাজ্য সরকারের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী শ্রীভূপতি মজুমদার প্রদর্শণীটির উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী সভায় শ্রী মজুমদার বলেন, হস্তশিল্প বাংলার ইতিহাসের সহিত ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তবে সে শিল্পের আজ বড় দুর্দিন। কতকগুলি শিল্প নানা সমস্যাভারে জর্জরিত এবং তাহাদের ভবিষ্যত সম্পর্কে আমরা সন্দিহান। তিনি বলেন রুচির পরিবর্তনের ফলে ও নূতন নূতন শিল্পের উদ্ভব হওয়ায় ও যন্ত্রের প্রচলন হওয়ায় তাহাদের অগ্রগতি বাধা পাইতেছে। |
|
চিত্রে শ্রীমজুমদারকে প্রতিমার জন্য নির্মিত একটি ডাকের সাজ পরীক্ষা করিতে দেখা যাইতেছে। |
এই শিল্পগুলিকে যদি পুনরায় জনপ্রিয় করিতে হয়, তাহা হইলে নূতন নূতন উপাদান আবিস্কার করিতে হইবে। এই প্রসঙ্গে মজুমদার আরও বলেন, শিল্পীদের শিল্পদ্রব্য বিক্রয়ের দুরূহ ভার সরকারকে নিজের হাতে তুলিয়া লইতে হইবে। ক্ষুদ্রশিল্পকে এ ব্যাপারে নানাভাবে সাহায্য করিবার জন্য পশ্চিমবঙ্গ ক্ষুদ্রশিল্প কর্পোরেশন গঠন করা হইয়াছে।
এই অনুষ্ঠানের সভাপতি রাজ্য সরকারে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সচিব শ্রী শ্রী এন এন চ্যাটার্জী ইংরাজীতে বলেন, পশ্চিমবঙ্গে ক্ষুদ্রশিল্পে নিয়োজিত ব্যক্তিরা অনেকে গতানুগতিক শিল্পধারাকে আঁকরাইয়া আছেন। তাঁহারা নূতন কিছু শিখিতে চান না। যদি তাঁহারা কেবলমাত্র গতানুগতিক পথ ধরিয়া চলেন তাহা হইলে তাঁহারা বাজার পাইবেন না।
তিনি বলেন শিল্পীরা যেখানে বিচ্ছিন্ন সরকার সেখানে তাহাদের মধ্যে সমবায় সমিতি স্থাপনের চেষ্টা করিতেছেন। এই প্রদর্শণীটিতে চামড়া, শাঁখ, কড়ি ও পোড়ামাটির অনেক সুদৃশ্য শিল্পদ্রব্য স্থান পাইয়াছে। কিছুদিন পূর্বে রাজ্যব্যাপী যে, হস্তশিল্প প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হইয়াছিল, তাহাতে নয়টি পুরস্কার দেওয়া হয়। পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পগুলি প্রদর্শণীতে স্থান পাইয়াছে।
|
ফিরে দেখা... |
|