দিন কয়েক আগে বাড়িতে খেলার সময়ে বীরভূমের নলহাটির লোহাপুর গ্রামের এক শিশুর গলায় প্রায় এক ইঞ্চির পেরেক ঢুকে গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার বর্ধমান শহরের পাওয়ার হাউসপাড়ার এক ক্লিনিকে ওই শিশুর পাকস্থলি থেকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ওই পেরেকটি বের করা হয়েছে।
এই জটিল অস্ত্রোপচারটি করেছেন আশরাফুল মির্জা ও শেখ মহিউদ্দিন নামে দুই চিকিৎসক। তাঁরা জানিয়েছেন, প্রথমে শিশুটির এন্ডোস্কোপি করে দেখা হয় পেরেকটি রয়েছে ক্ষুদ্রান্ত্রের দিকে। এরপরে শিশুটিকে অজ্ঞান করে মুখ দিয়ে পাকস্থলিতে ক্যামেরা ঢুকিয়ে পেরেকের অবস্থান দেখে অস্ত্রোপচারটি করা হয়। চিকিৎসক আশরাফুল মির্জা বলেন, “শিশুটির অবস্থা এখন উন্নতির দিকে। তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।”
চার বছরের ওই শিশুটির নাম সাহানাজ পারভিন। শিশুটির দাদু তনুজউদ্দিন শেখ বলেন, “কয়েক দিন আগে দুপুরে বাড়ির উঠোনে বসে নিজের মনে খেলা করছিল নাতি। তখনই সে হাতে কয়েকটি পেরেক তুলে নেয়। সেটা দেখতে পেয়ে আমার মেয়ে ছুটে এসে দুটি পেরেক ওর হাত থেকে কেড়ে নিলেও নাতির গলায় একটি পেরেক থেকে গিয়েছিল। সে ঢোঁক গিলতেই পেরেকটি তার গলা বেয়ে নামতে শুরু করে।” এরপরে সাহানাজকে নিয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যেরা স্থানীয় চিকিৎসকদের কাছে গেলে তাঁরা গলা থেকে পেরেক বের করার মত যন্ত্র নেই জানানোর পরে তাকে বর্ধমানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার অসিতবরণ সামন্ত বলেন, “এন্ডস্কোপি যন্ত্রের সাহায্যে পেরেকের অবস্থান নির্ণয় করে ক্যামেরা দিয়ে পেরেক বের করা আমাদের হাসপাতালে এখনও সম্ভব নয়। তাই যারাই এই কাজ করে থাকুন না কেন, ভাল করেছেন।”
|
চিকিৎসায় গাফিলতিতে শিশুমৃত্যুর অভিযোগকে কেন্দ্র করে হাসপাতালে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠল মৃতের পরিজনদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বোলপুর হাসপাতালের ঘটনা। নিরাপত্তার দাবিতে চিকিৎসক ও নার্সদের একাংশ হাসপাতাল সুপার প্রদীপ্ত ভট্টাচার্যকে তিন ঘণ্টা ঘেরাও করে রাখেন। এ দিন সকালে শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত মাস পাঁচেকের এক শিশুকে ভর্তি করার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে তার মৃত্যু হয়। গাফিলতির অভিযোগ তুলে হাসপাতালে বিক্ষোভ শুরু করেন শিশুর পরিজনেরা। শিশু বিশেষজ্ঞ তন্ময় মণ্ডলকে মারধর করে তাঁরা চার নার্সকে নিগ্রহ করেন বলে অভিযোগ। |