হুগলির সদর হাসপাতালে চালু হচ্ছে আইসিসিইউ। অতি সঙ্কটজনক রোগীকে ইমামবাড়া হাসপাতাল থেকে এত দিন হয় বেসরকারি হাসপাতালে, নয় তো কলকাতায় পাঠানো দস্তুর ছিল। বহু ক্ষেত্রেই কলকাতায় নিয়ে আসার রোগীর মৃত্যু হত। চিকিৎসকদের আশা, জেলা সদর ইমামবাড়া হাসপাতালে আজ, শুক্রবার আইসিসিইউ উদ্বোধনের পরে এত দিনের সেই সমস্যা মিটতে চলেছে। |
হুগলির জেলা সদর ইমামবাড়া হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ৭০০-৮০০ রোগী ভর্তি থাকেন। উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং হুগলিঘেঁষা বর্ধমান থেকেও রোগীরা এই হাসপাতালে আসেন। দীর্ঘদিনেরই দাবি ছিল জেলা সদরে অন্তত আইসিসিইউ চালু হোক। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, হাসপাতালের নতুন ভবনের দোতলায় ৬ শয্যার আইসিসিইউ ইউনিটটি চালু হচ্ছে। ডিজিট্যাল এক্স-রে মেশিন, কার্ডিয়াক মনিটর, ভেন্টিলেটর সব কিছুরই ব্যবস্থা থাকছে। ইউনিটটি তৈরি করতে প্রায় ৪ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক পদস্থ কর্তা বলেন, “বহু গরিব মানুষ প্রতিদিন এখানে আসেন। চিকিৎসার এই বিশেষ সুবিধায় তাঁরাও উপকৃত হবেন। ডায়ালিসিস এবং নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করা হবে।”
এর আগেও এই হাসপাতালে আইসিসিইউ চালু করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এই বিভাগের যন্ত্র চালানোর বিশেষজ্ঞের অভাবে তা হয়নি। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, এই বিভাগে দিনরাত চিকিৎসক, নার্স এবং অন্যান্য চিকিৎসাকর্মী থাকবেন। আপাতত ৪ জন চিকিৎসক এবং ৬ জন নার্স থাকছেন। আইসিসিইউ তৈরির জন্য স্থানীয় বিধায়ক অসিত মজুমদার তাঁর এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে ১৭ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। বাকি টাকা দিয়েছে রাজ্য সরকার।
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার শশাঙ্কভূষণ গোস্বামী বলেন, “জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হচ্ছে। সঙ্কটজনক রোগীদের আর কলকাতায় ছুটতে হবে না। শয্যা সংখ্যাও আরও বাড়ানো হবে।”
দাদপুরের বাসিন্দা অবনী দাস হৃদরোগী। তিনি বলেন, “কয়েক দিন আগে এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলাম। পরিকাঠামো না থাকায় কলকাতায় স্থানান্তরিত হতে হয়েছিল। এখানে আইসিসিইউ হওয়ায় আমাদের মতো গরিব মানুষ উপকৃত হবেন।” বিধায়ক অসিতবাবু বলেন, “আপাতত ৬টি শয্যা থাকছে। কিছু দিনের মধ্যে আরও ৬টি শয্যা বাড়ানো হবে।” |