বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও ধোনির শহরের আবহাওয়া এত দ্রুত বদলে যাবে, তা ভাবতেই পারেননি বাংলার ক্রিকেটাররা। আবহাওয়ার এই বদলে অবশ্য বেশি সমস্যায় পড়ল ওড়িশাই। বাংলাকে ২০২-এ অল আউট করার পর বৃষ্টির জন্য যখন ‘ভি জয়দেবন পদ্ধতি’-তে তাদের টার্গেট দাঁড়াল সাড়ে বাইশ ওভারে ১৩৪, তখন তারা ৯৫-এ। পড়ে গিয়েছে ছ’ উইকেট। সবুজ উইকেট ও স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন বাংলার পেসাররা।
সন্ধ্যায় টিম হোটেলে নিজের ঘরে বসে ফোনে ক্যাপ্টেন লক্ষ্মীরতন শুক্ল বেশ জোর দিয়ে বললেন, “ম্যাচ পুরো হলেও আমরাই জিততাম। আমাদের বোলাররা আজ যা বল করেছে, তা এক কথায় দুর্দান্ত।” অশোক দিন্দা বিপক্ষের স্কোরবোর্ডের গতি কমিয়ে রাখলেও একের বেশি উইকেট পাননি। দুই তরুণ পেসার বীরপ্রতাপ সিংহ (৩-৩৪) ও বি অমিতই (২-২৫) বিপক্ষের ব্যাটিং লাইন আপের উপর দিয়ে বুলডোজার চালিয়ে দেন। ওড়িশার সবচেয়ে ফর্মে থাকা ব্যাটসম্যান ও ক্যাপ্টেন নটরাজ বেহরা (৮) বীরপ্রতাপের বলে দেবব্রত দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। দলের পঞ্চাশ রানের মধ্যে অরবিন্দ সিংহ ও গোবিন্দ পোদ্দারকে ফিরিয়ে দেন যথাক্রমে দিন্দা ও বীরপ্রতাপ। পোদ্দারের অসাধারণ ক্যাচ নেন শ্রীবৎস গোস্বামী। পরের তিন ব্যাটসম্যানকেও বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে দেননি বাংলার পেসাররা।
বাংলার বোলাররা এ দিন যতটা বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন, তেমন দেখা যায়নি ব্যাটসম্যানদের। আসলে ভোর রাত থেকে হওয়া বৃষ্টির জন্য যে স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া ছিল এ দিন সকালে, তাতে পেসারদের উৎফুল্ল হওয়ার যথেষ্ট কারণ ছিল। ক্যাপ্টেন লক্ষ্মীর ভাষায় ‘চ্যালেঞ্জিং কন্ডিশন’। বাংলার কোচ মলহোত্র বলছিলেন, “সকালে উইকেটটা ব্যাট করার জন্য বেশ কঠিন ছিল। ওই আবহাওয়া। তার উপর সবুজ উইকেট। ব্যাটসম্যানদের পক্ষে কঠিন। এই অবস্থার মধ্যে দাঁড়িয়েও যে আমাদের ব্যাটসম্যানরা দুশোর উপর রান তুলল, এই অনেক।” সুদীপ চট্টোপাধ্যায় (৬৮) ও লক্ষ্মীরতন শুক্ল (৪২) ছাড়া আর কারও ব্যাটে তেমন রান নেই। আট মাস পর মাঠে নামা মনোজ তিওয়ারিও মাত্র দু’রান করে দীপক বেহরার বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান। বাংলারও ৪৪ রানের মধ্যে চার উইকেট পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু লক্ষ্মী-সুদীপের ৮৭ রানের পার্টনারশিপই বাংলাকে দুশোর গন্ডি পার করিয়ে দেয়। |
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলা ২০২ (সুদীপ ৬৮, লক্ষ্মী ৪২, দীপক বেহরা ৪-৪১)
ওড়িশা (২২.৩ ওভারে) ৯৫-৬ (পরেশ পটেল অপরাজিত ৩৯, বীরপ্রতাপ ৩-৩৪, অমিত ২-২৫) |