করিম জানেন, তাঁর যেমন ওডাফা নেই তেমনই আর্মান্দোর হাতেও নেই ‘কিং কোবরা’র অ্যান্টিডোট উগা ওপারা। তাই ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গল রক্ষণের জাল কেটে ম্যাচ বের করে আনার জন্য সবুজ-মেরুন আক্রমণ ভাগে করিমের অস্ত্র ক্রিস্টোফার-কাতসুমি যুগলবন্দি। সঙ্গে থাকছে পঙ্কজ, রাম, জাকিরদের গতিময় মাঝমাঠ। আর মোগা-চিডির জোড়া বিষদাঁত উপরে ফেলতে মালয়ালি ডেনসন বড় ভরসা মরক্কান কোচের। বারাসতে এ দিন আড়াই ঘণ্টার অনুশীলনে এক দিকে ইচে-প্রীতমদের রক্ষণকে আরও জমাট করার চেষ্টা চালালেন, তেমনই কোনও প্রতিরোধ ছাড়াই আক্রমণের অনুশীলনও করালেন পাক্কা দেড় ঘণ্টা। সঙ্গে সেটপিস মুভমেন্ট। উদ্দেশ্যটা স্পষ্ট - গোলের জন্য ফুটবলারদের ফোকাসটা ধরে রাখা। মোহনবাগান কোচের কথাতেও তার ছাপ স্পষ্ট। বলছিলেন, “আমাদের ডার্বি জিততেই হবে। না হলে আই লিগে সমস্যায় পড়বে দল।”
করিম যখন এ কথা বলছেন তখন সেখান থেকে বহু দূরে ইস্টবেঙ্গল মাঠে আর্মান্দো ব্যস্ত তাঁর অঙ্ক কষতে। তবে গোয়ান কোচের স্বস্তি, বড় ম্যাচে তিনি পাচ্ছেন চিডিকে। এ দিন পুরোদমে অনুশীলন না করলেও হাল্কা জগিং এবং ফিজিক্যাল কন্ডিশনিং করেই জিমে চলে যান লাল-হলুদের এই নাইজিরিয়ান। যাওয়ার আগে বলে যান, “ব্যথা এখন অনেকটাই কম। আশা করছি খেলতে পারব।”
করিমের মতো আর্মান্দোও এ দিন সিচুয়েশন প্র্যাকটিসেই জোর দিলেন। মাঝমাঠ থেকে মেহতাবের বাড়ানো বল ধরে সুয়োকা দুই উইংয়ে ছড়িয়ে দিচ্ছিলেন। লাল-হলুদের উইং হাফ এবং সাইড ব্যাকরা সেই পাস ধরে একের পর এক বল ফেলছিলেন অর্ণব-রাজুদের রক্ষণে। বিকল্প হিসেবে সৌমিক-খাবরাদেরও স্টপারে দেখে নেন কোচ। তবে অনুশীলন বলছে ডেম্পো ম্যাচের মতোই খাবরাকে রাইট ব্যাকে রেখেই দল সাজাচ্ছেন লাল-হলুদ কোচ। আর গোলের জন্য চিডি-মোগা জোটই তাঁর ট্র্যাম্পকার্ড।
অনুশীলনের পর অধিনায়ক মেহতাবকে নিজের হাতে আঁকা বাজপাখি উপহার দিলেন রাসবিহারীর এক চিত্রকর সমর্থক। ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক বলছেন, “কে নেই আর কে আছে তা দেখার সময় নেই। শনিবার জিততেই হবে।”
আই লিগ জয়ের লড়াইতে থাকতে ডার্বি ম্যাচ থেকে তাই তিন পয়েন্ট বাজপাখির মতোই ছিনিয়ে আনতে চাইছেন মোগারা। |
শুক্রবার আই লিগ
মহমেডান-স্পোর্টিং ক্লুব দ্য গোয়া (যুবভারতী, ৪-০০)
সালগাওকর-শিলং লাজং (মারগাঁও, ৬-০০) |