ইউরোপ জুড়ে আতঙ্কের নাম বিবিসি |
তুলনা শুরু রিয়ালের স্বর্ণযুগের ত্রয়ীর সঙ্গে
নিজস্ব প্রতিবেদন |
ইতিহাসের পাতায় একাসনে বসার জন্য ক্লাবকে সম্ভবত কয়েকটা ট্রফিও দিতে হবে তাঁদের। কিন্তু সেটা হওয়ার আগেই রিয়াল মাদ্রিদের স্বর্ণযুগের কিংবদন্তি ত্রয়ী দি’স্তেফানো-জেন্টো-পুসকাসের সঙ্গে তুলনাটা শুরু হয়ে গেল বেল-বেঞ্জিমা-ক্রিশ্চিয়ানোর!
এই মুহূর্তে ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের ত্রাস যে ত্রয়ী।
সংক্ষেপে বিবিসি।
বুধবারের ৬-১ শালকে বধের পর থেকে পঞ্চাশের দশকের শেষের দিকের অপ্রতিরোধ্য রিয়ালের সঙ্গে কার্লো আন্সেলোত্তির ছেলেদের তুলনাটা আরও জোরদার হয়েছে। বলা শুরু হয়েছে, বিবিসি আতঙ্কে নাকি সিঁটিয়ে যাচ্ছে তাবড় প্রতিপক্ষ। রোনাল্ডোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে গ্যারেথ বেল এবং বেঞ্জিমার নিখুঁত সিম্ফনি-তে চলতি মরসুমে এসেছে ৭৩টি গোল। ৩৯টা রোনাল্ডোর, বেঞ্জিমার ২০ আর বেলের ১৪। গত কাল জার্মানিতে তো তিন জনেই সম্মানটা ২-২-২ ভাগ করে নিলেন। এবং জার্মানির মাঠে রিয়াল জিততে পারে না দলের এই দুর্নাম কাটালেন আধ ডজন গোলের অহঙ্কারে। ১৯৬০-এ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ (ইউরোপিয়ান কাপ) ফাইনালে জার্মান দল এইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টকে ৭-৩ হারিয়েছিল রিয়াল। যে ম্যাচে পুসকাস ৪টি ও দি’স্তেফানো ৩টি গোল করেছিলেন। খেলা হয়েছিল গ্লাসগোয়। বুধবারের পর সেই ম্যাচও ফিরেছে আলোচনায় এবং তুলনাটা চলছেই। তবে জার্মানির মাটিতে রোনাল্ডোদের মতো এত বড় জয় এর আগে ক্লাবকে কেউ-ই দিতে পারেনি। |
বেল |
বেঞ্জিমা |
ক্রিশ্চিয়ানো |
|
বিবিসি-তে মজে আন্সেলোত্তিও। যাঁর ঠান্ডা মাথার কোচিং ঘরানা আর প্লেয়ার সামলানোর দক্ষতা ২০০২-এর পর থেকে রিয়ালের অধরা ‘লা ডেসিমা’ দশ নম্বর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেতাবের স্বপ্নটা এ বার সত্যি করবে বলে বিশ্বাস করতে শুরু করেছে ইউরোপ। রিয়ালের সেই ইতালীয় কোচ বলেছেন, “একেবারে নিখুঁত খেলেছে ছেলেরা। এমন পারফরম্যান্স আবার করে দেখানো সহজ হবে না। তবে আমাদের আক্রমণকে এতটা বিপজ্জনক করে তোলায় আসল কৃতিত্ব তিন ফরোয়ার্ডের।” বেঞ্জিমাকে ‘অসাধারণ’ আর বেলের পারফরম্যান্সকে ‘মরসুমের সেরা’ বললেও ত্রয়ীর মধ্যে রোনাল্ডোর জন্য বাড়তি প্রশংসা বরাদ্দ রেখেছেন কোচ। জানিয়েছেন, লাল কার্ড থেকে ফেরার এই ম্যাচে সিআর সেভেন-এর বিস্ফোরণটা হওয়ারই ছিল। আন্সেলোত্তির কথায়, “আমি মোটেই অবাক হইনি। নির্বাসন থেকে ফিরে বড় কিছু করার খিদে নিয়ে নেমেছিল ও। বাড়তি প্রস্তুতি নিয়েছিল এই ম্যাচটার জন্য।”
নিজে দু’টো গোল করা ছাড়াও আরও দু’টি গোলের পাস বাড়িয়েছেন ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার। জেতার উচ্ছ্বাসে টুইটও করেছেন রোনাল্ডো, “কী রাতটাই না গেল! অসাধারণ ফল করে পরের পর্বের দিকে আরও এগিয়ে গেলাম আমরা!” তবে বুধবার রাতে তাঁর দাপটটা বোধহয় সবচেয়ে বেশি স্পষ্ট শালকে অধিনায়ক বেনেডিক্ট হাওয়েডেসের কথায়। বলেছেন, “রোনাল্ডো যে কেন বর্ষসেরা হয়েছে সেটা নিজের চোখে দেখে বুঝলাম। ও তো একই সময়ে মাঠের সর্বত্র হাজির, সারা মাঠ জুড়ে এমন খেলে গেল! ঘরের মাঠে এত বড় ব্যবধানে হারাটা খুবই হতাশার। কিন্তু মানতেই হবে এই হার আমাদের প্রাপ্য।”
এ বারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগেই ১১ গোল হয়ে গিয়েছে সিআর সেভেনের। টুর্নামেন্টে রাউলের ৭১ গোলের সর্বকালের রেকর্ডের থেকে রোনাল্ডো আপাতত মাত্র ৯ গোল পিছনে।
|
বনাম শালকে
বেল
গোল ২ গোলমুখী শট ২ গোলের পাস ১ মোট পাস ৪৭ সফল পাস ৩১
বেঞ্জিমা
গোল ২ গোলমুখী শট ২ গোলের পাস ২ মোট পাস ৪১ সফল পাস ৩৬
ক্রিশ্চিয়ানো
গোল ২ গোলমুখী শট ৭ গোলের পাস ২ মোট পাস ৪৬ সফল পাস ২৯ |
এই মরসুমে বিবিসি
বেঞ্জিমা
২০ গোল, গোলের পাস ১১
বেল
১৪ গোল, গোলের পাস ১০
সিআর সেভেন
৩৯ গোল, গোলের পাস ১১ |
|
|