টুকরো খবর
বৃদ্ধের হাত-পা বাঁধা দেহ উদ্ধার
এক বৃদ্ধের হাত-পা বাঁধা মৃতদেহ উদ্ধার হল নন্দীগ্রামে। বৃহস্পতিবার সকালে নন্দীগ্রাম থানার বয়াল এলাকার মঙ্গলচক গ্রামের বাড়ির থেকেই বিনোদবিহারী মণ্ডল (৮০) নামে বৃদ্ধের দেহ মেলে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। পুলিশ সুপার সুকেশকুমার জৈন বলেন, “হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ওই বৃদ্ধের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু হয়েছে।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলচক গ্রামের বাসিন্দা বিনোদবিহারীবাবুর দুই ছেলে। বড় ছেলে আগেই মারা গিয়েছে। ছোট ছেলে পুলিশের চাকরির সূত্রে অন্যত্র থাকে। বিনোদবিহারীবাবু বড় ছেলের দিকের নাতির কাছে খাওয়াদাওয়া করতেন ও ছোট ছেলের বাড়িতে রাতে একাই থাকতেন। বুধবার রাতে তিনি যখন ছোট ছেলের বাড়িতে ঘুমোচ্ছেন, তখনই দুষ্কৃতীরা হানা দেয় বলে অভিযোগ। তারপর বৃদ্ধকে বেঁধে লুঠপাট চালায়। বৃদ্ধকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। বৃহস্পতিবার সকালে বিনোদবিহারীবাবু দীর্ঘক্ষণ বাড়ি থেকে না বেরোনোয় তাঁর নাতি ও প্রতিবেশীরা খুঁজতে আসেন। তখনই দেখা যায়, দড়ি দিয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ওই বৃদ্ধের মৃতদেহ বাড়ির ভিতরে পড়ে রয়েছে। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জেনেছে, ওই বৃদ্ধ সুদের কারবার করতেন। সেই সংক্রান্ত গোলমালের জেরে এই খুন কিনা তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বএই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি।

স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার নালিশ, স্বামী পলাতক
স্ত্রীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। মৃতার নাম মিঠু দাস (২৫)। বুধবার রাতে চন্দ্রকোনা থানার ইলামবাজারের ঘটনা। বুধবার মৃতার বাবা মদনমোহন শীট মৃতার স্বামী সুজিত দাস-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে চন্দ্রকোনা থানায় মেয়েকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই দিন রাতেই মৃতার ভাসুর প্রদীপ দাসকে গ্রেফতার করে। মিঠুদেবীর স্বামী-সহ শ্বশুড়বাড়ির বাকি লোকেরা পলাতক। বৃহস্পতিবার প্রদীপবাবুকে ঘাটাল আদলতে তোলা হলে বিচারক দু’দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ছ’য়েক আগে মেদিনীপুরের মীরবাজারের বাসিন্দা মিঠুদেবীর সঙ্গে ইলামবাজারের বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক সুজিত দাসের বিয়ে হয়। তাঁদের একটি তিন বছরের কন্যা সন্তানও রয়েছে। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই নানা কারণে স্বামী-সহ শ্বশুর বাড়ির লোকেরা মিঠুদেবীর উপর অত্যাচার করত। বিয়ের পণ বাদে আরও অতিরিক্ত এক লক্ষ টাকা বাপের বাড়ি থেকে নিয়ে আসার জন্য তাঁরা মিঠুদেবীর উপর চাপ দিত। এছাড়াও সুজিতবাবুর সঙ্গে তাঁর বৌদি তনুশ্রী দাসের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বলেও অভিযোগ। গত এক সপ্তাহ ধরে অত্যাচার চরমে পৌঁছলে মিঠুদেবী প্রতিবাদ করেন। এমনকী একদিন রাতে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দিলে তিনি পুলিশ-সহ পড়শিদের বিষয়টি জানান। মৃতার বাবা’র অভিযোগ, “ওই ঘটনা জামাই-সহ বাড়ির সদস্যরা মেনে নিতে পারেনি। গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে মেয়েকে ওঁরা প্রচণ্ড মারধর করে। পরে জামাই-সহ বাড়ির লোকেরা মেয়ের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়।” প্রতিবেশীরাই মেয়েকে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করে। মেয়ের অবস্থা ক্রমশ খারাপ হওয়ায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি মেয়েকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে স্থানান্তর করা হয়।” অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে মিঠুদেবীকে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই দিন রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। বুধবার সন্ধ্যায় মদনমোহনবাবু পুলিশে মেয়ের স্বামী-সহ দুই ভাসুর এবং দুই জায়ের বিরুদ্ধে মেয়েকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন।

খুনের নালিশ, গ্রেফতার
এক ব্যক্তিকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল এক মহিলার বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে চন্দ্রকোনার বেউড়গ্রামের মাঝি পাড়ার এই ঘটনায় মৃতের নাম সুনীল লাগা (৪৭)। ঘটনায় আলপনা ভুঁইয়া নামে ওই মহিলা ও তাঁর মা সন্ধ্যা ভুঁইয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর ধরেই বিবাহিত সুনীলের সঙ্গে গ্রামেরই বাসিন্দা আলপনা ভুঁইয়ার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। আলপনাদেবী বিধবা। সুনীল তার রোজগারের টাকা দিয়ে সাহায্য করতেন ওই মহিলাকে। এই নিয়ে সুনীলের পরিবারে অশান্তি লেগেই ছিল। এমনকী তাঁরা দু’জনেই বাড়ি ছেড়ে চলেও গিয়েছিলেন। আবার বছর খানেক আগে তাঁরা ফিরে আসেন। এলাকার লোকজন বিষয়টি নিয়ে একাধিক বার বৈঠক করে এই সম্পর্কের ইতি টানার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাতে ফল মেলেনি। তবে মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে ইদানীং পুলিশের ভয়ে সুনীল আর ওই মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক রাখছিলেন না। বৃহস্পতিবার সকালে আলপনা ভুঁইয়ার বাড়ির কাছের পুকুরের পাশে সুনীলের দেহটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মৃতের ছেলের অভিযোগের ভিত্তিতে আলপনাদেবী ও তাঁর মাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেরায় এই খুনের কথাও স্বীকারও করেছেন ওই মহিলা। তবে এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, দাবি মতো টাকা না পাওয়ায় সুনীলকে খুনের ছক কষেন আলপনাদেবী।

২৫০টি বাড়ির বরাদ্দ পেল মেদিনীপুর পুরসভা
বস্তি উন্নয়নে আরও নতুন করে ২৫০টি বাড়ি তৈরির বরাদ্দ পেল মেদিনীপুর পুরসভা। পুরসভা প্রতি ওয়ার্ডে ২টি করে ২৫টি ওয়ার্ডে ১০টি বাড়ি তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চলতি আর্থিক বছরে অর্থাৎ আর এক মাসের মধ্যেই যাতে প্রতি ওয়ার্ডে ২টি করে ৫০টি বাড়ি যাতে তৈরি হয়, তাও কাউন্সিলরদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপর প্রতি ওয়ার্ডে বাকি ৮টি বাড়ি করা হবে বলে পুরপ্রধান প্রণব বসু জানিয়েছেন। পুরসভা এলাকার বস্তি উন্নয়নে দীর্ঘদিন ধরেই নানা প্রকল্পের রূপরেখা তৈরি হয়েছে। কিন্তু কোনও প্রকল্পই সেভাবে বাস্তবায়িত করা যায়নি বলে অভিযোগ। আবারও প্রতিটি বস্তির সমস্ত মানুষকেই পাকা বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার প্রকল্প এসেছে। ‘রাজীব গাঁধী আবাস যোজনা’য় কোনও বস্তির সব বাড়ি পাকা করার কথা বলা হয়েছে। শুধু বাড়ি তৈরি করে দেওয়াই নয়, বাড়ির পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট এলাকায় পানীয় জলের ব্যবস্থা, রাস্তা, নিকাশি, শৌচাগার-সহ সার্বিক উন্নয়নের কথাও বলা হয়েছে। পুরপ্রধান বলেন, “এবার আমরা বস্তি উন্নয়নে জোর দেব। এই প্রকল্পে যাতে প্রতিটি বস্তির সার্বিক উন্নয়ন ঘটানো যায় সে ব্যাপারে পদক্ষেপ করা হবে।”

ধৃত দু’জনের জেল হেফাজত
মাদকদ্রব্য পাচারের অভিযোগে ধৃত দু’জনের জেল হেফাজত হল। বৃহস্পতিবার ধৃতদের মেদিনীপুর আদালতে হাজির করা হলে এই নির্দেশ হয়। ওই দু’জনকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আজ, শুক্রবার আদালতে আবেদন জানাতে পারে পুলিশ। বুধবার আনন্দপুর থেকে মাদকদ্রব্য সহ উত্তম ঘোষ এবং ধনঞ্জয় ঘোষ নামে দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের বাড়ি গড়বেতার নিশ্চিন্তপুরে। সামনে লোকসভা নির্বাচন রয়েছে। তার আগে জেলা জুড়ে পুলিশের বিশেষ তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। ওই দিন বিশেষ তল্লাশি অভিযান চলাকালীনই উত্তম এবং ধনঞ্জয় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। উদ্ধার হয় সবমিলিয়ে ১ কেজি ২৫০ গ্রাম আফিম, ১১ হাজার ৭০০ টাকা। ওই দু’জনের দু’টি মোবাইল ফোনও বাজেয়াপ্ত করা হয়। পুলিশের দাবি, ধৃতদের জামা- প্যান্টের পকেটের মধ্যে ওই পরিমান মাদকদ্রব্য ছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, গড়বেতার নিশ্চিন্তপুরের বাসিন্দা এই দু’জন কোনও দুষ্টচক্রের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে। তদন্তে সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

যুবকের ঝুলন্ত দেহ মুকসুদপুরে
বাড়ি থেকে এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। মৃতের নাম সঞ্জীব দোলুই (৩৪)। বৃহস্পতিবার সকালে খড়্গপুর গ্রামীণের মুকসুদপুরের মানিকতলা গ্রামের ঘটনা। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দা পেশায় মাছ ব্যবসায়ী সঞ্জীববাবুর বছর দশেক আগে বিয়ে হয়। অভিযোগ, বিয়ের কয়েক বছর পর থেকেই সঞ্জীববাবু মদ্যপান শুরু করেন। তাঁদের দুই সন্তানও রয়েছে। অভাবের সংসারে প্রায়ই স্ত্রী মালতীদেবীর সঙ্গে সঞ্জয়বাবুর অশান্তি চলত। বুধবার রাতে খাওয়ার পরও দু’জনের অশান্তি হয়। এরপর সকলে ঘুমিয়ে পড়েন। তবে বৃহস্পতিবার সকালে পাশের একটি ঘরে তাঁর দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পুলিশ এলে দেহ উদ্ধার করে। পুলিশের অনুমান, সাংসারিক অশান্তির জেরেই সঞ্জীববাবু আত্মঘাতী হয়েছেন।

ব্যবসায়ীদের দাবি
ট্রেড লাইসেন্সের সরলীকরণ-সহ বেশ কিছু দাবিতে বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরের পুরপ্রধান প্রণব বসুর দ্বারস্থ হয় ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির মেদিনীপুর শাখা। নেতৃত্ব দেন ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অফ কমার্স এণ্ড ইন্ডাস্ট্রির মেদিনীপুর শাখার সম্পাদক চন্দন রায়, অসীম কাইতি, শঙ্কর নন্দী প্রমুখ। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, ট্রেড লাইসেন্সের নবীকরণ এবং পুনর্নবীকরণের ক্ষেত্রে পুর- কর্তৃপক্ষের কিছু সিদ্ধান্ত জটিলতার সৃষ্টি করে।

শাসকদলে যোগ
কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের চালতি গ্রামপঞ্চায়েতের ব্রাহ্মণ শাসন বুথের সিপিএমের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য মধূসূদন চক্রবর্তী-সহ দু’শোরও বেশি সিপিএম কর্মী সমর্থক যোগ দিলেন তৃণমূলে। বুধবার ব্রাহ্মণ শাসন বুথে অনুষ্ঠানে ছিলেন প্রভাত সাউ, শেখ সোলেমান, নাসের আলম, বলাই মিদ্দা, উমাশঙ্কর সাউ প্রমুখ। দেশপ্রাণ ব্লক তৃণমূল ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তরুণ জানা তাঁদের স্বাগত জানান।

কোথায় কী



উদ্বোধন
নদাশুলির দামোদরপুর ধীরেন্দ্র বিদ্যাপীঠের তফসিলি জাতি ও
উপজাতি ছাত্রাবাসের উদ্বোধন। সকাল ১১টায়।


সায়েন্স সেন্টার এবং মেদিনীপুর কলেজের সেন্টার ফর সায়েন্টিফিক কালচারের
উদ্যোগে জাতীয় বিজ্ঞান দিবস উদ্যাপন। সকাল সাড়ে ১১টায়।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.