|
|
|
|
শিবরাত্রিতে ভিড় দেওঘরের মন্দিরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি
২৭ ফেব্রুয়ারি |
শিবরাত্রিতে লক্ষাধিক ভক্তের ভিড় জমল দেওঘরের ‘বাবাধাম’ বৈদ্যনাথ মন্দিরে। পূণ্যতিথিতে সেখানে ‘রুদ্রাভিষেক’ হল ভগবান শিবের। মন্দিরের পুরোহিতদের সংগঠনের তরফে বিনোদ দাদ্দোয়ারি জানান, সন্ধ্যায় পা-রাখার জায়গা ছিল না মন্দির চত্বরে। ঝাড়খণ্ডের পাশাপাশি বিহার, পশ্চিমবঙ্গ থেকে এসেছিলেন ভক্তরা।
বিনোদবাবু জানিয়েছেন, গত বছর শ্রাবণ মাসে ‘শ্রাবণ উৎসবে’ মন্দিরের শিবলিঙ্গে জল দেওয়ার জন্য ‘অর্ঘ্য ব্যবস্থা’ চালু করা হয়। ওই ব্যবস্থায় গর্ভগৃহে প্রবেশ না-করেই মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে একটি ডোঙায় জল ঢালতে হত ভক্তদের। সেই জল গর্ভগৃহে শিবলিঙ্গের উপরে গিয়ে পড়ত। ভক্তদের আপত্তিতে শিবরাত্রিতে সেই ব্যবস্থা করেনি মন্দির প্রশাসন। তা-ই সাধারণ মানুষ গর্ভগৃহে ঢোকার সুযোগ পেয়েছেন। |
|
শিব চতুর্দশীতে ভিড় দেওঘরের বাবাধামে। বৃহস্পতিবার। ছবি: চন্দন পাল। |
দেওঘরের বাবাধামে শিবরাত্রির অন্যতম আকর্ষণ শিব-পাবর্তীর বিবাহ অনুষ্ঠান। সে জন্য সন্ধ্যায় শহরের রাস্তায় নামে জনজোয়ার। নগর স্টেডিয়াম থেকে শিবের ‘ময়ূর মুকুট’ নিয়ে শোভাযাত্রা বের হয়। সঙ্গে ছিল ‘শিবের বরযাত্রী’রাও। শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে তা পৌঁছয় বৈদ্যনাথ মন্দিরে। ওই মুকুট শিবের মাথায় দিয়ে শুরু হয় হরপাবর্তীর বিয়ের অনুষ্ঠান। রাত ৯টা থেকে ঘণ্টাপাঁচেক ওই অনুষ্ঠান চলে। তবে, সাধারণ ভক্তরা তা দেখতে পারেননি। বিবাহের শেষে ফের গর্ভগৃহের দরজা খোলে।
দেওঘরের ডেপুটি কমিশনার অমিত কুমার জানান, শিবরাত্রিতে অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা রুখতে সতর্ক ছিল প্রশাসন।
দেওঘরের পাশাপাশি, কোডারমার ধ্বজাধারী মন্দির, রাঁচির পাহাড়ি মন্দির, ধানবাদের ভুঁইফোঁড় মন্দির, জামশেদপুরের কদমায় রুক্মিণী মন্দির, সাকচি শিব মন্দির, ইস্টবেঙ্গল কলোনির শিব-দুর্গা-কালী মন্দিরও আজ ছিল ভিড়ে ঠাসা। |
|
|
|
|
|