|
|
|
|
মোদী মোকাবিলায় গ্রামে গ্রামে পদযাত্রা কংগ্রেসের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি
২৭ ফেব্রুয়ারি |
নরেন্দ্র মোদী প্রচার করছেন প্রযুক্তির রথে চড়ে। তার পাল্টা প্রচারে এ বারে গ্রামে গ্রামে পৌঁছতে চাইছে কংগ্রেসও। কিন্তু রথে নয়, পায়ে হেঁটে। লোকসভা ভোটের আগে সব রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে নিয়ে বৈঠকে এই নির্দেশই দিলেন সনিয়া গাঁধী ও রাহুল গাঁধী। সেই নির্দেশে আরও বলা হয়েছে, ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার প্রাক মুহূর্ত পর্যন্ত সরকারের সাফল্যের বিষয়গুলি নিয়ে পদযাত্রা করতে হবে প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রে।
আজ দলের প্রচার কমিটির বৈঠক ডেকেছিলেন সনিয়া-রাহুল। সেখানে প্রদেশ সভাপতি, রাজ্যের প্রথম সারির নেতাদের সঙ্গে ছিলেন ওয়ার্কিং কমিটি ও মন্ত্রিসভার সদস্যরাও। গোড়াতেই সনিয়া স্পষ্ট করে দেন, গত দশ বছরে ইউপিএ সরকার কম কাজ করেনি। বিরোধীদের বাধার জন্য বেশ কিছু বিল পাশ করানো যায়নি ঠিকই, কিন্তু আম আদমি-র সামাজিক সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে বহু কর্মসূচি রূপায়ণ হয়েছে। অথচ প্রচারে পিছিয়ে যাচ্ছে কংগ্রেস। উল্টে মোদী কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছেন। এই সূত্রে সনিয়া বলেন, মোদীর সেই প্রচারের জোরদার মোকাবিলা করতে হবে। এর পরেই ওয়ার্কিং কমিটির বর্ষীয়ান নেতা জনার্দন দ্বিবেদী পদযাত্রার কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
গত সপ্তাহে কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতাদের নিয়ে এ রকম একটি বৈঠক করেন রাহুল। কিন্তু কংগ্রেস সূত্র বলছে, রাহুল যে ভাবে প্রচারের কথা বলছেন, তার ধরনধারন নিয়ে বর্ষীয়ানরা অনেকেই একমত নন। এই অবস্থায় আজ সনিয়ার নেতৃত্বে ফের বৈঠক ডাকা হয়। রাহুল আজ বৈঠকে থাকলেও কিছু বলেননি। বরং সনিয়াই আজ একে একে সকলের মত জানতে চান।
সূত্রের খবর, দলের প্রচার ও প্রস্তুতি নিয়ে বেশ কিছু দাবি আজ বৈঠকে উঠে আসে। যেমন, কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী মণীশ তিওয়ারি বলেন, মোদীর বিরুদ্ধে পুরোদমে আক্রমণ শানাতে হবে। সে জন্য প্রয়োজনে টেলিভিশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যমকে কাজে লাগাতে হবে। দলের বর্ষীয়ান নেতা সত্যব্রত চতুর্বেদি দাবি করেন, কোনও দাগী নেতাকে এ বার প্রার্থী করা চলবে না। ভোটের আগে অন্য দল থেকে আসা কোনও রাজনৈতিক পর্যটককেও প্রার্থী করা যাবে না। সেই সঙ্গে এ-ও নিশ্চিত করতে হবে, দলের কোনও নেতার আচরণে যেন দম্ভ প্রকাশ না পায়।
পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মানস ভুঁইয়াকে এ বার কেন্দ্রীয় প্রচার কমিটির সদস্য করেছেন রাহুল। আজকের বৈঠকে মানসবাবুও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িকতা এবং বিভেদের রাজনীতির বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে কংগ্রেসের স্লোগান হওয়া উচিত, ‘ভারত বাঁচাও’। |
|
|
|
|
|