কর্মী নেই, বন্ধের মুখে গ্রন্থাগার
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুবরাজপুর |
গ্রন্থাগারিক পাঁচ বছর আগেই অবসর নিয়েছেন। তার পর থেকেই সরকার পোষিত খয়রাশোলের বড়রা নৃসিংহ স্মৃতি গ্রামীণ ওই গ্রন্থাগারের দায়িত্ব সামলে এসেছেন ওই গ্রন্থাগারেরই জেএলএ (জুনিয়ার লাইব্রেরি অ্যাটেনডেন্ট বা সহায়ক) প্রফুল্ল মণ্ডল। আজ শুক্রবার তিনিও অবসর নিচ্ছেন। এর পরে গ্রন্থাগার খোলা থাকবে না বন্ধ থাকবে, তা নিয়ে চিন্তিত বাসিন্দারা। খয়রাশোলের কেন্দ্রগড়িয়া কল্যাণ সঙ্ঘের গ্রন্থাগারিক শচীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বড়রা গ্রন্থাগারের অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন। তবে সেটা সপ্তাহে মাত্র একদিনের জন্যই। বাকি দিনগুলিতে কী ব্যবস্থা হবে? জেলা গ্রন্থাগারিক কৃষ্ণেন্দু প্রামাণিক বলেন, “বাকি দিনগুলিতে গ্রন্থাগারটি যাতে খোলা থাকে, স্থানীয় ভাবে সেটা দেখা হচ্ছে।” তবে এই মুহূর্তে শূন্যপদে কর্মী দেওয়া যে সমস্যার, সেটা মেনে নিয়েছেন ওই জেলা আধিকারিক। তাঁর কথায়, “জেলার বহু গ্রন্থাগারে কর্মী নেই। তবে তা চালু রাখার চেষ্টা চলছে।” বড়রার নিয়মিত সদস্য গৌরাঙ্গ মিত্র, বড়রা গ্রামের উপপ্রধান তথা বড়রা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কাঞ্চন অধিকারী এবং গ্রন্থাগারের প্রশাসক শেখ সামিউদ্দিন বলছেন, “৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বড়রা, বাবুইজোড় এবং পারশুণ্ডী এই তিনটি পঞ্চায়েত এলাকার মানুষের অত্যন্ত প্রিয় এই গ্রন্থাগারটি চালানোর লোক না এলে, শুধু নিয়মিত পাঠকেরা বঞ্চিত হবেন।” প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলা গ্রন্থাগার, ১০টি টাউন লাইব্রেরি ও ১১২টি গ্রমীণ গ্রন্থাগার মিলিয়ে জেলায় সরকার পোষিত মোট ১২৩টি গ্রন্থাগারে ৯০-৯২টি পদ ফাঁকা। মযূরেশ্বরের নোয়াপাড়া, রসুলপুরের মতো বেশ কয়েকটি গ্রন্থাগার চলতি মাসেই কর্মী শূন্য হয়ে পড়ল। পশ্চিমবঙ্গ সাধারণের গ্রন্থাগার ও কর্মী কল্যাণ সমিতির জেলা সাধারণ সম্পাদক গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিভাগীয় মন্ত্রী ও অর্থ মন্ত্রীর সঙ্গে কথা চলছে। যতদূর শুনেছি কর্মী নিয়োগের জন্য অর্থ মন্ত্রকের অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। সেটা না হওয়া পর্যন্ত সমস্যা মেটার সম্ভবনা নেই।”
|
বাড়িতে চুরি
নিজস্ব সংবাদদাতা • সিউড়ি |
দিনেদুপুরে চুরি হল সিউড়তে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ হাটজনবাজারের সেচ দফতরের কর্মী কমলাকান্ত মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ। তাঁরা সপরিবারে বক্রেশ্বরে গিয়েছিলেন। খবর পেয়ে ফিরে দেখেন তালা ভেঙে টাকা ও গয়না লুঠ হয়েছে। |