হোম থেকে পালিয়ে ধৃত ৪ আবাসিক
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়গঞ্জ |
বুধবার ভোরে সমাজকল্যাণ দফতরের অধীন রায়গঞ্জের সূর্যোদয় হোম থেকে পাঁচজন আবাসিক কিশোর পালানোর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। যদিও এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের মধ্যে তিনজন মূক ও বধির আবাসিক কিশোরকে পুলিশ ও এক জন স্বাভাবিক কিশোরকে ফের উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন সকালে হোমের দোতলার এক ঘরের জানালার কাচ ভেঙে ১১-১৫ বছর বয়সী চার মূক ও বধির আবাসিক কিশোর পালিয়ে যায়। বিকালে মহম্মদ সামাদ নামে স্বাভাবিক এক কিশোর হোমের পাঁচিল টপকে পালায় বলে অভিযোগ। হোম কর্তৃপক্ষ রুটিনমাফিক আবাসিকদের গণনা করার সময়ে বিষয়টি টের পান। হোমের তরফে কর্ণজোড়া পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ করা হয়। পুলিশ দুপুরে রায়গঞ্জের চণ্ডীতলা থেকে পলাতক তিন মূক ও বধির কিশোরকে উদ্ধার করে হোমে পৌঁছে দেয়। পলাতক অপর আরেক মূক ও বধির আবাসিক কিশোরের এখনও খোঁজ পায়নি পুলিশ। পাঁচিল টপকে পালানো কিশোর করণদিঘির বাসিন্দা। সে চুরির মামলায় অভিযুক্ত হয়ে আদালতের নির্দেশ হোমে আছে। হোমের এক নিরাপত্তারক্ষী কর্ণজোড়া মোড় থেকে তাকে ধরে। হোমের অধ্যক্ষ পার্থসারথি দাস বলেন, “হোম কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ যৌথ ভাবে তদন্ত শুরু করেছে। কারও কর্তব্যে গাফিলতি প্রমাণ হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” সূর্যোদয় হোমে ৩-১৮ বছর বয়সী ৬০ জন মূক ও বধির আবাসিক কিশোর কিশোরী রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত হয়ে কয়েকজন স্বাভাবিক কিশোর কিশোরী আছে। আবাসিকদের নজরদারির জন্য হোমের দুইজন নিরাপত্তারক্ষী-সহ ১৭ জন কর্মী, অফিসার আছেন। কয়েক দিন ধরে হোমের কিশোরদের হস্টেল সংস্কারের কাজ চলছে। সেই কারণে মূক-বধির ও বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত মিলিয়ে ৩৫ জনকে হোমের দোতলায় একটি বড় ঘরে রাখা হয়েছিল।
|
নাবালিকার বিয়ে রুখল প্রতিনিধিদল
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়গঞ্জ |
দুই লক্ষ টাকা, একটি নতুন বাড়ি ও দুই বিঘা জমির বিনিময়ে দিনমজুর বাবা ১৬ বছর কিশোরী মেয়ের বিয়ে ঠিক করে ফেলেছিলেন ৫৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির সঙ্গে। আগামী ২৪ মার্চ বিয়ের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। গোপনে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে বিয়ে আটকে দিলেন জেলা শিশুকল্যাণ সমিতি ও জেলার চাইল্ড লাইনের সদস্যরা। বুধবার দুপুরে জেলা শিশুকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সুনীল ভৌমিক ও জেলা চাইল্ড লাইনের জয়ন্ত রায়ের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল রায়গঞ্জের বীরঘই গ্রাম পঞ্চায়েতের বারোডাঙ্গি এলাকায় ওই কিশোরীর বাড়িতে যায়। তাঁরা পরিবারের লোকজনকে বুঝিয়ে ওই কিশোরীর বিয়ে বন্ধ করে দেন। পরে ওই কিশোরী-সহ তার বাবা ও মাকে রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় শিশুকল্যাণ সমিতির দফতরে নিয়ে গিয়ে সমিতির তরফে কাউন্সেলিংও করানো হয়। পরে ওই কিশোরীর বাবা ভুল স্বীকার করে ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগে তাঁর মেয়েকে বিয়ে দেবেন না বলে মুচলেকা দেন। তার পরে সমিতির তরফে ওই কিশোরীকে পরিবারের লোকজনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ওই কিশোরী রায়গঞ্জের মাড়াইকুড়া ইন্দ্রমোহন বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ে। যদিও ঘটনার পর থেকে পাত্রের আর খোঁজ মিলছে না। সমিতির চেয়ারম্যান সুনীলবাবু ও চাইল্ড লাইনের কর্ণধার জয়ন্ত রায় জানান, অভাবেব তাড়নায় প্রলোভনে পা দিয়ে পরিবারের লোকজন বাবার বয়সী পাত্রের সঙ্গে ওই কিশোরীর বিয়ে ঠিক করেছিলেন। যাই হোক, কাউন্সেলিংয়ের পর তাঁরা ভুল স্বীকার করে মুচলেকা দিয়েছে। ওই পাত্রের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
|
মেলায় ভিড়
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
প্রথম দিনেই দর্শনার্থীদের ভিড় উপচে পড়ল মাজার শরিফ চত্বরে পীরবাবার মেলায়। বুধবার টাকাগছ পঞ্চায়েতের কাড়িশাল এলাকায় ওই মেলা শুরু হয়। আজ, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ওই মেলা চলবে। কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার মেলা ৮৭ বছরে পড়ল। পাঁচ শতাধিক স্টল মেলায় এসেছে। প্রথম দিনেই মেলা চত্বরে মানুষের ঢল নামে। হলদিবাড়ির হুজুর সাহেব সুফি এক্রামুল হক জীবদ্দশায় নিজের উদ্যোগে কাড়িশালে মেলার প্রচলন করেন। কয়েক বছর আগে পৌত্র সুফি জিয়াউল হকের মৃত্যুর পর সেখানে মাজার শরিফ তৈরি হয়। পীরবাবা সুফি জিয়াউল হকের ছেলে খন্দকার মনিরুল জানান, রাজাদের দেওয়া জমিতে এক সময় ওই মেলা বসত। বহু বছর আগে অবশ্য তোর্সার ভাঙনে ওই জমি বিলীন হয়ে গিয়েছে। এখন সংলগ্ন এলাকায় কেনা জমিতে মেলা বসছে। ফের তোর্সার ভাঙন ঘিরে উদ্বেগ বেড়েছে। ভাঙন ঠেকাতে দ্রুত ১৬০০ মিটার বাঁধ দরকার।
|
পাচারকারী হত
নিজস্ব সংবাদদাতা • বালুরঘাট |
বিএসএফেরগুলিতে গরু পাচারকারী নিহত হয়েছে। বুধবার ভোরে দক্ষিণ দিনাজপুরে হিলি সীমান্তের গয়েশপুর এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, হতের নাম মহম্মদ আইনুল ইসলাম। তার বাড়ি বাংলাদেশের জয়পুরহাট এলাকায়। বিএসএফের তরফে বলা হয়েছে, গরু পাচারে বাধা পেয়ে দলটি হামলা চালালে এক জওয়ান গুলি চালাতে বাধ্য হন। অন্য দিকে, অনুপ্রবেশের ১২ জন বাংলাদেশিকে পুলিশ ধরে। মঙ্গলবার রাতে বালুরঘাট শহরের রঘুনাথপুর এলাকার ঘটনা।
|
জন্ম থেকেই মূক-বধির। আংশিক দৃষ্টিহীনও। অনটনে চিকিৎসাও করানো হয়নি। তবু প্রতিবন্ধকতা জয় করে পাল্লা দিয়ে স্বাভাবিক পড়ুয়াদের সঙ্গে পরীক্ষায় বসেছে ইটাহারের কামালপুরের ফরিদ আলি। ফরিদ বানবোল হাইস্কুলের ছাত্র। পরীক্ষার পরে তাকে হাত নেড়ে ইশারায় বাবা আব্দুল রহমানকে কিছু বোঝাতে দেখা গেল। পরে তিনি বলেন, “জন্ম থেকে ছেলে মূক ও বধির এবং আংশিক দৃষ্টিহীন হওয়ায় ভেবেছিলাম স্বাভাবিক পড়ুয়ার মতো পরীক্ষা দিতে পারবে না। ছেলে বুঝতে পেরেছিল। এ দিন জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা দিয়ে ও উত্তেজিত হয়ে পড়ে। আমার ধারণা যে ভুল ছিল, তা আমাকে বার বার বোঝাচ্ছিল।” পেশায় চাষি আব্দুল রহমান নিজের দুই বিঘা জমিতে চাষ করে সংসার চালান। স্ত্রী ফুলোদেবী গৃহবধূ। আব্দুল বলেন, “চিকিৎসকেরা চেন্নাই, মুম্বইয়ে ওর অস্ত্রোপচারের কথা বলেছিলেন। অভাবের কারণে ওর চিকিৎসা করাতে পারিনি।”
|
মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এক কিশোরীকে অপহরণ করার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে কিশোরী। বুধবার দুপুরে করণদিঘি থানার টুঙ্গিদিঘির ঘটনা। ধৃত মর্তুজ আলির বাড়ি রায়গঞ্জ থানার নারায়ণটোলা এলাকায়। ২৩ ফেব্রুয়ারি মর্তুজ দশম শ্রেণির ওই কিশোরীকে অপহরণ করে বলে অভিযোগ। ২৪ ফেব্রুয়ারি ওই কিশোরী পরীক্ষায় বসতে পারেনি। রায়গঞ্জ থানার আইসি গৌতম চক্রবর্তী বলেন, “ওই কিশোরীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে ধৃতের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা করে তদন্ত শুরু হয়েছে। ধৃতকে এ দিন রায়গঞ্জের মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। |