ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা, বাড়তি নজরদারি রয়েছে পুলিশের। সে সব উপেক্ষা করে বাইরে থেকে একাধিক পরীক্ষা কেন্দ্রে নকল সরবরাহের অভিযোগ উঠল। মালদহ, উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার ও চাকুলিয়া এলাকায় একাধিক মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে এমনই অভিযোগ উঠেছে। চাকুলিয়া ও ইটাহারে দু’টি স্কুলে নকল সরবরাহের অভিযোগে তিন জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের বানবোল মহিলাল বালিকা বিদ্যালয়ে পরীক্ষা শুরুর পরে বাইরে প্রশ্নপত্রের লিখিত প্রতিলিপি চলে যায়। এর পরেই দেখা যায়, স্কুল সংলগ্ন মাঠে বসে বেশ কয়েকজন প্রশ্নের উত্তর লিখছেন। লেখার পরে সেই কাগজের টুকরো পাথরে জড়িয়ে পরীক্ষার্থীদের দিকে ছুড়ে দেওয়া হয়। বহিরাগতদের মধ্যে কয়েকজনকে স্কুলের পাঁচিল ও কার্নিসে উঠে দোতলার জানালা দিয়েও নকল ছুড়তে দেখা যায়। পুলিশকর্মীরা বিষয়টি দেখতে পেয়ে লাঠি উঁচিয়ে বহিরাগতদের তাড়িয়ে দেন। নকল সরবরাহ আটকাতে পরীক্ষা শেষের এক ঘণ্টা আগে স্কুলের সামনে বিরাট পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি জানান, “বানবোল মহিলাল বালিকা বিদ্যালয়ে পরীক্ষার্থীদের নকল সরবরাহ করার অভিযোগে আজাদ হোসেন ও ইস্রাইল আলি নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’ ওই জেলার চাকুলিয়া থানার স্কুল সংলগ্ন এলাকা থেকে মহম্মদ ফৈয়াজ নামে একজনকে নকল সরবরাহের অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তার বাড়ি চাকুলিয়া এলাকায়।
এ দিন ডুয়ার্সে বাড়ি ফেরার গাড়ি পায়নি পরীক্ষার্থীরা। বুধবার মাধ্যমিকের ইংরেজি পরীক্ষা দিয়েও পরীক্ষার্থীদের নাকাল হতে হয়েছে। মৌলানি বলীন্দ্রনাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের মাধ্যমিকের কেন্দ্র রাজাডাঙ্গার পেন্দা মহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়েছে। দুই স্কুলের মধ্যে দূরত্ব ২৪ কিলোমিটার। পরীক্ষাকেন্দ্রে কোনও ভাবে ছোট গাড়িতে পৌঁছলেও ফেরার সময়ে মুশকিল হয় সকলের। বিকাল ৪টা বেজে গেলেও ৪০ জন পরীক্ষার্থী বাড়ি ফেরার কোনও গাড়ি পায়নি। অবশেষে ৪ কিলোমিটার হেঁটে ক্রান্তির কাঠালগুড়ি মোড় থেকে ছোট গাড়িতে চেপে তাঁরা বাড়ি ফেরে। মৌলানির পরীক্ষার্থী মাসুদ আলি, বিবেকানন্দ রায়রা অভিযোগের সুরে বলে, “পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরতেই সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে। প্রস্তুতিতে তাই সমস্যা হচ্ছে।” মালবাজারের মহকুমাশাসক জ্যোতির্ময় তাঁতি তিনি বাড়তি বাস দ্রুত চালানোর ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন। |