বড় নাতিকে লোকসভায় টিকিট দিক তৃণমূল, মমতাকে আর্জি বড়মার
নিজস্ব সংবাদদাতা • গাইঘাটা |
বড় নাতি সুব্রত ঠাকুর তৃণমূলের টিকিটে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হোন, বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরে ঠাকুরবাড়িতে বসে এমন ইচ্ছা প্রকাশ করলেন সারা ভারত মতুয়া মহাসঙ্ঘের প্রধান উপদেষ্টা বীণাপানি ঠাকুর (বড়মা)। তাঁর ছোট ছেলে মঞ্জুলকৃষ্ণ বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের টিকিটে জিতে ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী হয়েছেন। তাঁরই বড় ছেলে সুব্রতর নাম সুপারিশ করে বড়মা তৃণমূলের উপরে চাপ বাড়ালেন বলেই মনে করছে স্থানীয় রাজনৈতিক মহল। বড়মা এ দিন বলেন, “সুব্রতর দাদু প্রমথরঞ্জনও সাংসদ ছিলেন। আমি চাই, নাতিও এ বার লোকসভা ভোটে দাঁড়াক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এই আমার আবেদন।” তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় এ বিষয়ে বিস্তারিত মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, “প্রার্থী করার ব্যাপারে অনেকেরই অনেক মত থাকতে পারে। কিন্তু প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত করবেন দলের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” যদিও মায়ের সিদ্ধান্তের সমর্থনে মঞ্জুলবাবুর ব্যাখ্যা, “রাজ্যে ৭৮টি বিধানসভা এলাকায় মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ ভোটের ফলাফল নির্ধারণ করেন। বনগাঁ লোকসভা আসনটিও তফসিলি সংরক্ষিত। তাই বড়মা এই আসনটি দাবি করতেই পারেন।” মঞ্জুলের দাবি, বনগাঁ ছাড়াও রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্র থেকেও মতুয়া সম্প্রদায়ের কেউ দাঁড়াক, চাইছেন তাঁর মা। সে কথা জানেন মুখ্যমন্ত্রীও। সুব্রতবাবুও বলেন, “১৫ ফেব্রুয়ারি মতুয়া মহাসঙ্ঘের ৬ জন সদস্য মুকুল রায়ের সঙ্গে দেখা করে বড়মার ওই ইচ্ছার কথা জানিয়ে এসেছেন।”
|
দাবি আদায়ে শিক্ষকদের তালাবন্দি করল পড়ুয়ারা
নিজস্ব সংবাদদাতা • পাথরপ্রতিমা |
প্রধান শিক্ষকের নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসা-সহ একাধিক দাবিতে ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রায় দু’ঘণ্টা তালাবন্ধ করে রাখল। পরে স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপ-প্রধানের আশ্বাসে তালা খুলে দেওয়া হয়। বুধবার দুপুরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা ব্লকের দক্ষিণ গঙ্গাধরপুরে মায়ারচক হরিপদ হাইস্কুলে ওই ঘটনা ঘটে। দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে প্রায় আড়াইটে পর্যন্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আটকে রাখা হয়। স্কুল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৫০০। শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন ১৬ জন। পড়ুয়াদের অভিযোগ, ক্লাস সংক্রান্ত রুটিন সময়মতো দেওয়া হয়নি। তার উপর বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা স্কুলে হাজির থেকেও ক্লাস নেন না। অনেকে আবার দেরি করে আসেন। এর ফলে তাদের পড়াশোনায় সমস্যা হচ্ছে। মিড ডে মিলে ডিমের ঝোল দেওয়ার কতা থাকলেও তা মানাহচ্ছে না। প্রধান শিক্ষকও নিয়মিত স্কুলে আসেন না। অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক দিলীপ কুমার হালদার কোনও মন্তব্য করতে চাননি। জেলা স্কুল পরিদর্শক দেবজ্যোতি বড়াল বলেন, ‘‘আমার কাছে ওই স্কুলের এ সব সমস্যা নিয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে খোঁজ নিয়ে দেখব।” পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গোপাল নাইয়া বলেন, “আমি খবর পাওয়া মাত্র স্কুলে হাজির হই। ছাত্রছাত্রী এবং কয়েকজন অভিভাবককে বুঝিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মুক্ত করেন।”
|
উড়ালপুলের কাজ আটকাচ্ছেন অধীর, দাবি জ্যোতিপ্রিয়র
নিজস্ব সংবাদদাতা • হাবরা |
হাবরার যশোহর রোড ও ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়কের প্রস্তাবিত দু’টি উড়ালপুলের কাজ রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী আটকে দিয়েছেন বলে দাবি করলেন বিধায়ক তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বুধবার হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে শিলান্যাস অনুষ্ঠানে এসে তিনি দাবি করেন, “অধীরবাবু রেলের আধিকারিকদের ধীর গতিতে কাজের নির্দেশ দিয়েছেন। উন্নয়ন নিয়ে উনি ফড়েবাজি করছেন।” প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীরের প্রতিক্রিয়া, “এই ধরনের কথার প্রেক্ষিতে মন্তব্য করতে আমার রুচিতে বাধে।” বিধায়ক তহবিলের ২১ লক্ষ টাকায় হাবরা হাসপাতালে রোগীর আত্মীয়দের থাকার জায়গা, আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল প্রকল্প ও ক্যান্টিন ও পরিবেশ দফতরের টাকায় সৌন্দর্যায়ন ও পুকুর সংস্কার প্রকল্পের শিলান্যাস করা হয়েছে।
|
মধ্যমগ্রাম তদন্ত রিপোর্ট ১৫ দিনে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মধ্যমগ্রামে কিশোরীকে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তদন্তের কাজ ১৫ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে বলে বুধবার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এ দিনের শুনানিতে দময়ন্তী সেনের নেতৃত্বে গঠিত ‘সিট’ বা বিশেষ তদন্ত দলের কাছে জানতে চান, তারা কবে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট দিতে পারবে। সিট জানায়, ১৫ দিনের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেশ করা যাবে। আগের শুনানির দিন সিট অন্তর্বর্তী রিপোর্ট দিয়েছে। ধর্ষিতার বাবার আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য সেই রিপোর্টের প্রতিলিপি চান। তাতে আপত্তি তুলে সরকার পক্ষ জানায়, বিচারপতি সিটের কাছে ওই রিপোর্ট চেয়েছেন। সরকার পক্ষের কেউ সেটি দেখেনি। এখন আবেদনকারীরা যদি সেই রিপোর্ট দেখেন, সেটা তদন্তের পক্ষে নিরাপদ হবে না। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পাওয়ার পরে এই বিষয়ে ভাবা যেতে পারে। বিকাশবাবুও এই নিয়ে বিশেষ কিছু বলেননি। ফের শুনানি ১২ মার্চ।
|
চাষিদের সরঞ্জাম
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের উদ্যোগে ও তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির পরিচালনায় সম্প্রতি ১২৩ জন কৃষকের হাতে স্প্রে মেশিন, জৈব সার, চুন, ওল ও ধান ঝাড়ার মেশিন-সহ বেশ কয়েক হাজার টাকার কৃষি সরঞ্জাম দিল মিনাখাঁ ব্লকের চৈতল পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতৃত্ব। ছিলেন ওই পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান লক্ষ্মণ পরামানিক, স্থানীয় অঞ্চল কমিটির সভাপতি তাজউদ্দিন মোল্লা প্রমুখ। |