|
|
|
|
ডাকাতি রুখতে গিয়ে জখম তিন
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
ডাকাতি প্রতিরোধ করতে গিয়ে একই পরিবারের তিন সদস্য জখম হলেন। আহতদের মধ্যে একজনের আঘাত গুরুতর। তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছে। বাকি দু’জন চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ বলেন, “দুষ্কৃতীরা ডাকাতির জন্য না, অন্য কোনও মতলবে এসেছিল তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।” |
|
মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি সুভাষ বাগ।—নিজস্ব চিত্র। |
মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে চন্দ্রকোনার গদাধরপুর গ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, রাত একটা-দেড়টা নাগাদ ৮-১০ জনের একটি দল একাধিক বোমা ফাটিয়ে গদাধরপুর গ্রামে ঢোকে। বাগ পরিবারের মূল গেটের কাছে এসে তারা এক রাউন্ড গুলিও চালায়। পরে দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢোকে। চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালের বেডে শুয়ে পরিবারের সদস্য সুবোধ বাগ বলেন, “বোমা গুলির শব্দে আমাদের ঘুম ভেঙে যায়। দুষ্কৃতীরা বাড়িতে ঢুকতেই আমরা দুই ভাই সুভাষ, জানকী ও দাদা অবনী মিলে ওদের ঘিরে ফেলি। দুষ্কৃতীরা তখন পাল্টা মারধর শুরু করে। এরপরও আমরা লাঠি দিয়ে তাদের আটকানোর চেষ্টা করি।” তিনি জানান, দাদা অবনী বাগ মোবাইলে গ্রামের লোকজনদের ডাকাত পরার খবর জানিয়ে দেন। খবর পেয়ে আশপাশ থেকে লোকজন আসতে শুরু করে। সেই সময় বেগতিক বুঝে দুষ্কৃতীরা এক ভাইকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায়, পেটে আঘাত করে। সুবোধবাবুর কথায়, “বাধা দিতে গেলে আমাকেও ছুরি মারে ওরা। চোখে আঘাত করে।” গুরুতর আহত সুভাষ বাগ মেডিক্যালে ভর্তি। জানকী বাগ বোমায় আহত হয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, বাগ পরিবারে মোট ১৮ জন সদস্য। পাঁচ ভাই। এক ভাই কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। পরিবারের সদস্যদের দাবি, তাঁদের প্রতিরোধ এবং স্থানীয়রা চলে আসাতেই শিলাবতী নদী পার হয়ে গড়বেতা থানার বীরাজপুর, দেওয়ান পেরিয়ে দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয়। খবর পেয়েই রাতেই চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ গ্রামে যায়। রাতেই তল্লাশি শুরু করে। এখন পর্যন্ত কেউ ধরা পড়েনি। পরিবারের সদস্য অবনী বাগ পুরো ঘটনা লিখিত ভাবে থানায় জানিয়েছেন। |
|
|
|
|
|