সন্তোষে আজ বাংলা দলে অনেক পরিবর্তন
বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য-শিশির ঘোষ, কোচ জুটির আজ আবার পরীক্ষা। সন্তোষ ট্রফির মূল পর্বে বাংলার শুরুটা ভাল ভাবে করার পরীক্ষা।
গ্যাংটকে যে ফুটবলাররা বাংলাকে মূল পর্বে তুলেছিলেন, শিলিগুড়িতে বৃহস্পতিবার সেই দলে আমূল পরিবর্তন ঘটাচ্ছেন টিম ম্যানেজমেন্ট। শক্তিশালী পঞ্জাবের বিরুদ্ধে গ্রুপ লিগ ম্যাচে গোলকিপার থেকে সেন্ট্রাল মিডিও, সাইড ব্যাক থেকে স্ট্রাইকার সব জায়গায় নতুন মুখ। এ দিন রাত পর্যন্ত যা খবর, তাতে নবীন হেলা, স্নেহাশীষ দত্ত, জনি রাউত, গৌরাঙ্গ বিশ্বাস, অভিষেক আইচ, দেবজিৎ, দীপক সিংহ, সুপ্রিয় ভগৎ-এর মতো ফুটবলাররা দলে ঢুকছেন। এঁদের মধ্যে বেশির ভাগই সদ্য আই লিগের দ্বিতীয় ডিভিশনে খেলে এসেছেন ।
কিন্তু দলে এত বদল এনেও কি বাংলা জিততে পারবে? শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী পঞ্জাবকে কী চোখে দেখছেন বাংলার কোচ শিশির ঘোষ। বুধবার অনুশীলনের পর তাঁর মন্তব্য, “মঙ্গলবার গোয়ার সঙ্গে ওরা ম্যাচ ড্র করলেও শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছে। জিততে হলে আমাদের ভাল খেলতে হবে। আমি আশাবাদী।” উল্লেখ্য, মঙ্গলবার গোয়ার বিরুদ্ধে খেলা শুরু হওয়ার তিন মিনিটের মধ্যেই গোল হজম করে পঞ্জাব। তা সত্ত্বেও লড়াই ছাড়েনি পঞ্জাবের ফুটবলাররা। ম্যাচের একদম অন্তিম লগ্নে গোলশোধ করেন তাঁরা। পঞ্জাবীদের এই লড়াকু মানসিকতাকেই সমীহ করছেন বাংলার কোচ শিশির ঘোষ এবং টেকনিক্যাল ডিরেক্টর বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য।

শিশির ঘোষ। বাংলার কোচ।
তবে বাংলাকে সমীহ করছেন পঞ্জাবের কোচ জাগীর সিংহ-ও। এ দিন সকালে রানিডাঙার বিএসএফ মাঠে অনুশীলনের পর তিনি বললেন, “বাংলার সঙ্গে শেষ লড়াইয়ে আমরা জিতেছিলাম। তবে এ বার যে তার পুনরাবৃত্তি হবে তার কোনও মানেই নেই। এ বার অন্য লড়াই। আর কে না জানে সন্তোষ ট্রফিতে বাংলা সব সময়ই একটচা বড় প্রতিপক্ষ। সুতরাং হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।”
গোলের জন্য বাংলা অনেকখানি নির্ভর করছে ভবানীপুরের স্ট্রাইকার নবীন হেলার উপর। নবীনের সঙ্গে কার্তিক কিস্কু খেলবেন জোড়া স্ট্রাইকার হিসাবে। আই লিগের দ্বিতীয় ডিভিশনের যোগ্যতা অর্জনের ম্যাচে গোলের মধ্যে ছিলেন নবীন। গত তিন দিন শিলিগুড়িতে অনুশীলনেও নবীনের উপর বিশেষ নজর দিয়েছিলেন বাংলা কোচ। কার্তিকও গোল চেনেন। আর সেটাই আশাবাদী করে তুলেছে বাংলাকে। বুধবারের অনুশীলনে নবীন-সহ বিজয়, কার্তিকদের দিয়ে নাগাড়ে গোলে শট নেওয়ার অনুশীলন করানো হয়। দুই উইং দিয়ে বল তুলে দিচ্ছিলেন শুকদেব মুর্মু, অমিত চক্রবর্তীরা। বোঝাই যাচ্ছিল, বাংলার টিডি এবং কোচদেশের দুই প্রাক্তন সফল স্ট্রাইকার তাদের টিমকে উইং প্লে নির্ভর ফুটবল খেলাতে চাইছেন।
গ্যাংটকে গ্রুপের তিনটি ম্যাচের মধ্যে দু’টিতে জিতেছিল বাংলা। ওড়িশার সঙ্গে শেষ ম্যাচ গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। স্ট্রাইকারে খেলেছিলেন কার্তিক কিস্কু, বিজয় মান্ডি। স্টপার রানা ঘরামি এবং গৌতম দেবনাথ। বাংলার টিডি বিশ্বজিৎ বলছিলেন, “যে সব ফুটবলার অন্য টুর্নামেন্টে খেলতে গিয়েছিল তারা ফিরেছে টিমে। ম্যাচের আগে কয়েক দিন অনুশীলন করে তারা দলের সঙ্গে মানিয়েও নিয়েছেন। আশা করি জিততে সমস্যা হবে না।” এখানেই না থেমে বিশ্বজিৎ আরও বলেন, “ছেলেদের সন্তোষ ট্রফির গুরুত্ব বুঝিয়েছি। দলে কোন কোন জায়গায় খেলার উন্নতি প্রয়োজন সেটাও ওদের বলা হয়েছে অনুশীলনের ফাঁকে। এ বার মাঠে নেমে তা প্রয়োগ করার পালা। আশা করি, ছেলেরা নিরাশ করবে না।”
এ দিকে বুধবার হেরে গেল গতবারের চ্যাম্পিয়ন সার্ভিসেস। তাদের এক গোলে হারায় মহারাষ্ট্র।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.