এ বার ভাড়া যুদ্ধে সামিল এয়ার ইন্ডিয়াও। বুধবার সন্ধ্যার ঘোষণা অনুযায়ী বেশ কয়েকটি রুটে সংস্থা বিমান ভাড়া কমিয়ে ২ হাজার টাকার নীচে নামিয়ে এনেছে। যেমন, তাদের বিমানে মুম্বই থেকে গোয়া গেলে টিকিট মিলবে মাত্র ১৬০০ টাকায়! এ ধরনের মোট ১১৫টি উড়ানের টিকিটে বাড়তি ৩০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, সাম্প্রতিক ইতিহাসে এত কম ভাড়ায় ভারতে বিমান যাত্রার সুযোগ পাওয়া যায়নি! |
সোমবার থেকে স্পাইসজেট, জেট, ইন্ডিগো, একের পর এক সংস্থা নেমে পড়েছে এই যুদ্ধে। একজন ভাড়া কমানোর কথা ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যে অন্য জনও তা কমিয়ে দিয়েছে। আখেরে লাভ হয়েছে যাত্রীদেরই।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এক লপ্তে বাজার থেকে নগদ টাকা তুলে নিতে ও খালি আসন ভরিয়ে ফেলতে ইদানীং মাঝে মধ্যেই এই রাস্তায় হাঁটছে বিমান সংস্থাগুলি। দুম করে তিন দিনের জন্য আচমকা ভাড়া কমিয়ে দিয়ে টেনে আনা হচ্ছে যাত্রীদের। ফলও মিলছে হাতে হাতে। ব্যতিক্রম নয় এ বারের ছাড়ও। ট্রাভেল পোর্টাল ‘মেক-মাই-ট্রিপ’ জানাচ্ছে, শুধু মঙ্গলবারেই তাদের সাইট থেকে ৬০ হাজার বিমান টিকিট বিক্রি হয়েছে! গত ৩ দিনে তাদের সাইটে ঢুকেছেন প্রায় তিন গুণ বেশি মানুষ।
বুধবার বিকেল পর্যন্ত অবশ্য এই যুদ্ধে নামেনি এয়ার ইন্ডিয়া। এমনিতেই লোকসানে চলছে তারা। তা ছাড়া ৯০ দিন, ৬০ দিন বা ৩০ দিন আগে সংস্থার টিকিট কাটলে বিশেষ ছাড় দেওয়াই হচ্ছিল। ট্রাভেল এজেন্সি সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন বেসরকারি বিমান সংস্থা সোমবার থেকে টিকিটে ব্যাপক ছাড় দেওয়ার ফলে সে দিন থেকেই এয়ার ইন্ডিয়ার টিকিট বিক্রি কমতে শুরু করে। তারপরেই টনক নড়ে সংস্থার কর্তাদের। বুধবার সন্ধ্যায় জানানো হয় ১১৫টি উড়ানের টিকিটে আরও ৩০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার কথা।
কলকাতা-মুম্বই রুটে এয়ার ইন্ডিয়া টিকিট বিক্রি করছে ৩৫০০ টাকায়। মঙ্গলবারই ট্রাভেল এজেন্টরা জানান, ভাড়া কমানোর ঘোষণা হলেও সব সময়ে যাত্রী তাঁর সুবিধা মতো দিনে সেই টিকিট না-ও পেতে পারেন। এয়ার ইন্ডিয়ার ক্ষেত্রেও তা-ই হবে বলে এজেন্টদের মত। তবে তাঁদের ধারণা, এই হুজুগে এয়ার ইন্ডিয়া এক লপ্তে বেশ কিছু টিকিট বিক্রি হবে।
ট্রাভেল পোর্টাল সূত্রে খবর, গত তিন দিনে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে গোয়া এবং শ্রীনগরের বিমান টিকিট। দিল্লি-মুম্বই-বেঙ্গালুরু থেকে যাত্রীরা বেশি করে সস্তার টিকিট কেটেছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে বেড়াতে যাওয়ার জন্য এক সঙ্গে একাধিক টিকিট কিনছেন যাত্রীরা। |