কোচবিহারের ডাউয়াগুড়িতে ফের ডাকাতির ঘটনা ঘটল। শনিবার রাতে কোতোয়ালি থানার ডাউয়াগুড়ির কলেরপাড় এলাকায় অবসরপ্রাপ্ত এক এনবিএসটিসি কর্মীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ওই পরিবারের লোকজন পুলিশকে জানান, রাত ১ টা নাগাদ ৮-১০ জনের দুষ্কৃতী দলটি দরজা ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। শব্দ পেয়ে দরজা দিয়ে দেখতেই দলটি হুড়মুড়িয়ে ভিতরে ঢুকে পড়ে। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে প্রায় এক ঘন্টা ধরে তান্ডব চালিয়ে নগদ ১০ হাজার টাকা, দুটি মোবাইল, ভিডিও ক্যামেরা ছাড়াও সোনার গয়না নিয়ে দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয়।
২৪ ঘণ্টা আগে গত শুক্রবার রাতে ডাউয়াগুড়ি বাজার লাগোয়া এলাকায় এক ব্যবসায়ীর বাড়ির গ্রিল ও দরজা ভেঙে ঢুকে ডাকাতির ঘটনা হয়। একই রাতে তুফানগঞ্জের নাটাবাড়িতে একটি দেশি মদের দোকানের কর্মীদের আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে লক্ষাধিক টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ ওঠে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে পূর্ব খাগরাবাড়িতে এক বাড়িতে লুঠের ঘটনা হয়। ঘটনাগুলিতে জড়িক কেউ এখনও ধরা পড়েনি। তার মধ্যেই শনিবার রাতের ঘঠনার পর বাসিন্দাদের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব একাধিক অনুষ্ঠানে কোচবিহারে এসে বিষয়টি শোনেন। মন্ত্রী এ দিন বলেন, “পুলিশ বিষয়টি দেখছে। পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি।” জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত সিংহ বলেন, “দুষ্কৃতীদের ধরতে সব রকম চেষ্টাও হচ্ছে। পুলিশ ফাঁড়ি বসানোর দাবির বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে ভাবা হচ্ছে।”
পুলিশ জানায়, অবসরপ্রাপ্ত ওই এনবিএসটিসি কর্মীর নাম সন্তোষ পণ্ডিত। সন্তোষবাবুর আত্মীয় সন্দীপন পণ্ডিত বলেন, “আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালায়। আগের রাতে এলাকায় ডাকাতির ঘটনার পর পুলিশের নজরদারি থাকবে ভেবেছিলাম। নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছি।” ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের অভিযোগ, কোচবিহার জেলা জুড়েই গত পাঁচ মাস ধরে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, লুঠ, খুন, বোমাবাজির মত ঘটনা ঘটছে। এর বেশিরভাগ ঘটনা হচ্ছে কোতোয়ালি থানা এলাকায়। ৫ মাসে জেলায় এই নিয়ে ১১টি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। কোতোয়ালি থানার ডাউয়াগুড়িতেই ৬টি ঘঠনা ঘটেছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে এক যুবকের মৃত্যু, বোমাবাজির ঘটনাও হয়েছে। ডাউয়াগুড়ি পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান সোলেমন মিঁয়া বলেন, “বাসিন্দারা আতঙ্কিত। দ্রুত পুলিশ ফাঁড়ি দাবি জানিয়েছি।” |