মাধ্যমিকের সময় কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরের ওসি ওয়াহাব মোল্লাকে বদলি করল জেলা পুলিশ। তাঁকে জেলা গোয়েন্দা বিভাগে বদলি করা হয়েছে। শুক্রবার ওই নির্দেশ দেন জেলা পুলিশ সুপার অখিলেশ চতুর্বেদী। গোয়ালপোখরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে হেমতাবাদ ওসি অভিজিৎ দত্তকে। মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন গোয়ালপোখরে একাধিক হাইস্কুলে গণটোকাটুকি হয়। বাঁধা দিতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া ঢিলে জখম হন ইসলামপুরের মহকুমাশাসক সমনজিৎ সেনগুপ্ত ও মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সুবিমল পাল। জেলা পুলিশ সুপার বলেন, “গোয়ালপোখরের নানা স্কুলে টোকাটুকি ও পুলিশ প্রশাসনে উপর হামলার ঘটনায় ওয়াহাব মোল্লার গাফিলতি অস্বীকার করার জায়গায় নেই। সেই কারণেই তাঁকে ওসির পদ থেকে সরানো হল।” ওয়াহাব বলেন, “আমি নিজের কর্তব্য পালন করেছি। পাঞ্জিপাড়া ফাঁড়ির পুলিশ কর্মীরা নানা স্কুলে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। ভুগোল পরীক্ষার দিন মহকুমা শাসকের নির্দেশেই লাঠিচার্জ করতে হয়েছিল। তার পরেই হামলার ঘটনা ঘটে।”
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ পর্যন্ত এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়। প্রায় প্রতিদিনই পরীক্ষা চলাকালীন পুলিশ কর্মীদের সামনে গোয়ালপোখর থানার মণিভিটা, ঠিকরিবাড়ি, লোধন ও ধরমপুর হাইস্কুলে বাইরে থেকে প্রচুর নকল সরবরাহের ঘটনা ঘটে। পরীক্ষার্থীদের বন্ধু পরিজনদের বিভিন্ন স্কুলের ছাদ, দেওয়াল ও জানালার কার্নিসে উঠে পরীক্ষার্থীদের নকল সরবরাহ করতে দেখা যায়। ইংরেজি পরীক্ষার দিন দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া ঢিলে জখম হন এসডিপিও সুবিমল পাল। ভূগোল পরীক্ষা চলাকালীন ঠিকরিবাড়ি হাইস্কুলে নকল রুখতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের ছোড়া ঢিলে জখম হন মহকুমাশাসক-সহ কয়েকজন পুলিশ কর্মী।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মাধ্যমিক পরীক্ষায় নকল সরবরাহের অভিযোগে জেলায় ৯৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে গোয়ালপোখর থানা এলাকা থেকেই ৯০ জনকে। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, পরীক্ষায় নকল সরবরাহের বিষয়ে ওসি’র কাছে খবর ছিল না। দুষ্কৃতীরা যে পরিকল্পিত ভাবে নকল সরবরাহ করতে গিয়েছিল তা বোমাবাজিতে স্পষ্ট। প্রথম দিনেই ওসি সক্রিয় হলে এমন ঘটত না। |