চাপের জেরে তুফানগঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান সুভাষ ভাওয়াল অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর হুমকি দিল সিপিএম। দলের অভিযোগ, তুফানগঞ্জ পুরসভায় ২৪ জন অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের দাবিতে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি অধিক রাত পর্য্যন্ত চেয়ারম্যান-সহ বাম কাউন্সিলরদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। রবিবার নিয়োগের ব্যাপারে চেয়ারম্যান-সহ কাউন্সিলারদের সঙ্গে পুরসভার আবাহন হলঘরে তৃণমূল কাউন্সিলর ও নেতাদের সঙ্গে কথা হয়।
সিপিএম নেতারা জানান, আলোচনায় আগামী ২৮ মার্চ বোর্ড মিটিং করে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য মানসিকভাবে তৃণমূল নেতারা চেয়ারম্যানের ওপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করেন বলে অভিযোগ। চেয়ারম্যান সরকারি অনুমোদন নিয়ে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর প্রস্তাব দিলে তা মানা হয়নি। তারপরেই ফের ২৮ মার্চ ঘেরাওয়ের হুমকি দেওয়া হয়। ওই আলোচনার পর বার হওয়ার সময় মাথা ঘুরে অসুস্থ হয়ে পড়েন সুভাষবাবু। তাঁকে কোচবিহারের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে। তুফানগঞ্জ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রমেশ সরকার বলেন, “নিয়োগের ব্যাপারে চেয়ারম্যানের প্রস্তাব মানা হয়নি। তার জেরে ফের ঘেরাওয়ের হুমকিও দেওয়া হয়। এসব সহ্য করতে না পেরে উনি অসুস্থ হয়ে পড়ে যান।” সিপিএম জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য অনন্ত রায় বলেন, “বেআইনিভাবে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ নিয়ে তৃণমূলের চাপ সহ্য করতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন সুভাষবাবু। শীঘ্রই পুলিশে অভিযোগ জানাব।”
তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দলের তুফানগঞ্জ শহর কমিটির সভাপতি হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ভাল পরিবেশে আলোচনা হয়। সভা থেকে বেরোনোর সময় চেয়ারম্যান অসুস্থ হয়ে পড়লে আমাদের লোকেরাও ওঁকে হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য যান। উনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন। ভিত্তিহীন অভিযোগে রাজনীতি করা উচিত নয়।” জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “সুভাষবাবু বেশ কিছুদিন ধরে শয্যাশায়ী ছিলেন। ওঁর অসুস্থতার দায় আমাদের ওপর ওপর চাপানো উচিত নয়।” |