উত্তরে প্রথম মহিলা ক্রিকেট প্রশিক্ষণ শিবির |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
শিলিগুড়িতে তৈরি হচ্ছে ভবিষ্যতের ঝুলন গোস্বামী, মিতালি রাজ, রুমেলি ধররা। উত্তরবঙ্গে প্রথম। তাই তাদের উপর পাহাড় প্রমাণ প্রত্যাশার চাপ।
মূলত পপি দালালের উদ্যোগেই এই ক্রিকেট প্রশিক্ষণ শিবিরের সূচনা। সঙ্গে আছেন শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের সচিব অরূপরতন ঘোষ, বিনোদ মিশ্র, ভাস্কর দত্ত মজুমদাররা। জনা ৪৭ বছর ১৪-১৫ এর মেয়ে আসে ব্যাট বলের টানে। কোচ পপি দালাল নিজে প্রথাগত ক্রিকেটের তালিম নেননি। কিন্তু ক্রিকেটের প্রতি টান অমোঘ। বাচ্চারাও পপি দিদিমনি বলতে অজ্ঞান। জ্যোতি প্রসাদ, করিশমা শর্মা, রিয়া বাঁশফোররা সময়ের আগেই পৌঁছে যান মাঠে। |
চলছে অনুশীলন।—নিজস্ব চিত্র। |
কাঞ্চনজঙ্ঘা ক্রীড়াঙ্গনে রোজ সুযোগ পাওয়া যায় না। তাই শহরেরই খালপাড়ার হিন্দি বালিকা বিদ্যালয়ের মাঠে চলে অনুশীলন। তবে তাদের মূল লক্ষ্য থাকে গ্যালারি ঘেরা কাঞ্চনজঙ্ঘার সবুজ গালিচা। তাই রবিবার দিনটির জন্য সবাই মুখিয়ে থাকে সারা সপ্তাহ। পপি দিদিমনির নিয়ম অনুযায়ী, পুরো সপ্তাহ ভালো করে ব্যাট বা বল করলে তবেই রবিবার সুযোগ পাওয়া যায় ওই মাঠে খেলার। পপিদেবী জানালেন, “অনেকেই প্রতিশ্রুতিবান। কিন্তু ম্যাচ প্র্যাকটিসের অভাব রয়েছে। আপাতত ৪৭ জনকেই বিভিন্ন দলে ভাগ করে তাদের খেলানো হচ্ছে।” পপিদেবীর মতে রিয়া শিবিরের সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিবান ক্রিকেটার। বলের পাশপাশি তুখোড় ফিল্ডিঙেও তার জুড়ি নেই। নেহার স্ট্রেট ড্রাইভ আবার চোখ ধাঁধাঁনো। জ্যোতির হাতের বল এখনই টপস্পিন, আর্মারে সমৃদ্ধ।
শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের সচিব অরূপরতন ঘোষ। জানালেন, “শিলিগুড়ি জেলা দল হিসেবে ছাড়পত্র আদায় করে আনা হয়ে গিয়েছে সিএবি থেকে। এখন আমাদের দলটিকে গড়ে তুলতে হবে।” তার জন্য যাতে কোনও রকম অসুবিধা না হয় তার জন্য বিনামূল্যে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। |