নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি ও ধুবুরি |
শিলিগুড়ির দুই ব্যবসায়ী অপহরণ কান্ডের ৭২ ঘণ্টা পরেও কোনও অগ্রগতি না হওয়ায় তদন্তকারী অফিসারকে বদল করে দেওয়া হল। রবিবার ওই ঘটনার তদন্তের ভার তুলে দেওয়া হয় পানিট্যাঙ্কি পুলিশ ফাঁড়ির ওসি চিন্ময় ভট্টাচার্যের হাতে।
শুক্রবার অপহরণের অভিযোগ হওয়ার পর তার তদন্তভার দেওয়া হয়েছিল শিলিগুড়ি থানার সাব ইন্সপেক্টর সুদীপ বসুর উপরে। তাঁকে এ দিন সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। পুলিশের তরফে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, একজন ‘সিনিয়র’ অফিসারকে ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠেছে, পুলিশ প্রথমেই কেন ‘সিনিয়র’ অফিসারের হাতে তদন্তভার তুলে দিল না। পাশাপাশি, পুলিশের কোনও দল ঘটনার তদন্তে গোঁসাইগাঁওয়ে না যাওয়ায় পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। শিলিগুড়ির অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার এ রবীন্দ্রনাথ বলেন, “সিনিয়র অফিসারকে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ নেই। ঘটনার তদন্তে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
শুক্রবার ওই দুই ব্যবসায়ী বিনোদ মিত্তল এবং তাঁর বোন জামাই সুরেশ অগ্রবালের অপহরণের অভিযোগ শিলিগুড়ি থানায় দায়ের করা হয়। এদিন শিলিগুড়ি থানার আইসি বিকাশ কান্তি দে বিনোদবাবুর বাড়িতে গিয়ে তাঁর ভাই ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। বিনোদবাবুর ভাই বিমলবাবু বলেন, “এখনও দাদা ও জামাইবাবুর কোনও খোঁজ পাইনি। কেউ আমাদের কাছে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করেননি। আমরা চাই গুরুত্ব দিয়ে পুলিশ বিষয়টি দেখুক। না হলে কার কাছে যাব?” শিলিগুড়ি পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কমল অগ্রবাল বলেন, “ওই ব্যবসায়ীদের উদ্ধারের জন্য পুলিশের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তদন্তকারী অফিসার বদল করা পুলিশের নিজেদের ব্যপার। কিন্তু প্রথম থেকেই একজন সিনিয়র অফিসারকে দিয়ে এরকম ঘটনার তদন্ত করা উচিত ছিল।”
এ দিকে, ওই দুই ব্যবসায়ীর খোঁজে কোকরাঝাড়ের গোঁসাইগাঁও সংলগ্ন বিভিন্ন জঙ্গলে তল্লাশি শুরু করেছে অসম পুলিশ। পুলিশের ধারণা, অপহরণের পর ওই দুই ব্যবসায়ীকে কোনও আস্তানায় নিয়ে রাখা হয়েছে। কোকরাঝাড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুরোজিৎ সিংহ পানেশ্বর বলেন, “সম্ভাব্য জায়গাগুলিতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এখনও ব্যবসায়ীদের খোঁজ পাওয়া যায়নি।” |