|
|
|
|
হলদিয়া ভবনের পাশে নতুন অতিথিশালা তৈরির প্রস্তাব |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
জেলায় ‘সার্কিট হাউস’ নেই। অথচ মন্ত্রী-আমলাদের আসা যাওয়া লেগেই রয়েছে। বিশেষ করে রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলা সফরে উঠে আসছে সচিব, আইজি পর্যায়ের আধিকারিকদের নিয়ে ‘মিনি মহাকরণ’। এত জনের থাকা-খাওয়ার সুবন্দোবস্ত করতে হিমশিম খাচ্ছে জেলা প্রশাসন। এ বার তাই হলদিয়া ভবনের পাশে নতুন একটি অতিথিশালা নির্মাণের পরিকল্পনা নিল হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ (এইচডিএ)।
বাম সরকারের আমলে বন্দর থেকে প্রায় ১০ একর জায়গা লিজে নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছিল হলদিয়া ভবন। হলদিয়া উপনগরীর একেবারে দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে বন্দরের তৃতীয় অয়েল জেটি সংলগ্ন হলদি ও হুগলি নদীর সঙ্গমস্থলে এই ভবনটির অবস্থান অতি মনোরম। বন্দরে জাহাজের আসা-যাওয়া দেখার জন্য সামনেই রয়েছে ‘মেরিন ড্রাইভ’। |
|
গুরুত্ব বাড়ছে হলদিয়া ভবনে। —নিজস্ব চিত্র। |
লহরী আকৃতির এই ভবনের ১৬টি কক্ষ রাজ্যের এক-একটি নদীর নামে। যার মধ্যে হলদি, সুবর্ণরেখা, রূপনারায়ণ ও কাঁসাই নামের চারটি কক্ষ বিশিষ্টদের জন্য বরাদ্দ। এ ছাড়াও রয়েছে একটি সভাকক্ষ।
হলদিয়ায় এলে মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, সাংসদ ও বহুজাতিক সংস্থার আধিকারিকরা থাকেন হলদিয়া ভবনে। গত বছর ৯ অক্টোবর কারখানার উদ্বোধন ও জেলা সফরে এসে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন এখানেই। চলতি বছর ১৫ জানুয়ারি ‘বেঙ্গল লিডস-২’-এর উদ্বোধনে এসেও মুখ্যমন্ত্রী এখানেই ছিলেন। সে বার তাঁর সঙ্গে আসা বিশিষ্টদের জায়গা করে দিতে বেশ চাপে পড়তে হয়েছিল এইচডিএ কর্তৃপক্ষকে। এ দিকে, পর্যটক টানতে হলদিয়া ভবনে অনলাইন বুকিং চালু করে দেওয়ায় সাধারণ লোকজনের মধ্যেও চাহিদা বাড়ছে।
এই সব কথা মাথায় রেখেই এ বার নতুন সম্প্রসারিত ভবন তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে পর্ষদ। এইচডিএ-র সিইও পি উলগানাথন বলেন, “হলদিয়া ভবনে চাপ বাড়ছিল। এইচডিএ এলাকা সম্প্রসারণ হওয়ায় কাজের পরিধি বেড়েছে। সব দিক নজরে রেখেই এই ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
এইচডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে যেখানে ভবন রয়েছে তার ঠিক পিছনেই এই নতুন ভবন গড়ে তোলা হবে। প্রায় ১ একর জায়গার ওপর তিন তলা ভবন নির্মাণে বরাদ্দ ধরা হয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকা। হলদিয়া ভবনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক তাপস রায় বলেন, “বুকিং অনলাইন হওয়ায় চাহিদা বাড়ছে ক্রমশ। আলাদা ভবন তৈরি হলে খুবই সুবিধা হবে। তবে তার সঙ্গে খাদ্য পরিবেশক, সাফাইকর্মী ও অন্য কর্মীর সংখ্যা বাড়ালে ভাল।” |
|
|
|
|
|