|
|
|
|
শিলান্যাসই সার |
দু’বছরেও শুরু হল না সেতুর কাজ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের হিড়িক পড়েছে শিলান্যাসের। কিন্তু শিলান্যাসের পরেও যে কাজ আটকে রয়েছে দীর্ঘ দিন, তা কবে শেষ হবে জানা নেই কারও। যেমন রবিবারই চণ্ডীপুরের একাধিক রাস্তার মেরামতির কাজের উদ্বোধন করলেও তার মধ্যে অন্যতম মগরাজপুর-তেরপেখিয়া রাস্তায় দু’বছর ধরে আটকে থাকা সেতুর কাজ কবে শেষ হবে বলতে পারলেন না কাঁথি লোকসভার তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী।
চণ্ডীপুরের মগরাজপুর থেকে নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের মঙ্গলচক হয়ে তেরপেখিয়া পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার এই রাস্তাটি প্রধানমন্ত্রী গ্রামসড়ক যোজনায় পাকা হয়েছে ২০০৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর। নন্দীগ্রামে জমি আন্দোলন পর্বে বামেরা চণ্ডীপুরের কাছে মূল রাস্তা আটকে দিলে অনেকেই ওই রাস্তা ধরে পৌঁছে যেতেন নন্দীগ্রামে। ওই সময়ই চকপাটনা ও মঙ্গলচক গ্রামের মাঝে দুনিয়া খালের উপর থাকা কাঠের সেতুটি পাকা করার পরিকল্পনা নেয় বামফ্রন্ট পরিচালিত তত্কালীন জেলা পরিষদ। ২০০৮ সালে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। তারাও সেতুটি তৈরি করার জন্য তোড়জোড় শুরু করে। গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন তহবিল থেকে ২০১০-১১ আর্থিক বর্ষে ২ কোটি ৯ লক্ষ ১১ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়। প্রথম পর্যায়ে ৪০ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা জেলা পরিষদকে দেওয়া হয়। গত বিধানসভা নির্বাচনের মুখে (২০১১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি) ওই সেতুর কাজের শিলান্যাস করেছিলেন তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু তার পর দু’বছর কেটে গেলেও কাজ শুরু হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, পাকা হয়ে যাওয়ার পর ওই রাস্তা দিয়ে চণ্ডীপুর বাজার থেকে তেরপেখিয়া পর্যন্ত ট্রেকার চলাচল করত। কিন্তু চকপাটনায় কাঠের সেতুটি ভগ্নপ্রায় হয়ে যাওয়ায় তেরপেখিয়া পর্যন্ত ট্রেকার চলে না আর। ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। অসুবিধার কথা মেনে নিয়ে তৃণমূল পরিচালিত নন্দীগ্রাম-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বাদল মাইতি বলেন, ‘‘সেতুর কাজের জন্য নিযুক্ত ঠিকাদার কিছু অসুবিধা থাকায় কাজ শুরু করতে পারছিলেন না। তবে, কিছু দিন হল ঠিকাদার সংস্থা কাজ শুরুর প্রস্তুতি নিয়েছে।” জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুনিয়া খালের উপর ওই সেতু তৈরির টেন্ডারে প্রথমে কোনও ঠিকাদার সংস্থা আগ্রহ দেখায়নি। পরবর্তী সময়ে ঠিকাদার নিয়োগ হলেও সেতু তৈরির সামগ্রীর দরবৃদ্ধির অজুহাতে সেতুর কাজ শুরু করতে পারেনি সেই সংস্থা। সম্প্রতি অবশ্য সেতু তৈরির জন্য বালি ও স্টোনচিপস ফেলা হয়েছে। কাজে বিলম্বের জন্য তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদকে দুষছেন স্থানীয়রা। অভিযোগ অস্বীকার করে জেলার সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন বলেন, ‘‘ঠিকাদার নিয়োগ নিয়ে কিছুটা দেরি হয়েছিল। এরপর ঠিকাদার সংস্থার টালবাহনার কারণেই কাজ শুরু করতে দেরি হয়েছে। শীঘ্রই শুরু হবে।”
এ দিন চণ্ডীপুরে বেশ কিছু রাস্তার সংস্কার কাজ ছাড়াও চণ্ডীপুর বাজার থেকে কালিকাখালি গার্লস হাইস্কুল পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার বাইপাস রাস্তা পাকা করার কাজের জন্য সাংসদ তহবিল থেকে ৮৪ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন শিশিরবাবু। নারায়ণদাড়ি-সহ ৬টা খালের সংস্কার কাজের উদ্বোধন করেন তিনি। চকপাটনায় সেতুর কাজও শীঘ্রই শুরু হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন। |
|
|
|
|
|