|
|
|
|
|
হিউজের হাতেই ম্যাচের চাবিকাঠি
স্টিভ ওয় |
|
মোহালি টেস্টের শেষ দিন মনে হচ্ছে ম্যাচ যে কোনও দিকে যেতে পারে। মানছি যে অস্ট্রেলিয়ার জেতাটা বেশ কঠিন। ড্র-ই সবচেয়ে সম্ভাব্য ফল। তবে ভারতের নিশ্চয়ই মনে হচ্ছে যে সোমবার সকালের সেশনটা ভাল গেলে সিরিজে ৩-০ এগিয়ে যাওয়া যাবে।
ভারত যে জয়ের স্বপ্ন দেখছে তার কারণ টেস্ট অভিষেকে শিখর ধবনের অবিশ্বাস্য সেঞ্চুরি। এটা খুব পরিষ্কার যে সাধারণ ওপেনারের চেয়ে ওর মনোভাব আলাদা। অসাধারণ আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলে শিখর। পিটার সিডলকে ও যে ভাবে এগিয়ে এসে ভয়ডরহীন ভাবে খেলল, সেটা সত্যিই মনে রাখার মতো। নির্বাচকদের ফাটকা খেটে গেল। শিখরকে দেখে মনে হল টেস্ট অভিষেকের জন্য ও অনেক দিন ধরে প্রস্তুতি নিয়েছে। মুহূর্তটা পুরো উপভোগ করল। ওর কেরিয়ারে শনিবারের মতো দিন হয়তো আর আসবে না। কিন্তু ওর ইনিংসটা সত্যিই স্পেশ্যাল। ভারতের দরকার ছিল তাড়াতাড়ি পাঁচশো-ছশো রানে পৌঁছনো। দুর্দান্ত আগ্রাসনের সঙ্গে যে কাজটা শুরু করেছিল শিখর।
ধারাবাহিক মুরলী বিজয়ের সঙ্গে শিখরের প্রায় তিনশো রানের ওপেনিং জুটি বুঝিয়ে দিল, এই জুটির ভবিষ্যৎ আছে। বিজয়কে দেখে মনে হচ্ছে ও সত্যিকারের ক্রিকেটার। খুব যত্ন করে নিজের ইনিংস তৈরি করে। বিজয়ও আক্রমণাত্মক খেলতে পারে কিন্তু শনিবার সেই দায়িত্বটা ও শিখরকেই দিয়ে দিয়েছিল।
তৃতীয় দিন ভারত কর্তৃত্ব করার পর চতুর্থ দিন অস্ট্রেলিয়া যে ভাবে পাল্টা লড়াই দিল, তার প্রশংসা করতেই হবে। ভারতের লিডটা ওরা একশোর কমে আটকে রাখল। সিডল আরও এক বার অক্লান্ত ভাবে বল করে উইকেট নিল। ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার তিন উইকেট পড়ে গেলেও ক্লার্কের পরিস্থিতি পুরো হতাশাজনক নয়। ফিল হিউজকে দেখে মনে হল শিখরের মতো ও-ও আরও দৃঢ় মনোভাব নিয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রথম ইনিংসে ওকে বেশ নড়বড়ে দেখিয়েছিল। এ বার মনে হচ্ছে ও ভারতীয়দের দেখে শিখছে এ রকম পিচে কী ভাবে ব্যাট করতে হয়। চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মোকাবিলা করার এটাই মাঝেমধ্যে সেরা টোটকা।
সোমবার ম্যাচের চাবিকাঠি কিন্তু হিউজের ইনিংস। প্রথম ঘণ্টায় ভাল খেলতে পারলে অস্ট্রেলীয়রা অনেকটা নিরাপদ জায়গায় থাকবে। অন্য দিকে ভারতীয়রা নিশ্চয়ই আশা করবে যে, ওদের স্পিনাররা পঞ্চম দিনের পিচটা কাজে লাগাতে পারবে। যাতে শেষ মুহূর্তে ওদের খুব বেশি রান তাড়া না করতে হয়। |
|
|
|
|
|