|
|
|
|
|
এই মনোবলটা হারিও না শিখর
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় |
|
শিখর ধবনের ডাবল সেঞ্চুরি আর ভারতের জয়মোহালিতে এই দুটো উপহার একসঙ্গে পেলে দারুণ হত। প্রথমটা পাওয়া গেল না অল্পের জন্য। পরেরটার অপেক্ষায় আছি।
সোমবার অস্ট্রেলিয়াকে অল্প রানে বেঁধে ফেলা গেলে আর জয় নিয়ে চিন্তা নেই। আগের দুটো টেস্টে অস্ট্রেলীয়রা দ্বিতীয় ইনিংসে যা ব্যাট করেছে, তাতে ভারতের জয়ের সম্ভাবনাই বেশি। উইকেটের যা অবস্থা দাঁড়াচ্ছে, তাতে ভারতীয় বোলাররা অস্ট্রেলিয়াকে এক সেশনে শেষ করে দিলেও অবাক হব না।
রবিবার শিখরের ডাবলের অপেক্ষায় ছিলাম। জীবনের প্রথম টেস্টেই ডাবল সেঞ্চুরির চেয়ে ভাল আর কী হত? জীবনের প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরি অনেকগুলোই দেখেছি। কিন্তু এটা একেবারে অন্য রকমের। এমন উঁচু দরের সেঞ্চুরি বহু যুগ মনে রাখবে ক্রিকেট দুনিয়া। সেঞ্চুরিটা যে শুধু শিখরের আন্তর্জাতিক কেরিয়ার অনেকটা এগিয়ে দেবে, তা-ই নয়। দেশের তরুণ ক্রিকেটারদেরও উজ্জীবিত করবে।
শিখরের ফ্রন্টফুট কভার ড্রাইভ আভিজাত্যে ভরপুর। হালফিলে এত ভাল কভার ড্রাইভ দেখিনি। ওর মানসিকতারও প্রশংসা করা উচিত। জীবনের প্রথম টেস্টে নামার প্রচণ্ড চাপ সামলেও একটা অনায়াস ইনিংস খেলল। এই মানসিক শক্তিটা ওকে ধরে রাখতে হবে। জীবনে ব্যর্থতা আসবেই। কিন্তু সাফল্যগুলো মনে রেখেই এগিয়ে যেতে হবে। শিখরকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি ওর দীর্ঘ ও সফল কেরিয়ারের জন্যও শুভেচ্ছা রইল।
ক্লার্কের ভরসা সেই দলের পেসাররাই। স্পিনাররা এ বারও ব্যর্থ। পেসারদের মধ্যে সিডল সবচেয়ে সফল। এই উইকেটেও ও তীক্ষ্ম বোলিং করেছে। এটাই ওর কৃতিত্ব। কিন্তু স্পিনাররা ভাল না করলে তো উপমহাদেশে টেস্ট জেতা সম্ভব নয়। অস্ট্রেলিয়াকে তাই ভুগতেই হচ্ছে এই সিরিজে।
সোমবার প্রথম সেশনটা দু’দলের পক্ষেই গুরুত্বপূর্ণ। এখন যা অবস্থা, তাতে ভারতের হারের কোনও সম্ভাবনা নেই। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া টেস্ট বাঁচিয়ে দিতে পারে। সে জন্য অবশ্য ওদের ভাল ব্যাট করতে হবে। আর সেটা হলে ভারতের সমস্যা বাড়তে পারে। |
|
|
|
|
|