সাংসদ তহবিলের টাকায় শুরু হল সেতুর কাজ
সাংসদ তহবিলের টাকায় ইতিমধ্যেই কজওয়ে তৈরির কাজ শুরু হয়েছে শাল নদীতে। রবিবার ওই কজওয়ের শিলান্যাস করলেন বীরভূমের সাংসদ, তৃণমূলের শতাব্দী রায়।
কয়েক মাস আগেই নিজের লোকসভা এলাকা দুবরাজপুরের বালিজুড়ি গ্রামে ওই পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন গ্রামের মানুষদের সঙ্গে তাঁদের অভাব অভিযোগ নিয়ে সরাসরি কথা বলছিলেন শতাব্দী রায়। তখন উপস্থিত জনতার মধ্যে থেকে বেলসরা গ্রামের বাসিন্দা এক যুবক শিবঠাকুর মণ্ডল বলে উঠেন, “দিদি আমাদের গ্রামে পানীয় জল, রাস্তা এ সব আপনাকে কিছু করে দিতে হবে না। পারলে বেলসরা ও মেজে গ্রামের মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া শাল নদীতে একটি সেতু করে দিন। বর্ষায় এলাকার মানুয়ের ভীষণ কষ্ট হয়।”
শিলান্যাস করছেন সাংসদ।—নিজস্ব চিত্র।
যুবককে সমর্থন জানিয়ে ছিলেন উপস্থিত সকলেই। বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছিলেন সাংসদ। কয়েক মাসের মধ্যেই সাংসদ তহবিল থেকে ওই সেতু বা কজওয়েটি করার জন্য ৩৪ লক্ষ টাকারও বেশি বরাদ্দ করে দেন। সেচ ও জলপথ দফতরের তদারকিতে গত ডিসেম্বর থেকে কজওয়েটির কাজও শুরু হয়েছে। রবিবার সেই কজওয়েটির শিলান্যাস করলেন শতাব্দী রায়। বললেন, “আগামী এক দেড় মাসের মধ্যেই চালু হয়ে যাবে সেতু। আপনাদের দেওয়া কথা রাখতে পেরে আমি খুশি।” এলাকাবাসী অনিল মণ্ডল, সুবল বাদ্যকর, দুলালী দাস, ছায়া মণ্ডলেরা বললেন, “বর্ষাকালে সেতু না থাকার জন্য বেলসরা, কুখুটিয়া, কুলেকুড়ি, শল্ল্যাপাহাড়, বালিজুড়ি, মেজে, কাপাসতোড়-সহ বহু গ্রামের মানুষকে চূড়ান্ত দুর্ভোগ পোহাতে হত। এ বার সেই দুঃখ ঘুচবে।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট দফতরের ময়ূরাক্ষী ক্যানাল বিভাগের সুপারিনটেন্ড্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সুজিত কোনার বলেন, “এলাকার মানুষ খুবই সহযোগিতা করছেন কাজটি করতে। ১০৩ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৫ মিটার চওড়া এই কজওয়েটির কাজ নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হয়ে যাবে।” এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় সিংহ, দুবরাজপুরের বিডিও কুণাল বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ একাধিক আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন ওই শিলান্যাস অনুষ্ঠানে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.