ঠাকুরপুকুরের বাসে নিগৃহীত মহিলা মানসিক ভারসাম্যহীন বলে ঘটনার দিনেই জানিয়েছিলেন এলাকার কিছু বাসিন্দা। শুক্রবার আদালতেও ওই মহিলার আচরণ ঠিক স্বাভাবিক বলে মনে হয়নি বিচারকের। অবিলম্বে নির্যাতিতার মানসিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
ওই মহিলাকে এ দিন আলিপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় বিচারক উমেশ সিংহের আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। সেখানে মহিলার আচার-আচরণ দেখে বিচারক পুলিশের কাছে জানতে চান, মহিলাকে কি মানসিক চিকিৎসক দিয়ে পরীক্ষা করানো হয়েছে? তাঁকে জানানো হয়, তেমন কোনও পরীক্ষা করানো হয়নি। বিচারক তখন নির্দেশ দেন, অবিলম্বে ওই মহিলার মানসিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। ১০ জানুয়ারির মধ্যে ওই চিকিৎসার ব্যাপারে একটি রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে বলা হয়েছে পুলিশকে। |
শুক্রবার আলিপুর আদালতে বিজয় মাহাতো। —নিজস্ব চিত্র |
ওই মহিলার উপরে অত্যাচার চালানোর ঘটনায় অভিযুক্ত বিজয় মাহাতোকেও এ দিন আদালতে হাজির করানো হয়। তার বিরুদ্ধে পুলিশ শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছে। তাকে জামিন দিয়েছে আদালত। বড়দিনের আগের রাতে ঠাকুরপুকুরের কদমতলায় বিজয় একটি খালি বাসের ভিতরে ওই মহিলার উপরে অত্যাচার চালায় বলে অভিযোগ। তবে পুলিশের দাবি, মহিলা থানায় শ্লীলতাহানির অভিযোগই করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা অবশ্য দাবি করেছেন, ওই যুবক মহিলাকে ধর্ষণ করেছে। এলাকার লোকজনই অভিযুক্তকে ধরে পুলিশের হাতে দেন। পুলিশ ওই মহিলা এবং অভিযুক্তকে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যায়। পরে যুবকটি পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে যায় বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। বৃহস্পতিবার তাকে বিহারের মোতিহারি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এলাকার বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ ছিল, মহিলা মানসিক ভাবে সুস্থ নন। তাই পুলিশ তাঁর মানসিক চিকিৎসা না-করিয়ে নিজেদের সুবিধামতো শ্লীলতাহানির অভিযোগ লিখিয়ে নিয়েছে। পুলিশকর্তারা অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, মহিলা মানসিক ভাবে সুস্থ। তিনি পুলিশকে বলেছেন, অভিযুক্ত তাঁর হাত ধরে টানাটানি করেছে। তার ভিত্তিতেই জামিনযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। |