আমন্ত্রণ নেই উৎসবে, ক্ষুব্ধ সিপিএম
ত বছর পর্যন্ত কমিটির মাথায় থাকতেন বিধায়কেরা, দলমত নির্বিশেষে। কিন্তু এ বছর পাল্টে গিয়েছে নির্দেশনামা। নিয়ম হয়েছে, ছাত্র-যুব উৎসবের প্রতিটি কমিটির মাথায় থাকবেন জেলার যে কোনও এক মন্ত্রীর প্রতিনিধি। আর এমন নির্দেশের জেরেই তৈরি হয়েছে ‘আমরা-ওরা’ বিভাজন, এমনই অভিযোগ তুলেছে সিপিএম। সরব হয়েছে কংগ্রেসও। তাদের অভিযোগ, বিরোধী দলের বিধায়ক, পঞ্চায়েত সমিতির প্রধান বা পুরপ্রধানদের কমিটিতে রাখা তো দূর, আমন্ত্রণ জানানোর সৌজন্যটুকুও দেখানো হচ্ছে না।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত বছর পর্যন্ত ছাত্র-যুব উৎসবের যে নির্দেশনামা ছিল, তাতে কমিটির মাথায় রাখা হত বিধায়কদের। কিন্তু গত ৪ ডিসেম্বর যুব কল্যাণ দফতরের তরফে এ বারের উৎসব নিয়ে নির্দেশনামা পাঠানো হয়, কমিটির মাথায় পেট্রন হিসেবে থাকবেন মন্ত্রীর প্রতিনিধি। এ ছাড়া কমিটিতে থাকবেন মহকুমাশাসক, বিডিও এবং তাঁদের প্রতিনিধিরা। সিপিএমের অভিযোগ, এর ফলে পেট্রন হচ্ছেন তৃণমূল নেতা বা বিধায়কেরা। যেমন, মঙ্গলকোটের কমিটির পেট্রন হয়েছেন তৃণমূলের শিক্ষা সেলের ব্লক সভাপতি আবু বক্কর। কমিটিতে ঠাঁই পেয়েছেন তৃণমূলের যুব নেতা প্রদীপ চট্টোরাজ। কাটোয়ায় পেট্রন হয়েছেন তৃণমূল নেতা কাঞ্চন মুখোপাধ্যায়। মঙ্গলকোটে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সিপিএমের রেণুকা সরকে কমিটিতে রাখা হলেও উৎসবের কোনও বৈঠকেই ডাকা হয়নি বলে অভিযোগ। কাটোয়া, দাঁইহাট এলাকার পুরপ্রধানদেরও স্থান হয়নি কমিটিতে।
মঙ্গলকোটের সিপিএম বিধায়ক শাহজাহান চৌধুরীর অভিযোগ, “জেলায় বিরোধী বিধায়কদের তো কমিটিতে রাখাই হয়নি, আমন্ত্রণের সৌজন্যও দেখানো হয়নি। কাটোয়ার কংগ্রেস বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “পুরোপুরি দলতন্ত্র চলছে।” প্রশাসনের কর্তারা অবশ্য বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা প্রশাসনের এক কর্তা অবশ্য বলেন, “এটা রাজনীতির বিষয়। সরকারি কর্মীদের না জড়ালেই ভাল হয়। যেমন নির্দেশ এসেছে, পালন করেছি।”
পূর্বস্থলী, কেতুগ্রাম, কালনায় এলাকার তৃণমূল বিধায়কেরা অবশ্য উৎসবের কমিটিতে ঠাঁই পেয়েছেন। ছাত্র-যুব উৎসবের জেলা কমিটির পেট্রন তথা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, বস্ত্র ও ভূমি দফতরের প্রতিমন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, “এ সব অভিযোগের কোনও মানে নেই। আমরা দলমত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়েই সুষ্ঠু ভাবে উৎসব পালন করছি।”

ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু যুবকের
ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। বৃহস্পতিবার রাতে অম্বিকা-কালনা স্টেশনে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম কদর আলি শেখ (৩২)। বাড়ি কালনা ২ ব্লকের নসিপুর গ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি হ্যাচারির পাহারাদার ওই যুবক রাত ৯টা নাগাদ অম্বিকা-কালনা স্টেশনে চলন্ত ট্রেন থেকে নামার সময়ে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই শুক্রবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.