বড়দিনের আগেই চলে গেলেন যিশু
তাঁর কথায় তিন অভিনেত্রী। শুনলেন সংযুক্তা বসু |
|
|
|
এমন মানুষ সচরাচর হয় না
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত
যিশুদার জন্য বড্ড মন খারাপ। বড্ড ভাল মানুষ ছিলেন যিশুদা। অসময়ে চলে গেলেন। খুব ছোটবেলা থেকেই তো ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছি। যখনই দেখা হত সেই সময়, যিশুদা বলতেন, “লেগে থাক। চালিয়ে যা। তুই একদিন অনেক বড় হবি।” দারুণ পজিটিভ একটা মাইন্ড সেট ছিল। কখনও কখনও একই স্টুডিওতে আমাদের শ্যুটিং থাকলে যিশুদা আমার ফ্লোরে এসে গল্প করে যেতেন। একটা রূপকথার গল্পে আমি ওঁর সঙ্গে প্রথম দিকে কাজ করেছিলাম। সেই অভিজ্ঞতাটা এখন খুব মনে পড়ছে। যে ভাবে শিল্পী-টেকনিশিয়ানদের প্রেরণা দিয়ে কাজ করাতেন সেটা নজির হয়ে থাকবে। শেষ দিনে যিশুদাকে প্রণাম করে, মালা দিয়ে আসার সময় মনে হচ্ছিল এমন মানুষ সচরাচর হয় না। সত্যিই হয় না। কত শিল্পী ওঁরই হাত ধরে এই বাংলা বিনোদনের জগতে জায়গা করে নিয়েছে! হাতে গুণে বলা যাবে না। বাংলা সিরিয়ালের জগৎ অনেকদিন ওঁর অভাব বোধ করবে। |
|
|
মেরে ধরে কেউ শেখাবে না
তনুশ্রী চক্রবর্তী
আমি যখন অভিনয়ের কিছুই জানতাম না, তখন উনি আমায় ‘উৎসবের রাত্রি’ সিরিয়ালে নায়িকার রোলে নিয়েছিলেন। অভিনয়ের হাতেখড়ি ওঁর কাছে। কী ভাবে দাঁড়াতে হবে, কী ভাবে কথা বলতে হবে, শিখেছিলাম যিশুদার কাছে। যিশুদা একেবারে মেরেধরে, ভালবেসে কাজ শেখাতেন। |
|
|
আমার শিক্ষক চলে গেলেন
অনন্যা চট্টোপাধ্যায়
‘চেনা মুখের সারি’ সিরিয়ালে যখন কাজ করছি তখন যিশুদা আমাকে ‘তিথির অতিথি’র জয়িতা চরিত্রে কাস্ট করলেন। খুব জনপ্রিয় হয়েছিল ‘জয়িতা’। ভাল করে বাংলা উচ্চারণ করতে পারতাম না। যিশুদা বলতেন, “বাড়ি গিয়ে চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে আনন্দবাজার পড়।” সেটা করে সত্যিই আমার উচ্চারণের উন্নতি হয়েছিল। |
|
|
|
|
হাই টিআরপি থেকে ২০০০ পর্বের সিরিয়াল। সংখ্যার ওপর অদ্ভুত মাস্তানি ছিল যিশু দাশগুপ্তের।
শুধু নিজের বয়সের ওপরই সেই মাস্তানি দেখাতে পারলেন না। মাত্র ৫৭তেই চলে গেলেন সবাইকে ছেড়ে |
|
|
ছবি: কৌশিক সরকার |
|