উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদ, জেলা পরিষদগুলির সঙ্গে সমন্বয় গড়ে তোলে ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পে কাজ করার কথা ঘোষণা করলেন জলসম্পদ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। বুধবার শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের কনফারেন্স হলে বৈঠক করেন জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী। সেখানে ওই দফতরের উত্তরবঙ্গের ছয় জেলার ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী জানান, উত্তরের ছয়টি জেলাতে ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পে গভীর নলকুপ বসানো ও পুকুর কাটার কাজ করা হচ্ছে।
তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রীর ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্পে পানীয় জল ও সেচের জল যাতে সমস্ত জায়গায় পৌঁছয় সে ব্যাপারে চেষ্টা শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, “এ জন্য আমরা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদ ও জেলা পরিষদগুলির সঙ্গে সমন্বয় তৈরি করে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাতে একই জায়গায় একাধিক প্রকল্প এড়ানো যাবে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে।” কিন্তু কোথাও আলাদা ভাবে দুই দফতরের একই ধরনের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে কি না তা নিয়ে কোনও তথ্য দিতে পারেননি। এ দিন দুপুরে তিনি নাগরাকাটার কেরন চা বাগানে দু’টি দল প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। ওই প্রকল্পে সেখানে দু’টি জলাধার, ১২টি ইঁদারা তৈরি করা হবে। প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হলে পানীয় ও সেচের জল নিয়ে বাসিন্দাদের সমস্যা মিটবে বলে মন্ত্রী দাবি করেন। পাঁচ কোটি টাকায় ওই কাজ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “কেরন চা বাগানের মনো এলাকায় জলস্তর খুব নিচে। নলকূপ তৈরি করে সেখানে জলের সমস্যা মেটানো সম্ভব নয়। এই ধরনের জলাধার তৈরি করে সমস্যা সমাধান সম্ভব।
সব দিক চিন্তা করে সেখানে ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্পে কাজ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু হবে।” এলাকার ১০০টি পরিবার পাঁচ কিলোমিটার হেঁটে ভুটান থেকে আসা পাইপ লাইনের জল সংগ্রহ করে জীবনধারণ করেন। পাশাপাশি তিনি জানান, মালদহে ঝিল ব্যবহার করে ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পে কাজ করা হবে। পাহাড় নিয়ে দাবি করেন, আগামী তিন বছরের মধ্যে পাহাড়ের তিন মহকুমায় ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পে একাধিক প্রকল্প চালু হবে। মঙ্গলবার তিনি পাহাড়ে গিয়ে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি বলেন, “জিটিএ’র তরফে প্রকল্প তৈরি করে জলসম্পদ উন্নয়ন দফতরে পাঠানো হবে। ইতিমধ্যে আআইডিএফ থেকে ৫ কোটি টাকা ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পে কাজের জন্য দেওয়া হয়েছে।” |