আইন অমান্যের মঞ্চে হুঁশিয়ারি শ্যামলের |
ফেব্রুয়ারিতে দেশ জুড়ে সাধারণ ধর্মঘটকে সামনে রেখে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকেও কড়া হুঁশিয়ারি দিল সিটু। ওই ধর্মঘটের প্রস্তুতি উপলক্ষে বুধবার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে আইন অমান্য কর্মসূচি ছিল সিটু, এআইটিইউসি, আইএনটিইউসি-সহ ১১টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের। ‘জেল ভরো’র আগে জমায়েতে সিটুর রাজ্য সভাপতি শ্যামল চক্রবর্তী অভিযোগ করেন, গত ফেব্রুয়ারির ধর্মঘট ভাঙার জন্য রাজ্য সরকার ‘দমন-পীড়নের নীতি’ নিয়েছিল। সেই সঙ্গেই শ্যামলবাবুর হুঁশিয়ারি, “কেন্দ্রের পাশাপাশি এ রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে বুঝিয়ে দিতে হবে, অন্যায় কেউ সহ্য করবে না! এরা বেচারাম (বেচে দেওয়ার মানসিকতার জন্য) এবং তোলাবাজের সরকারে পরিণত হয়েছে, তাদের উৎখাত করতে হবে!” কেন্দ্রর নীতির ফলে ব্যাঙ্ক, বিমা, পেনশন বেসরকারি হাতে চলে যাচ্ছে। ক্ষুদ্র সঞ্চয়ে সরকারের আয় যখন কমছে, সেই সময়ই এ রাজ্যে ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক সংস্থার (চিট ফান্ড) রমরমা বাড়ছে বলেও সরব হয়েছেন সাংসদ শ্যামলবাবু। তিনি বলেন, “কেন্দ্রের এই আক্রমণের মধ্যেই চিট ফান্ডের দৌরাত্ম্য শুরু হয়েছে। রাজ্য চিট ফান্ডে ছেয়ে যাচ্ছে। ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা ভেঙে যাচ্ছে। মানুষ নিঃস্ব হয়ে পড়বেন।”
|
বিদেশি বন্দিদের মুক্তির পথ খুঁজতে বলল কোর্ট |
কারাদণ্ডের মেয়াদ শেষের পরেও রাজ্যের বিভিন্ন জেলে প্রায় ৩৫০ জন বিদেশিকে আটকে রাখাটা অমানবিক বললেও কম বলা হয় বলে মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্র। তিনি রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল অনিন্দ্য মিত্রকে বলেন, এই সমস্যা মেটাতে একটা পথ খুঁজে বার করা প্রয়োজন। বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের সঙ্গে আলোচনা করে ওই বন্দিদের তাঁদের দেশে ফিরিয়ে দিতে হবে। কারা দফতরের আইজি, ডিজি-র সঙ্গে আলোচনা করে এই নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলার জন্য অনিন্দ্যবাবুকে উদ্যোগী হতে বলে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। একটি জনস্বার্থের মামলায় হাইকোর্ট এর আগে রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছিল, ওই বন্দিদের ব্যাপারে সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানানো হোক। বুধবার কারা দফতর দায়সারা রিপোর্টে জানায়, ওই সব বন্দির মধ্যে ২২২ জন সম্পর্কে বাংলাদেশে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। আবেদনকারী আইনজীবী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ওঁদের বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী বলে গ্রেফতার করা হয়েছিল। শাস্তিও হয়। তা হলে তাঁদের ব্যাপারে বাংলাদেশে খোঁজখবর নেওয়ার প্রশ্ন উঠছে কেন? নাইজেরিয়া ও মায়নামারের বন্দিদের সম্পর্কে রিপোর্টে কিছু বলা হয়নি। এত মানুষ অকারণে বন্দিজীবন যাপন করছেন। আইনজীবীর প্রশ্ন, রাজ্য ও কেন্দ্র উদাসীন কেন? অ্যাডভোকেট জেনারেল ইতিবাচক জবাব দিতে পারেননি।
|
বিধানসভায় বৃদ্ধি তদন্তের মেয়াদ |
বিধানসভায় বিধায়কদের সংঘর্ষের দিন নিরাপত্তারক্ষীদের ভূমিকা এবং পরের দিন অধিবেশন চলাকালীন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনায় তদন্তের রিপোর্ট জমা দেওয়ার মেয়াদ বাড়ানো হল। শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন গত বুধবার পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সভায় বলেছিলেন, বিদ্যুৎমন্ত্রী বিধায়কদের প্রশ্নের জবাব দেওয়ার সময়েই বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও তার আগের দিন গোলমালের সময় নিরাপত্তারক্ষীদের অনেকেই কেন নির্বাক দর্শক হয়ে থাকলেন, দু’টো ঘটনাই তাঁদের অদ্ভুত লেগেছে। পরিষদীয় মন্ত্রীর প্রস্তাবের ভিত্তিতে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভার ভারপ্রাপ্ত বিশেষ সচিবকে দু’টি ঘটনার তদন্ত করে ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেছিলেন। সেই মেয়াদ ফুরিয়েছে। স্পিকার বলেন, “আমার কাছে সময় চাওয়া হয়েছিল। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেছি।” তদন্ত রিপোর্ট আগামী অধিবেশনে পেশ হবে।
|
সব্জির দাম নিয়ে খুশি মমতা |
সব্জির দাম স্থিতিশীল হওয়ায় বুধবার টাস্ক ফোর্সের বৈঠকে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তবে ডাল ও তেলের দাম যাতে না-বাড়ে, সে-দিকে টাস্ক ফোর্সকে নজর দিতে বলেছেন তিনি। বৈঠকের পরে টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে বলেন, “আলু, পেঁয়াজ, লঙ্কা, কড়াইশুঁটি, টম্যাটো, ফুলকপি-সহ প্রায় সব সব্জিরই দাম কমেছে। এতে মুখ্যমন্ত্রী খুশি। পেঁয়াজ ও সর্ষের চাষ বাড়াতে বলেছেন তিনি।” টাস্ক ফোর্স ফের বসবে ২ জানুয়ারি।
|
রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দকে সামনে রেখে ২১ বছর পর পশ্চিমবঙ্গে আবাসিক শিবির করতে চলেছে আরএসএস। কল্যাণীর কাছে গয়েশপুরে ১১ থেকে ১৩ জানুয়ারি ওই শিবির হবে। আরএসএসের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য, বিবেকানন্দের জন্মের সার্ধশতবর্ষ উদ্যাপন এবং যুব সম্প্রদায়কে বিবেকানন্দের আদর্শে প্রশিক্ষিত করাই ওই শিবিরের লক্ষ্য। কিন্তু সংগঠনের অন্দরের খবর, রাজ্যে নিজেদের ঘর গুছোনোর জন্যই শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। |